পাঁচমিশালি Knowledge Story: BMW-র পুরো নাম কী বলুন তো? ৯০ শতাংশ মানুষই জানেন না আসল উত্তর! লোগোতেও লুকিয়ে বিরাট রহস্য… Gallery April 4, 2024 Bangla Digital Desk শখের গাড়ির তার একটা দীর্ঘ তালিকা সকলেরই থাকে৷ প্রত্যেকেরই স্বপ্নের গাড়ি তালিকায় সবার আগে যে নামটা উঠে আসে সেটা হল বিএমডব্লিউ (BMW)৷ সাধারণত এই কোম্পানীর গাড়ি বহুল জনপ্রিয় ও ব্যয়বহুল৷ যা ধনী ব্যক্তিরাই বহন করতে পারেন৷ তবে স্বপ্ন দেখতে ক্ষতি কী৷ স্বপ্ন দেখলেই স্বপ্নপূরণ সম্ভব৷ বিএমডব্লিউ (BMW)গাড়ির লোগোটি অন্যান্য সমস্ত গাড়ির থেকে খানিকটা ইউনিক৷ নীল ও সাদা রঙের এই লোগোতে লুকিয়ে রয়েছে বিরাট রহস্য৷ যা ৯০ শতাংশ মানুষই হয়তো জানেন না ৷ এমনকী বিএমডব্লিউ (BMW)পুরো নাম কী, তার উত্তর দিতে গিয়ে হিমশিম খান একাধিক মানুষ৷ বিএমডব্লিউ (BMW) ওয়েবসাইট অনুসারে, BMW এর পুরো নাম হল Bayerische Motoren Werke GmbH, যাকে ইংরেজিতে Bavarian Engine Works Company বলা হয়। এটি এই নামটি পেয়েছে কারণ এই কোম্পানিটি জার্মান রাজ্য বাভারিয়াতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই নাম থেকে আপনি বিএমডব্লিউ (BMW)-র আসল পণ্য পরিসর সম্পর্কেও জানতে পারবেন, যা বিভিন্ন মেশিনের জন্য ইঞ্জিন তৈরি করতে হয়েছিল। প্রথম কোম্পানি ছিল Rapp-Motorenwerke GmbH যেটি ১৯১৩ সালে প্লেনের ইঞ্জিন তৈরি করত। আগে যেহেতু কোম্পানিটি প্লেনের ইঞ্জিন তৈরি করত তাই দীর্ঘদিন ধরে মানুষ বিশ্বাস করে আসছে যে গাড়ির সামনের লোগোর চারটি বক্স আসলে প্লেনের প্রপেলার, অর্থাৎ সামনের দিকে রাখা পাখা। কোম্পানির পুরনো নামের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই লোগোটি তৈরি করা হয়েছে। নীল রং আকাশের প্রতিনিধিত্ব করে। এই ক্ষেত্রে, এই লোগোটি আকাশে উড়ন্ত একটি বিমানের প্রতিনিধিত্ব করে। কিন্তু বিএমডব্লিউ (BMW)-র ওয়েবসাইটে এটির একটি ভিন্ন অর্থ রয়েছে, যা আপনি সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য বিবেচনা করতে পারেন। বিএমডব্লিউ (BMW) লোগোতে সাদা এবং নীল, জার্মানের বাভারিয়ার রং, যেখানে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯২৯ সালে, একটি বিএমডব্লিউ বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়েছিল যাতে এই লোগোটি প্লেনের প্রপেলারের ভিতরে দেখানো হয়েছিল, সেখান থেকেই প্লেনের প্রপেলার সম্পর্কে গুজব ছড়াতে শুরু করে। একাধিক বিজ্ঞাপনে ডানাগুলিতে বিএমডব্লিউ লেখা দেখা যায়, তখন লোকেরা তাদের ডানা হিসাবে বিবেচনা করতে শুরু করে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় এ গুজব উড়িয়ে দেওয়া ঠিক মনে করেননি প্রতিষ্ঠানটির মালিকরা। আজ অবধি এই গুজবটিকে সত্য বলে মনে করা হলেও এটি সম্পূর্ণ সত্য নয়।