স্কুলে ক্লাস

South Dinajpur News: দেখা নেই শিক্ষকদের! স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে এ কী করলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান!

দক্ষিণ দিনাজপুর: বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষক শিক্ষিকারা আসেনি। তাই প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে ক্লাস নিয়ে খোদ শিক্ষকের ভূমিকা পালন করলেন দক্ষিণ দিনাজপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা। এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের কমলপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। জানা গেছে, বিদ্যালয়ে পাঁচজন শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকলেও একজন বাদে বাকি চারজন শিক্ষক সঠিক সময় অর্থাৎ এগারোটার মধ্যে এসে পৌঁছায়নি স্কুলে। যা প্রায়শই হয়ে থাকে। তাই বাধ্য হয়ে নিজেই ক্লাস নিতে শুরু করলেন চেয়ারম্যান। ১৯৭৯ সালের তৈরি এই স্কুলে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। তাদের পঠন-পাঠনের জন্য পাঁচজন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন।

স্কুলে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা আছে, স্কুলের নিজস্ব ভবনও রয়েছে। কিন্তু শিক্ষাদান যাঁরা করবেন তারাই আসেন না সঠিক সময়ে, যার ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে এসেও এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়। এই অভিযোগ পেয়ে এদিন ফুলবাড়ী পোস্ট অফিস এলাকার কমলপুর গ্রামের কমলপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় হঠাৎ করেই পৌঁছে যান চেয়ারম্যান।

আরও পড়ুন:লাগাতার বৃষ্টির জেরে ফুলেফেঁপে উঠেছে পুনর্ভবা! বাঁধ ভাঙতেই জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা

তিনি যখন স্কুলে যান তখন বাজে বেলা এগারোটা পাঁচ, অর্থাৎ নিয়ম অনুযায়ী তার আগেই স্কুলের প্রার্থনা করে দৈনন্দিন ক্লাস চালু হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তখনও পর্যন্ত একমাত্র শিক্ষিকা ছাড়া আর কেউ এসে পৌঁছাননি। বাধ্য হয়ে চেয়ারম্যান নিজেই প্রার্থনার জন্য লাইন করান ছাত্রছাত্রীদের এবং নিজেই প্রার্থনার শেষে তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস নিতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন:স্টিল-কাচের পাত্রে নয়, নিয়মিত এভাবে জলপানে দ্বিগুন উপকার! কমবে ক্যানসার, সেরিব্রালের প্রবণতা

এ বিষয়ে শিক্ষার সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা বলেন,”ওই স্কুলের বিরুদ্ধে মাঝামাঝেই অভিযোগ পেতাম, তাই আজ পরিদর্শনে গিয়ে দেখি নির্দিষ্ট সময়ের পরেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা এসে পৌঁছাননি। নিয়ম অনুযায়ী, বেলা এগারোটা দশ বেজে গেলেই সেই দিন আর কোনও শিক্ষক খাতায় সই করতে পারবেন না এবং তাঁর ক্যাজুয়াল লিভ গণনা হবে দিনটি। বাধ্য হয়ে আমাকে ক্লাস নিতে হয়েছে কারণ ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত হলেও শিক্ষকরা কেউ ছিলেন না।” নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে স্কুলে এসে চক্ষু চরক গাছ বাকি শিক্ষকদের।

সুস্মিতা গোস্বামী