দক্ষিণ দিনাজপুর: জেলার সবচেয়ে বড় ব্লক তপন। এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে অধিকাংশই তপশিলি জাতি-উপজাতি সম্প্রদায়ের। এই এলাকার চিকিৎসা পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল তপন গ্রামীণ হাসপাতালের উপর। এত গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল হওয়ার পরেও গত ১০ বছরে কোনও জেনারেটর নেই। ফলে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে প্রায় চিকিৎসা বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়। ভরসা বলতে নামমাত্র একটি ইনভার্টার। দিনের বেলা বিদ্যুৎ চলে গেলে বড়জোর গুটিকয়েক পাখা চালতে সক্ষম ওই ইনভার্টার দিয়ে।
আরও পড়ুন: হারিয়ে যেতে বসা পটচিত্র ফিরছে শাড়ি, পাঞ্জাবির হাত ধরে
দীর্ঘদিন এই হাসপাতালে জেনারেটর কেন নেই তার সদুত্তর নেই প্রশাসনের কাছে। সাধারণ মানুষও জানে না কেন এই হাসপাতালে এতদিন ধরে এমন বেহাল অবস্থা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেন, জেলা পরিষদের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা হবে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন আয়তনে সবথেকে বড় ব্লক। তপনের আয়তন ৪৪১.১০ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে এখানকার জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী তপন হাসপাতালেই সব থেকে বেশি সংখ্যায় প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা হয় এবং এখানেই সবথেকে বেশি প্রতিষ্ঠানিক প্রসব করানো হয়। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ হাসপাতালে জেনারেটরের মত ন্যূনতম পরিষেবা না থাকায় প্রশ্ন উঠছে। এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষের আর্থিক পরিস্থিতি ভাল না হওয়ায় তাঁরা অন্যত্র চিকিৎসা করাতে সেভাবে যেতেও পারেন না।
সুস্মিতা গোস্বামী