মানিকচক ঘাটে বাঁধা রয়েছে নৌকা

Boat Service: অজানা কারণে বাংলা-ঝাড়খন্ড নৌকা পরিষেবা বন্ধ, আর্থিক সঙ্কটে রাজ্যের মাঝিরা

মালদহ: বাংলা-ঝাড়খন্ড অন্তঃরাজ্য নৌ পরিষেবা বন্ধ। গঙ্গা দিয়ে প্রতিবেশী রাজ্যে ফেরি পরিষেবা প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বন্ধ হয়ে আছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন মাঝিরা। রোজগার একেবারেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার সংসার চালাতে পারছেন না। কিন্তু কেন এই নৌ পরিষেবা বন্ধ তা জানা নেই।

নৌকার মাঝিদের দাবি, ঘাট কর্তৃপক্ষ গঙ্গায় নৌকা চলাচল বন্ধ রেখেছে। তবে চালু রয়েছে লঞ্চ পরিষেবা। এই নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাঝিরা। মালদহের মানিকচক ব্লকের গঙ্গার মানিকচক ঘাট থেকে বাংলা ও ঝাড়খন্ডে মধ্যে অন্তঃরাজ্য নৌ চলাচল করে। নৌকা ও লঞ্চের মাধ্যমে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হয় গঙ্গা নদীর উপর দিয়ে। প্রতিদিন দুই প্রান্তের প্রায় কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ও চিকিৎসার সুবাদে যাতায়াত করেন। শুধু তাই নয়, প্রায় শতাধিক যানবাহনও এভাবেই পারাপার হয়।

আর‌ও পড়ুন: আচমকা ঘটে গেল এই ঘটনা! প্রবল আতঙ্কে স্থানীয়রা

মানিকচক ঘাট থেকে প্রায় ৩৫ টি যাত্রীবাহী নৌকা ও তিনটি লঞ্চ পারাপার করে। কিন্তু নৌকাগুলো বন্ধ থাকায় মাথায় হাত মাঝিদের। এই প্রসঙ্গে মাঝি বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, বর্তমান ঘাট কর্তৃপক্ষ নৌকা পরিষেবা বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। তাই নদীর জল বৃদ্ধি পেতেই আমাদের নৌকা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু লঞ্চ পরিষেবা চালু রেখেছে। আমরা বিষয়টি ব্লক প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছে।

প্রায় একমাস আগে গঙ্গা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতে থাকায় বন্ধ করা হয়েছিল নৌকার মাধ্যমে যাত্রী পারাপার। যদিও বন্ধ করা হয়নি লঞ্চ পরিষেবা। বর্তমানে গঙ্গা নদীর জলের স্তর স্থিতিশীল, তারপরেও প্রায় ২১ দিন ধরে বন্ধ করে রাখা হয়েছে নৌকা পারাপার। নৌকার মাঝিদের অভিযোগ, নৌকা বন্ধের বিষয়টি তাঁরা জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নৌকা বন্ধের কোনও নির্দেশ নেই।

এদিকে নৌকা নিয়ে ওপার, অর্থাৎ ঝাড়খন্ডে গেলেই পুলিস দিয়ে তাদের পাকড়াও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। মানিকচক ঘাট লিজে নেওয়া ঝাড়খন্ডের মালিক কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক সহায়তায় তাদের নৌকা জোরপূর্বক বন্ধ রাখার চক্রান্ত করছেন বলে অভিযোগ করেন মাঝিরা। মাজিদের পক্ষ থেকে বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে।

হরষিত সিংহ