নদিয়া: ভোট আসে ভোট যায়, ভাঙন কবলিত অঞ্চল যে তিমিরে সেই তিমিরেই পরে আছে। প্রার্থীরা আসে আশ্বাসের বন্যা বইয়ে দেয়। ভোট চলে গেলে বাবুদের দেখা মেলা ভার এমনি অভিযোগ জানালেন, এলাকার স্থায়ী বসবাসকারীরা। চাকদহ ব্লকের চাঁদুড়িয়া এক নম্বর জিপির উত্তরাঞ্চল অর্থাৎ ঝাউচর, গঙ্গাপ্রসাদপুর, পোরাডাঙ্গা এবং মুকুন্দ নগর। চারটি গ্রামে বুথ রয়েছে ছটি, বাস করেন প্রায় সাড়ে চার হাজার ভোটারের । এখানকার মানুষের পেশা চাষী, মৎস্যজীবি, দিনমজুর এবং নির্মাণকর্মী। নদিয়া জেলার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও হুগলী জেলার সঙ্গে যোগাযোগটা বেশী।
পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪
আরও পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল চলন্ত গাড়ি, নিভতেই বেরিয়ে এল গাঁজার প্যাকেট
গত পাঁচ বছর আগে মুকুন্দনগর থেকে গৌরনগর ঘাটের আগে পযর্ন্ত বাঁধানো হয়েছিল আজ তা বিশবাঁও জলে। সেই একই অবস্থায় ফিরে এসেছে। নদিয়া-হুগলী সঙ্গে সংযোগ গৌরনগর ফেরীঘাট। এখনও ভাঙনের মধ্যে পরে রয়েছে। কোনও স্নান করার স্থায়ীঘাট নেই, নেই স্থায়ী ফেরীঘাট। কোনও মতে দিন কাটছে এলাকার বাসিন্দাদের। বিশ্বনাথ বিশ্বাস, রামপ্রসাদ তরফদার অক্ষয় বিশ্বাসরা আজ অসহায়। বিশ্বনাথ বিশ্বাস বলেন, “কবে এই অঞ্চলে বিধায়ক বা সংসদ এসেছিলেন জানেননা এলাকার মানুষ। আমরা সুখ দুঃখের কথা কাকে জানাব।”
একি অবস্থা কল্যানী ব্লকের চাঁদুড়িয়া দুই নম্বর জিপির সান্যালচর এলাকার রানীনগর, বালাপাড়া, ঢুঙ্গিপাড়া এবং মালোপাড়া। মোট ১৩ টি অঞ্চল ছিল। লোক সংখ্যা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার। কমতে কমতে পাঁচ হাজার ভোটার সহ ছয়টি বুথ এসে দাঁড়িয়েছে। না আছে স্নান করার না আছে স্থায়ী ফেরীঘাট। প্রায় দিনই ফেরীঘাট পরিবর্তন করতে হয়। অবিলম্বে গঙ্গার ভিতরে জমা পলি বা বালি তুলতে হবে না হলে গঙ্গা বক্ষে যান চলাচল ব্যাহত হবে জানালেন সরাটি অঞ্চলের হামিদুল মন্ডল। সাধারণ মানুষের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান নেই কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির কাছেই সেই কারণেই হয়তো তুলনামূলকভাবে কম উপস্থিত হচ্ছেন ভোট প্রার্থনায় বলে দাবি এলাকাবাসীদের।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
Mainak Debnath