নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: বয়স মাত্র তিন বছর এক মাস! এর মধ্যেই স্মৃতি শক্তির তুখোড় নিদর্শন বাঁকুড়ার এক খুদে। প্রত্যেক বাবা-মায়ের স্বপ্ন থাকে তাদের ছেলে-মেয়ে জীবনে এগিয়ে যাবে, পড়াশোনায় ভাল হবে। কিন্তু একেবারে ছোট্ট বয়সেই মেয়ের অদ্ভূত স্মৃতিশক্তি দেখে যে কোনও মা বাবার গর্বে বুক ফুলে উঠবেই।
এরকমই এক দৃষ্টান্ত বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের পাঁজকোনা গ্রামের শিশুকন্যা আহিকা নন্দীর মধ্যে। বাবা তোতন নন্দী এবং মা শিউলি নন্দীর সঙ্গে আহিকার বাস ইন্দাস ব্লকের আমরুল অঞ্চলের পাঁজকোনা গ্রামে।
আহিকার মা শিউলি দেবী জানান ছোটবেলা থেকেই সে মন্ত্র উচ্চারণ থেকে শুরু করে ছড়া,কবিতা-সবকিছু শুনে মনে রেখে দিত এবং পরে অনায়াসে বলতেও পারত। সে ইংরেজি সমস্ত মাসের নাম থেকে শুরু করে পতাকার ছবি দেখে সমস্ত দেশের নাম অনর্গল বলে দিতে পারে। আহিকার এই দক্ষতা দেখে তার মা শিউলি দেবী আরও তৎপর হন।
আহিকার সমস্ত কিছু বলতে পারা বা লিখতে পারার দক্ষতা অবাক করেছে সকলকে। লোকমুখে এই প্রতিভার কথা প্রচার হওয়ার পর অনেকেই পরখ করতে চাইছেন ছোট্ট আহিকাকে। তবে হতাশ হচ্ছেন না কেউ। তার এই অদ্ভুত প্রতিভার কথা জানতে পেরে রীতিমতো উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। এরকম এক শিশুকন্যার জন্য খুবই গর্ব অনুভব করছেন পাঁজকোনা গ্রামের নন্দী দম্পতি।