উপনির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বিজেপি।

West Bengal news: লোকসভা ভোটে রাজ্যে ভরাডুবির পরে উপনির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি

কলকাতা: একুশের পরে চব্বিশেও ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে সন্দেশখালি- পদ্ম শিবির একের পর এক অস্ত্রে শান দিলেও ভোটে ফল মেলেনি। এবার সামনে উপনির্বাচন। একুশের জয়ী তিন বিজেপি প্রার্থীর দলবদলের জেরে অকাল ভোট। তাই কি এবার উপনির্বাচনে বিজেপির টার্গেট দলবদলুরা? নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ এবং কলকাতার মানিকতলা।

আগামী ১০ জুলাই এই চার বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। এর মধ্যে প্রথম তিনটি আসনে উনিশের লোকসভা ভোট থেকে বজায় ছিল বিজেপির দাপট। এবার উপনির্বাচনেও ওই তিনটি আসন ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা এবং রায়গঞ্জ নিজেদের হাতে রেখে বিধানসভায় শক্তি বাড়িয়ে নিতে চাইছে গেরুয়া ব্রিগেড। এই তিন আসনেই দলবদলের জেরে ভোট। তাই কি এবার বিজেপির টার্গেট দলবদলুরা? রায়গঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য শুনে এই প্রশ্নই এখন অনেকেরই মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী কৃষ্ণ কল্যাণীকে টার্গেট করে রায়গঞ্জের সভায় বলেন, ‘কৃষ্ণ কল্যাণী তিহাড় জেলে যাবেন। মানুষ ওকে প্রত্যাখান করেছে।‌ ওনার সাথে কেউ যদি দেখা করতে চান তাহলে এরপর তিহার জেলে যেতে হবে।’ পদ্ম শিবিরের অন্যান্য নেতারাও টার্গেট করছেন ফুল শিবির বদলানো কৃষ্ণ কল্যাণী, মুকুটমনি অধিকারী এবং বিশ্বজিৎ দাসকে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন কৃষ্ণ কল্যাণী। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।

আরও পড়ুন: রবিবার থেকেই আবার বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে, ভিজবে কোন কোন জেলা, জানাল হাওয়া অফিস

এ বার লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থী করে তৃণমূল।
ফলে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতে হয় কল্যাণীকে। তিনি ইস্তফা দেওয়ায় এবার রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এদিকে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা আসনে‌ ২০২১ সালে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন মুকুটমণি অধিকারী। ভোটের মুখে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁকে এ বার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে তৃণমূল। ফলে মুকুটমণিও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। তাই মুকুটমণির ছেড়ে যাওয়া বিধানসভা আসনেও উপনির্বাচন। আর বাগদা বিধানসভা আসনে ২০২১ সালে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন বিশ্বজিৎ দাস। পরে তিনি ফুল বদলে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁকে এ বার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে জোড়াফুল শিবির।
বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন বিশ্বজিৎ। তাই উপনির্বাচন বাগদা আসনেও। এই তিনটি আসনেই উনিশ থেকে পদ্মের দাপট বজায় রয়েছে।

রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা এবং রায়গঞ্জ এই তিন বিধানসভা আসনেই উনিশের ভোটে লিড পেয়েছিল বিজেপি। একুশের বিধানসভা ভোটেও জেতে বিজেপি। এবার লোকসভা ভোটেও তৃণমূলকে টেক্কা দেয় বিজেপি। উপনির্বাচনে তাই এই আসনগুলি ধরে রেখে বিধানসভায় শক্তি বাড়াতে মরিয়া পদ্ম শিবির। চার আসনের উপনির্বাচনে একদিকে যেমন জেতা তিনটি আসন ধরে রাখতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি। পাশাপাশি মানিকতলা কেন্দ্রেও জোরদার প্রচারের মাধ্যমে জয় পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী গেরুয়া শিবির। ‌চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বঙ্গ‌ বিজেপির অন্যান্যরাও এখন ঝাঁপিয়েছেন প্রচারে।