Tag Archives: Malda Mango

Malda Mangoes: এবার দুবাই, ইংল্যান্ডে বসে খাওয়া ‌যাবে মালদহের আম! ১৩০০ কেজি আম পাঠানোর তোড়জোড় শুরু

মালদহ: এবার বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে মালদহের হিমসাগর। স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় এই আমের চাহিদা দেশের বাজারে ব্যাপক। ইতিমধ্যে মালদহের এই আম জিআই তকমা পেয়েছে। সেই সুবাদে হিমসাগর প্রজাতির আমের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি ব্যবসায়ী থেকে কৃষকেরা দাম ভাল পাচ্ছেন এই আমের। গত দুই বছর আগে মালদহের আম বিদেশে রফতানি হয়েছিল। বিভিন্ন কারণে গত বছর মালদহের আম বিদেশে পাঠানো সম্ভব হয়নি।

এই বছর মালদহের আম বিদেশে পাঠাতে প্রথম থেকে উদ্যোগ নিয়েছেন বেশ কিছু রফতানিকারক। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই মালদহের আমের গুণগত মান যাচাই করে ভাল আম বিদেশে পাঠাতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে হিমসাগর আমকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহে মালদহের হিমসাগর বিদেশে পাড়ি দিবে।

আরও পড়ুন: গভীর রাতে হাতির হানা! গ্রামবাসীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল ব্যক্তির, এলাকায় শোকের ছায়া

মালদহ জেলা উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, ”বেশ কিছু রফতানিকারক বিদেশে আম পাঠানোর উৎসাহ দেখিয়েছেন। তাদের মাধ্যমে এবার দু’টি দেশে আম পাঠানো হচ্ছে। সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে আম বিদেশে পাড়ি দিবে।”

উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মরশুমে মালদহে আমের ফলন অনেকটাই কম হয়েছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপানার জন্য এবার আমের ফলনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, এমনটাই দাবি উদ্যানপালন দফতরের। স্থানীয় বাজারে আমের দাম এবার চড়া। তারপরেও বেশ কিছু রফতানিকারক এবছর মালদহের আম বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবাই ও ইংল্যান্ডে প্রথম পর্যায়ে আম পাঠানো হবে। এই দুটি দেশে প্রথমে ১৩০০ কেজি আম পাঠানো হবে। সমস্ত আম হিমসাগর প্রজাতির। প্রথম পর্যায়ের আম দু’টি দেশে ভাল বিক্রি হলে আগামীতে ধাপে ধাপে আরও আম পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে বিদেশে আম রফতানির সমস্ত রকম প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বেছে বেছে জেলার যে সমস্ত বাগানে ভাল মানের আম রয়েছে সেগুলি পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

হরষিত সিংহ

Mango Farming Tips: এবার বছরভর মিলবে গাছপাকা মালদহের আম! নতুন প্রজাতির আম চাষ করতে পারেন আপনিও

মালদহ: গাছে শেষ হবে না আম। একদিকে আম পাকবে আবার ওই গাছেই ধরবে মুকুল। পরিণত আম পাকতেই ফের গাছে গুটি হবে আমের। এবার বছরভর মিলবে মালদহের আম। আম খাওয়ার জন্য আর গ্রীষ্মকালের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। পরীক্ষামূলক চাষে মিলেছে সাফল্য।

ইতিমধ্যে বারোমাসি এই প্রজাতির আমের বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেছেন মালদহের এক আমচাষী। বর্তমানে তিনি এক বিঘা জমিতে এই বারোমাসি আমের চাষ শুরু করেছেন। এই প্রজাতির আমের নাম কাটিমন। এই প্রজাতির আম নতুন দিশা দেখাচ্ছে মালদহের আম চাষে।

আরও পড়ুন: সাইক্লোনে বিধ্বস্ত রাজ্যে কি বর্ষার প্রবেশ হয়ে গেল? কলকাতায় বর্ষা শুরু ঠিক কত তারিখে? যা জানাল হাওয়া অফিস…

সাধারণ বারোমাসি আম বলতে যা বোঝায়, কাটিমন তার থেকে আলাদা। বারোমাসি আমে দেখা গিয়েছে বছরে দু’‌বার আম পাওয়া যায়। কিন্তু কাটিমনের ক্ষেত্রে বছরের প্রায় সব দিনই গাছে আম পাওয়া যায়। একদিনও গাছ ফাঁকা থাকার ব্যাপার নেই। অর্থাৎ আম বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাছের বাকি জায়গায় মুকুল আসতে শুরু করে। এই মকুল থেকে দানা হয়ে আম বড় হতে শুরু করলে আবার মুকুল। বছরে সবসময় এভাবেই চলতে থাকে। আবার স্বাদে যেমন মিষ্টি, তেমনই সুগন্ধিযুক্ত। অসময়ের এমন প্রজাতির আম চাষ করে নজির তৈরি করেছেন মালদহের রাজীব রাজবংশী।

আমচাষি রাজীব বলেন, ”বছরে দু’বার নয়, এই বারোমাসি প্রজাতির আমগাছে সারা বছর আম হতেই থাকবে। বাংলাদেশে প্রথম আমি এই আম চাষ দেখেছিলাম সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর থেকেই চাষ করার ইচ্ছে হয়। নদীয়া থেকে গাছের চারা নিয়ে এসে এক বিঘা জমিতে রোপণ করি। এখন গাছে ফলন শুরু হয়েছে।”

রাজীব রাজবংশীর বাড়ি গাজোলের পান্ডুয়া পঞ্চায়েতের ফুলবাড়ি গ্রামে।নিজের ১ বিঘা জমিতে প্রায় ১০০টি গাছ রোপন করেছেন। এখন ফল পেতে শুরু করেছেন তিনি। দুই বছরের ফলন শুরু হয়েছে। গাছের পরিচর্যা বলতে বছরে দু’‌বার গোবর সার ও পান্না পরিমাণ মতো দিতে হয়। বৃষ্টির সময় ছত্রাকনাশক এবং রোগ অনুযায়ী কীটনাশক স্প্রে করলেই চলে। নতুন পাতা আসার সময় কীটনাশক বেশি দরকার হয়।

হরষিত সিংহ

Mango Buying Tips: কোনটা হিমসাগর, কোনটা ল্যাংড়া, কোনটাই বা ফজলি! আম দেখে কী ভাবে চিনবেন কোনটা কোন জাতের? ঠকবেন না, জেনে নিন সহজ টিপস

গরম পড়েছে ভাল মতোই৷ এবার বাজারে ধীরে ধীরে আসছে ফলের রাজা আম৷ মে মাসের শুরু থেকে পুজোর আগে আগে পর্যন্ত দফায় দফায় বাজারে আসবে নানা প্রজাতির আম৷ হিমসাগর, গোলাপখাস, বেগমফুলি থেকে শুরু করে ল্যাংড়া, ফজলি, চৌসা৷ কিছু কিছু আম আছে, যা দেখলেই চেনা যায়৷ আবার কিছু আম রয়েছে, যা দেখলে গুলিয়ে যায়৷ বিশেষ করে যাঁরা নতুন নতুন একা একা বাজারে আম কিনছেন...
গরম পড়েছে ভাল মতোই৷ এবার বাজারে ধীরে ধীরে আসছে ফলের রাজা আম৷ মে মাসের শুরু থেকে পুজোর আগে আগে পর্যন্ত দফায় দফায় বাজারে আসবে নানা প্রজাতির আম৷ হিমসাগর, গোলাপখাস, বেগমফুলি থেকে শুরু করে ল্যাংড়া, ফজলি, চৌসা৷ কিছু কিছু আম আছে, যা দেখলেই চেনা যায়৷ আবার কিছু আম রয়েছে, যা দেখলে গুলিয়ে যায়৷ বিশেষ করে যাঁরা নতুন নতুন একা একা বাজারে আম কিনছেন…
অনেক অসাধু দোকানদারই একটা আমের নাম এবং দাম বলে ক্রেতাকে বেচে দেয় অন্য জাতের আম৷ আম কিনে ঠকার নজির কম নেই৷
অনেক অসাধু দোকানদারই একটা আমের নাম এবং দাম বলে ক্রেতাকে বেচে দেয় অন্য জাতের আম৷ আম কিনে ঠকার নজির কম নেই৷
গোপালভোগ: মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাজারে এই আম আসে। আম চেনার উপায় হল, এর সবুজ রঙের খোসার গায়ে থাকে, হলুদ দাগ। আমটি পাকার পর হলুদ হয়ে যায়। শোনা যায় এই আমের চাষ বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল। সেখানে নরহাট্টার গোপাল নামের এক ব্যক্তি এই আমের চাষ প্রথমে শুরু করেন। তাঁর নাম থেকেই এমন নামকরণ।
গোপালভোগ: মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাজারে এই আম আসে। আম চেনার উপায় হল, এর সবুজ রঙের খোসার গায়ে থাকে, হলুদ দাগ। আমটি পাকার পর হলুদ হয়ে যায়। শোনা যায় এই আমের চাষ বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল। সেখানে নরহাট্টার গোপাল নামের এক ব্যক্তি এই আমের চাষ প্রথমে শুরু করেন। তাঁর নাম থেকেই এমন নামকরণ।
গোলাপখাস: গোলাপখাস আমে লালচে আভা থাকে। গোলাপের রঙের মতো খানিকটা রঙ থাকে আমে। এই গ্রামের গন্ধ থাকে গোলাপের মতো৷
গোলাপখাস: গোলাপখাস আমে লালচে আভা থাকে। গোলাপের রঙের মতো খানিকটা রঙ থাকে আমে। এই গ্রামের গন্ধ থাকে গোলাপের মতো৷
চৌসা: জনশ্রুতি, ষোড়োশ শতকে শের শাহ এই আমের নামকরণ করেন। গোটা ভারতেরই অত্যন্ত জনপ্রিয় আম এটি। বিশেষত উত্তর ভারতে এই চৌসা আমের রমরমা। এই আম চেনার উপায় হল এর রঙ। এর রঙ অনেকটা সোনালি রঙের মতো উজ্জ্বল হলুদ। আকার লম্বাটে ঘেঁসা৷
চৌসা: জনশ্রুতি, ষোড়োশ শতকে শের শাহ এই আমের নামকরণ করেন। গোটা ভারতেরই অত্যন্ত জনপ্রিয় আম এটি। বিশেষত উত্তর ভারতে এই চৌসা আমের রমরমা। এই আম চেনার উপায় হল এর রঙ। এর রঙ অনেকটা সোনালি রঙের মতো উজ্জ্বল হলুদ। আকার লম্বাটে ঘেঁসা৷
 হিমসাগর: মে মাসের প্রথমেই বাজারে যে আম ওঠে, তা হল হিমসাগর। তবে এই আম বেশিদিন বাজারে পাওয়া যায় না। মিষ্টত্ব এবং গন্ধের জন্য এই আম বিখ্যাত। এগুলি সাধারণত মাঝারি আকারের হয়। ভিতরে শাস হলুদ থাকলেও বাইরের খোসা সবুজ।
হিমসাগর: মে মাসের প্রথমেই বাজারে যে আম ওঠে, তা হল হিমসাগর। তবে এই আম বেশিদিন বাজারে পাওয়া যায় না। মিষ্টত্ব এবং গন্ধের জন্য এই আম বিখ্যাত। এগুলি সাধারণত মাঝারি আকারের হয়। ভিতরে শাস হলুদ থাকলেও বাইরের খোসা সবুজ।
বেগমফুলি: বাংলায় অনেকেই এই আমকে বেগমফুলি বলে থাকেন, হায়দরাবাদের এই খাস আম সেরাজ্যে অবশ্য বেগমপল্লি হিসাবে পরিচিত। দেশের বহু প্রান্তে এর নাম ব্যাঙ্গনাপাল্লে। ফলে নামের হেরফেরে ঠকে যাবেন না। এই আম ডিম্বাকৃতি হয়। সাধারণত, হলুদ আম বলতে বাজারে যা আসে তা বেগমফুলি।
বেগমফুলি: বাংলায় অনেকেই এই আমকে বেগমফুলি বলে থাকেন, হায়দরাবাদের এই খাস আম সেরাজ্যে অবশ্য বেগমপল্লি হিসাবে পরিচিত। দেশের বহু প্রান্তে এর নাম ব্যাঙ্গনাপাল্লে। ফলে নামের হেরফেরে ঠকে যাবেন না। এই আম ডিম্বাকৃতি হয়। সাধারণত, হলুদ আম বলতে বাজারে যা আসে তা বেগমফুলি।
ল্যাংড়া: এই আমের এমন নামকরণ নাম আঠেরোশো শতকে হয়েছে বলে মনে করা হয়। জুলাই মাসের দিকে এই আম পাকতে শুরু করে। ল্যাংড়া আম সাধারণত দেখতে গোলাকার ও মসৃণ। আকারে বড়, লম্বাটে-গোল৷
ল্যাংড়া: এই আমের এমন নামকরণ নাম আঠেরোশো শতকে হয়েছে বলে মনে করা হয়। জুলাই মাসের দিকে এই আম পাকতে শুরু করে। ল্যাংড়া আম সাধারণত দেখতে গোলাকার ও মসৃণ। আকারে বড়, লম্বাটে-গোল৷
ফজলি: এই আম হালকা টকযুক্ত আম। এই আমের আকার অনেক বড়। এই আমের নামকরণও ব্যক্তির নামে। এই আমের নামকরণের ইতিহাসে শোনা যায় আঠেরোশো শতকে ফজলি বিবি নামে এক বৃদ্ধা এই আম প্রথম শুরু করেন। তাঁর নাম অনুসারেই এই আমের নামকরণ হয়৷
ফজলি: এই আম হালকা টকযুক্ত আম। এই আমের আকার অনেক বড়। এই আমের নামকরণও ব্যক্তির নামে। এই আমের নামকরণের ইতিহাসে শোনা যায় আঠেরোশো শতকে ফজলি বিবি নামে এক বৃদ্ধা এই আম প্রথম শুরু করেন। তাঁর নাম অনুসারেই এই আমের নামকরণ হয়৷
বাদামি: এই আম লালচে হলদে রঙের হয়। আমের বোঁটার দিকটায় লালচে ভাব থাকে। আর আমের হলুদ রঙ বেশ উজ্জ্বল হয়। এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে এই আম পাওয়া যায়। এর বহু ধরনের ‘ভ্যারাইটি’ বাজারে পাওয়া যায়।
বাদামি: এই আম লালচে হলদে রঙের হয়। আমের বোঁটার দিকটায় লালচে ভাব থাকে। আর আমের হলুদ রঙ বেশ উজ্জ্বল হয়। এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে এই আম পাওয়া যায়। এর বহু ধরনের ‘ভ্যারাইটি’ বাজারে পাওয়া যায়।
দশেরি: দশেরি আম ঘিরেও রয়েছে ইতিহাস। শোনা যায়, উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের কাছে কাকোরি এলাকায় এই আমের চাষের সন্ধান মিলেছিল। এই আমের সুগন্ধ মন ছুঁয়ে নেয়। মিষ্টি ও সুগন্ধি এই আম উত্তর ভারত থেকে দক্ষিণ ভারতেও পৌঁছে যায়। বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশে এই আমের রমরমা রয়েছে। জায়গা ভেদে একে দুসারি, দশেহারি, দুশেরিও বলা হয়। আমের গড় দৈর্ঘ্য ৯ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার, এর প্রান্ত ভোঁতা ও বাঁকা। এর গড়ন ডিম্বাকৃতি। আমের ত্বক মোমের মতো মসৃণ ও আধা-পুরু, মসৃণ, খোসাযুক্ত।
দশেরি: দশেরি আম ঘিরেও রয়েছে ইতিহাস। শোনা যায়, উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের কাছে কাকোরি এলাকায় এই আমের চাষের সন্ধান মিলেছিল। এই আমের সুগন্ধ মন ছুঁয়ে নেয়। মিষ্টি ও সুগন্ধি এই আম উত্তর ভারত থেকে দক্ষিণ ভারতেও পৌঁছে যায়। বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশে এই আমের রমরমা রয়েছে। জায়গা ভেদে একে দুসারি, দশেহারি, দুশেরিও বলা হয়। আমের গড় দৈর্ঘ্য ৯ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার, এর প্রান্ত ভোঁতা ও বাঁকা। এর গড়ন ডিম্বাকৃতি। আমের ত্বক মোমের মতো মসৃণ ও আধা-পুরু, মসৃণ, খোসাযুক্ত।

South Indian Mango: মালদহের বাজারে দাপাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের আম! বিক্রি হচ্ছে দেদার

মালদহ: আমের জন্য বিখ্যাত মালদহ। এই জেলার আমের জন্য অপেক্ষায় থাকে গোটা দেশ। সেই মালদহের বাজার‌ই কিনা দক্ষিণ ভারতের আমের দখলে! অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব।

এখন প্রচন্ড গরম তার উপর রমজান মাস চলছে। ফলে এই সময় যেকোনও ধরনের ফলের চাহিদা বেশি। সেই সুযোগেই মালদহের বাজারে বাজারে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের পাকা আম। জেলার আমের মত স্বাদ না হলেও দক্ষিণ ভারতের এই আমের স্বাদ‌ও বেশ মিষ্টি। শহরের বাজার থেকে গ্রামগঞ্জের বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের এই আম। এর কারণ হল, মালদহের পাকা আম বাজারে আসার সময় এখনও হয়নি। তা বাগানে এখন গুটি অবস্থায় রয়েছে। মালদহের আম পেকে বাজারে আসতে এখনও অনেক দেরি।

আর‌ও পড়ুন: ভোট মানেই জোরপাটকির কাছে আতঙ্ক, কেন্দ্রীয় বাহিনী যেন এখানে মূর্তিমান ‘যমদূত’!

সেই সুযোগেই রমজান মাসের সময় জেলার বাজার দেদার বিক্রি হচ্ছে ভিন রাজ্যের বিভিন্ন আম। আপাতত আগামী দু’মাস বাজারে থাকবে দক্ষিণ ভারতের আম। আমের স্বাদ মেটাতে জেলাবাসী আম কিনছেন। তবে দাম বেশি ও স্বাদও তেমন না হওয়ায় এই আম খেয়ে মন ভরছে না।

আর‌ও পড়ুন: মিনি টর্নেডো বিধ্বস্ত গ্রামে মেডিকেল ক্যাম্প, শিশুর চোখ থেকে বের হল পাথর

বর্তমানে খোলা বাজারে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের আম। মে মাসের শেষে থেকে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে মালদহের আম বাজারে বিক্রি শুরু হবে। অপরদিকে দক্ষিণ ভারতে ডিসেম্বর মাস থেকেই আম গাছে মুকুল ফুটতে শুরু করে। তাই দক্ষিণ ভারতের আম বাজারে আগেই চলে আসে। মালদহ ফল বাজার সমিতির সভাপতি গৌতম কুমার সাহা বলেন, একে প্রচন্ড গরম তার উপর রমজান মাস চলছে। তাই দক্ষিণ ভারতের আমের চাহিদা রয়েছে। তবে জেলার আম বাজারে চলে এলে আর কেউ এই দক্ষিণ ভারতের আম কিনবে না।

হরষিত সিংহ