বাঁশ দিয়ে তৈরি নানা উপকরণ

West Medinipur News: বাঁশ দিয়ে তৈরি চুলের ক্লিপ থেকে ঘর সাজানোর উপকরণ, সৌখিন জিনিস বানিয়ে স্বনির্ভর দম্পতি

পশ্চিম মেদিনীপুর: চুলের ক্লিপ থেকে ঘর সাজানোর নানা উপকরণ, ছোট্ট ডেকোরেশনের হাত পাখা থেকে পেন স্ট্যান্ড, ফুলদানি, জুয়েলারি বক্স এমনকি নানান জিনিস বাড়িতেই তৈরি করছেন এক দম্পতি। যা বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি মেলায় বিক্রি করে দিব্যি সংসার চলছে তাদের। লাভও জুটছে বেশ। বর্তমান প্রজন্মকে দিচ্ছেন স্বনির্ভরতার দিশা। বাড়িতেই স্বামী ও স্ত্রী মিলে তৈরি করেন বিভিন্ন ধরনের ঘর সাজানোর উপকরণ। যা সম্পূর্ণটাই তৈরি হচ্ছে বাঁশ দিয়ে। বিভিন্ন কাজের অবসরে প্রতিদিনই নানান ধরনের বাঁশের জিনিস বানিয়ে বিক্রি করে স্বনির্ভর হয়েছেন তারা।

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার কাকরাজিত এলাকার বাসিন্দা বাপি যাদব ও তার স্ত্রী মমতা যাদব। বাড়িতেই বিভিন্ন কাজের অবসরে তৈরি করেন প্রায় ১৫ রকমেরওবেশি ঘর সাজানোর নানা উপকরণ। যা স্থানীয় মেলার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি মেলাতেও বিক্রি করেন তারা। তাদের কাছে রয়েছে সবচেয়ে কম দামে চুলের ক্লিপ, ছোট্ট নৌকা থেকে বড় নৌকা, পেনস্ট্যান্ড, গয়নার বাক্স, ফুলদানি, ল্যাম্প বাক্স সহ বিভিন্ন জিনিস।

আরও পড়ুন : হাসপাতাল থেকে রাস্তাঘাট উন্নয়ন, আর কী কী দাবি বাংলা-ওড়িশা সীমান্তবাসীদের?

প্রসঙ্গত, ব্লকে দেওয়া প্রশিক্ষণ নিয়েছেন মমতা। সেইমত ২০১২-১৩ সাল নাগাদ শুরু করেন তিনি এই হাতের কাজ। তবে থেকেই তিনি চালিয়ে রেখেছেন বাঁশের জিনিস তৈরির কাজকে। শুধু শখ বা কৌতূহলবশত নয়, এই হাতের কাজকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন এই দম্পতি। প্রশিক্ষণের পর স্ত্রীকে কাজে সাহায্য করা এবং পেশাগতভাবে বাঁশের তৈরি নানান ডেকোরেটিভ আইটেম তৈরি করে স্বনির্ভর হয়েছেন তারা।

আরও পড়ুন : এই ‘নেশা’য় মজে মন, সত্তরোর্দ্ধ বৃদ্ধের শখ শৌখিনতা জানলে অবাক হবেন

বর্তমানে স্বামী ও স্ত্রী মিলে বাড়িতেই গৃহস্থলীর কাজের পরে তারা তৈরি করেন বিভিন্ন ধরনের জিনিস যা বাজারে বিক্রি হয় কুড়ি টাকা থেকে প্রায় ৭০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত। সারাদিনে প্রত্যেকে প্রায় ১২০০টাকার কাজও করতে পারেন। বাঁশ কেটে তাকে বিভিন্নভাবে প্রস্তুত করে নানান সৌখিন জিনিসপত্র তৈরি করেন এই দম্পতি।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

স্বাভাবিকভাবে চাকরির পিছনে না ছুটে বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন সৌখিন কাজ করে স্বনির্ভর হয়েছেন তারা, বর্তমান যুব প্রজন্মকে দিচ্ছেন স্বনির্ভরতা দিশা।

রঞ্জন চন্দ