মালদহ: গাছে শেষ হবে না আম। একদিকে আম পাকবে আবার ওই গাছেই ধরবে মুকুল। পরিণত আম পাকতেই ফের গাছে গুটি হবে আমের। এবার বছরভর মিলবে মালদহের আম। আম খাওয়ার জন্য আর গ্রীষ্মকালের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। পরীক্ষামূলক চাষে মিলেছে সাফল্য।
ইতিমধ্যে বারোমাসি এই প্রজাতির আমের বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেছেন মালদহের এক আমচাষী। বর্তমানে তিনি এক বিঘা জমিতে এই বারোমাসি আমের চাষ শুরু করেছেন। এই প্রজাতির আমের নাম কাটিমন। এই প্রজাতির আম নতুন দিশা দেখাচ্ছে মালদহের আম চাষে।
সাধারণ বারোমাসি আম বলতে যা বোঝায়, কাটিমন তার থেকে আলাদা। বারোমাসি আমে দেখা গিয়েছে বছরে দু’বার আম পাওয়া যায়। কিন্তু কাটিমনের ক্ষেত্রে বছরের প্রায় সব দিনই গাছে আম পাওয়া যায়। একদিনও গাছ ফাঁকা থাকার ব্যাপার নেই। অর্থাৎ আম বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাছের বাকি জায়গায় মুকুল আসতে শুরু করে। এই মকুল থেকে দানা হয়ে আম বড় হতে শুরু করলে আবার মুকুল। বছরে সবসময় এভাবেই চলতে থাকে। আবার স্বাদে যেমন মিষ্টি, তেমনই সুগন্ধিযুক্ত। অসময়ের এমন প্রজাতির আম চাষ করে নজির তৈরি করেছেন মালদহের রাজীব রাজবংশী।
আমচাষি রাজীব বলেন, ”বছরে দু’বার নয়, এই বারোমাসি প্রজাতির আমগাছে সারা বছর আম হতেই থাকবে। বাংলাদেশে প্রথম আমি এই আম চাষ দেখেছিলাম সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর থেকেই চাষ করার ইচ্ছে হয়। নদীয়া থেকে গাছের চারা নিয়ে এসে এক বিঘা জমিতে রোপণ করি। এখন গাছে ফলন শুরু হয়েছে।”
রাজীব রাজবংশীর বাড়ি গাজোলের পান্ডুয়া পঞ্চায়েতের ফুলবাড়ি গ্রামে।নিজের ১ বিঘা জমিতে প্রায় ১০০টি গাছ রোপন করেছেন। এখন ফল পেতে শুরু করেছেন তিনি। দুই বছরের ফলন শুরু হয়েছে। গাছের পরিচর্যা বলতে বছরে দু’বার গোবর সার ও পান্না পরিমাণ মতো দিতে হয়। বৃষ্টির সময় ছত্রাকনাশক এবং রোগ অনুযায়ী কীটনাশক স্প্রে করলেই চলে। নতুন পাতা আসার সময় কীটনাশক বেশি দরকার হয়।
হরষিত সিংহ