শতাব্দী প্রাচীন ঘড়ি

Birbhum News: ১৯০২ সালে লন্ডন থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল এই ঘড়ি, সেটি আজ প্রায় অকেজো!

বীরভূম: আজকাল নিত্যনতুনের যুগে প্রায় প্রাচীন জিনিসপত্র আমাদের চোখের আড়াল হয়ে গেছে চাইলেও সেগুলো আর খুঁজে পাওয়া যায় না।তেমনই বন্ধ শতাব্দী প্রাচীন বড় ঘড়ির কাঁটা। আর শোনা যায় না সেই ঘুম ভাঙানি ঘড়ির ঢং ঢং শব্দ। মেরামতের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে সে ঘড়ি। ভেঙে গিয়েছে ঘড়ির একাংশ। ঘড়িটি মেরামত করে পুনরায় চালানো হোক এমনটাই দাবি করছেন শহরের প্রবীণ নাগরিকরা।

ঘড়িটিকে মেরামত করার জন্য বীরভূম নাগরিক কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার জেলা পরিষদের কাছে আবেদন করা হয়েছে কিন্তু তাতেও হচ্ছে না কোনও কাজ।

আরও পড়ুন: লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতলে ‘ট্যাক্স’ দিতে হয় কত…? ঘরে আনবেন ‘কত’ টাকা? চমকে যাবেন শুনলে!

শতাব্দী প্রাচীন সিউড়ি শহরের একাধিক ইতিহাসের মধ্যে অন্যতম সাক্ষী বহন করে চলেছে সিউড়ির ট্রেজারি বিল্ডিং এর উপরে থাকা এক বিশালআকার ঘড়ি।কিন্তু প্রায় ৭ বছর ধরে অকেজো সেই ঘড়ি,আর সবকিছু জেনেও উদাসীন জেলা প্রশাসন।

ইতিহাসবিদ সুকুমার সিংহ বলছেন উনিশ শতকের প্রথম দিকে তৎকালীন হেতমপুরের রাজকুমার মহিমা নিরঞ্জন চক্রবর্তী সেই সময়ের জেলা কালেক্টরেকে উপহার দিয়েছিলেন এই ঘড়ি। লন্ডন থেকে নিয়ে আসা ঘড়িটিকে ১৯০২ থেকে ১৯০৪ সালের মধ্যে ট্রেজারি বিল্ডিং এর উপর স্থাপন করে তৎকালীন জেলা প্রশাসন।

দশকের পর দশক, ভোর থেকে রাত্রি. এই ঘড়ির শব্দেই সময় বুঝতেন শহরবাসীরা। শহরের প্রবীণ নাগরিকদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ঘড়িটি এর আগেও বজ্রপাতে খারাপ হয়েছিল একবার সালটা তখন ১৯৭০ পরে ১৯৯৫ সালে সিউড়ি শহরের একজন মেকানিক রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ঘড়িটিকে পুনরায় চালু করেন।তারপর থেকে তিনিই দেখভাল করতেন ঘড়িটির। বর্তমানে তিনিও পরলোক গমন করেছেন।

কিন্তু ২০১৬ সালে ঘড়িটি পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়।অন্যদিকে এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন ২০১৬ সালে ঘড়ি খারাপ হওয়ার পর বেশ কয়েকবার জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন সবাই কিন্তু তা সত্ত্বেও হয়নি কোনো সুরাহা,ঘোরেনি ঘড়ির কাঁটা,বাজেনি ঘড়ির ঘন্টা। সকলেই চাই অবিলম্বে এই ঘড়িটি মেরামত করা হোক।

সৌভিক রায়