কলকাতা: বুধবার দেবীপক্ষের সূচনা। তার আগে উৎসবের রং ধরা পড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে। মমতা এদিন বদলে ফেললেন ফেসবুকের কভার ফোটো। পুজোর আমেজ ভরা এই ছবিটি নিছক ফটোগ্রাফ নয়, হাতে আঁকা!
সেখানে দেখা যায় মমতা তুলি দিয়ে দুর্গার ত্রিনয়ণ আঁকছেন। প্রতিমাকে হাসিমুখে চক্ষুদান করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আশেপাশে উৎসবের মেজাজ। সিঁদুরখেলায় মেতেছেন লাল পাড় সাদা শাড়ি পরা নারীরা। দূরে আবার দু-এক জন পুরুষ ধুনুচি নাচে মেতেছেন। অর্থাৎ, দুর্গোৎসবের শুরু থেকে শেষ— সবটুকু আমেজ ধরা পড়ছে সেই এক ছবিতেই। শিল্পীর নাম অজ্ঞাত। তবে, ছবি বদলে নিমেষে পুজোর সাজে চলে গেল মমতার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট।
আরজি কর আবহে এ বছর কিছুটা থমথমে পরিবেশ রাজ্যে। উৎসবের মেজাজে ফিরতে পারেননি এখনও অনেকেই। সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের দ্বিতীয় শুনানি শেষ হতেই প্রশাসনিক বৈঠকে পুজো প্রস্তুতিতে জোর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের সভাঘরে বৈঠকে তিনি বলেন, “এবার উৎসবে ফিরুন। সিবিআই তদন্ত শেষ করুক দ্রুত।” পুজোর সঙ্গে জড়িত অর্থনীতির কথাও ভাবতে অনুরোধ করেছিলেন মমতা।
পুজো কমিটিগুলি যখন আরজি করে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে একের পর এক অনুদান বাতিল করেছে, তখন মমতার আর্জি ছিল, “গ্রামের লোকেরা পুজোর মাধ্যমে নানা রকম জিনিস বিক্রি করেন। নানা রকম কর্মক্ষমতার মধ্যে দিয়ে প্যান্ডেল তৈরি করেন। আদিবাসী নৃত্য থেকে শুরু করে সমস্ত কেনা বেচার নানারকম সুযোগ পান। এই সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি পুজো কমিটিগুলোর কাছে আবেদন জানাব।” এ সবের পড়ে মাস কেটে গিয়েছে। একটু একটু করে সেজে উঠছে শহর।
আরও পড়ুন- ৫০০ টাকার নোটে গান্ধিজি নয়, এ কার ছবি! দেড় কোটি জাল নোট বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ!
গত বছর মহালয়ার আগেই ভার্চুয়ালি একাধিক মণ্ডপের পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার জেলায় জেলায় পুজো উদ্বোধন নিয়ে বিশেষ সতর্ক নবান্ন। আগামী ২ অক্টোবর মহালয়ার দিন বিকেলে জেলায় জেলায় ভার্চুয়ালি বিভিন্ন দুর্গাপুজোর মণ্ডপের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে কোন কোন মণ্ডপের পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী, তালিকা তৈরিতে সতর্ক নবান্ন।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এসপি, সিপিদের সঙ্গে কথা বলেই উদ্বোধন এর তালিকা তৈরি করতে হবে। জেলার সিনিয়র জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলতে হবে। তারপরই চূড়ান্ত তালিকা পাঠাতে হবে জেলাশাসকদের। নবান্নের নির্দেশ বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের।