কোচবিহার: বিগত এক বছরে কোচবিহার জেলা জুড়ে রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা। এই বিষয়টি নিশ্চিত করে দিচ্ছে মানুষের ট্রাফিক আইনকে বুড়ো আঙুল দেখানোর বিষয়টি। এই বিষয়টি সামনে আসার পরেই রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে কোচবিহার জেলা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগ। এই বিষয়টিকে পরিবর্তন করতে কড়া হাতে প্রচেষ্টা শুরু করেছে কোচবিহার জেলা ট্র্যাফিক পুলিশ। সূত্র মারফত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, “কোচবিহার জেলা সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ২০২৩ সালে শীর্ষ তালিকায় ছিল। যেখানে সড়ক দুর্ঘটনা ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে প্রায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া, শেষ বছরে গোটা রাজ্যের মধ্যে বাইক দুর্ঘটনা প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে কোচবিহার জেলায়।”
কোচবিহার জেলার ডিএসপি ট্রাফিক মোহম্মদ কুতুবউদ্দিন খান বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে সবসময় ট্র্যাফিক পুলিশ সচেষ্ট ভূমিকা পালন করে। তবে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে আরও অনেকটাই সচেতন হতে হবে। বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনা বাইকের মাধ্যেমেই হয়ে থাকে। ফলে হেলমেট না পড়ে চালালে প্রাণ হারানোর ঝুঁকি থেকেই যায়।
তাই রাস্তার বিভিন্ন গুরত্বপূর্ন মোড় গুলিকে চেকিং শুরু করা হয়েছে। যাঁরা ট্রাফিক আইন একেবারেই মানছেন না তাঁদের নিয়ম অনুযায়ী ফাইন করা হচ্ছে। সারাদিন তো ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মকাণ্ড চলছেই। সন্ধ্যার সময়েও শহরের ব্যস্ত রাস্তাগুলিতে বিশেষভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছে। যাতে সড়ক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।”
কোচবিহারের ট্র্যাফিক পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর দধিরাম বর্মণ বলেন, “বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ যুবক-যুবতীদের মধ্যে ট্র্যাফিক আইন না মানার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। বেপরোয়া গতিতে যান চালানো এবং হেলমেট না পড়ে বাইক বা স্কুটি চালানো তো রয়েছেই। ফলে প্রচুর পথ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে থাকে।
এই বিষয়গুলি নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই জেলা ট্র্যাফিক পুলিশের এই উদ্যোগ। ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মকাণ্ডে যদি মানুষ কিছুটা সচেতন হন। তবে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে।” বর্তমানে জেলা ট্র্যাফিক পুলিশের এই কর্মকাণ্ড রীতিমতো সারা ফেলে দিয়েছে জেলা জুড়ে। যাঁরা একসময় ট্র্যাফিক আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করতেন। তাঁরাও এক প্রকার বাধ্য হচ্ছেন ট্র্যাফিক আইন মেনে রাস্তায় চলাচল করতে।
Sarthak Pandit