কলেজ এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

Buddhadeb Bhattacharjee: বুদ্ধ-বিদায়ে শোক! প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ঋণী বাঁকুড়ার এই কলেজ, কেন জানেন?

বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নাম। প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও পরোক্ষ ভাবে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ঋণী এই কলেজ। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর খবর পেয়ে নিজেদের আর্থিক ক্ষতি করে চারদিন ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিকল্পিত অনুষ্ঠান বন্ধ করা হল বাঁকুড়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে।

বাঁকুড়া উন্নয়নী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ছিল “ব্যাচ নেমিংয়ের” দিন। প্রতি বছর এই দিনটির অপেক্ষায় থাকে কলেজের পড়ুয়ারা। তিন চারদিন আগে থেকে করা হয় আয়োজন। তৈরি ছিল মঞ্চ, সাজানো হয়েছিল ডিপার্টমেন্ট, আনা হয়েছিল গিটার। এবারও তাই হয়েছিল কিন্তু সকালের খারাপ খবর পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধে নিজে উদ্যোগে অনুষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্রছাত্রীরা, তাতে হয়েছে কিছুটা আর্থিক ক্ষতি কিন্তু তাতে নেই কোনও অনুশোচনা।

আরও পড়ুন: চিরবিদায় বুদ্ধদেব, মন কাঁদছে রানাঘাটের! নদিয়ার এই জনপদে কী এমন করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী?

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের তৎকালীন বাম সরকার প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষ ভাবে যুক্ত উন্নয়নী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সার্বিক উন্নয়নে। সেই কারণেই ভারাক্রান্ত এই খবর পেয়ে শোকের ছায়া নামে কলেজে। বাঁকুড়া উন্নয়নীতে রয়েছে ১২০০ ছাত্রছাত্রী। তাঁদের মধ্যে খুব কম জনকে হয়তো বই কিনতে হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পুরো কোর্স এক প্রকার বই ছাড়াই লাইব্রেরি থেকে পড়াশোনা করে পূরণ করেন ছাত্র-ছাত্রীরা।

আরও পড়ুন: ‘তাঁকে দেখেই প্রধান শিক্ষক চেয়ার ছেড়ে দেন, কিন্তু…’, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মৃতিচারণায় শৈলেন্দ্র-স্কুল

এছাড়াও রয়েছে ৭টি অত্যাধুনিক ল্যাব। উন্নয়নীর এই উন্নয়নের প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও পরোক্ষ ভাবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ধন্যবাদ জানালেন, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। শশাঙ্ক দত্ত বলেন, “বুদ্ধদেব বাবুর সরকার যখন ছিল, একটা প্রজেক্টের টাকা পেয়েছিলাম যার অর্থ মূল্য ১৫ কোটি টাকা। জ্যোতি বসু তৎকালীন সময়ে উদ্বোধন করলেও, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার অনুমোদিত ফান্ড না পেলে হয়তো উন্নয়নী বড় আকার ধারণ করত না। আমরা তাঁর কাছে সত্যিই ঋণী।”

সাদা চুল,সাদা পাঞ্জাবি,সাদা ধুতি। রাজ্যের বিভিন্ন খুঁটিনাটি তাঁর নখদর্পণে। বহুবার এসেছেন বাঁকুড়া। করেছেন সভা। মানুষের ভিড় উপচে পড়েছে বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সতীঘাটে। কিন্তু সব ভাল জিনিসের একটা শেষ থাকে। সব ভাল মানুষকেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়। তবে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে মনে রেখেছে বাঁকুড়ার উন্নয়নী।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী