লাইফস্টাইল Curd: ‘নুন’ দিয়ে খাবেন, না ‘চিনি’ দিয়ে…? দই কী ভাবে খেলে বেশি উপকার? চমকে দেবে আয়ুর্বেদ! আবার খাওয়ার আগে জানুন ‘সত্যি’ Gallery April 14, 2024 Bangla Digital Desk গরমে শরীর জুড়িয়ে রাখতে যে সব খাবারের কথা মনে তার মধ্যে অন্যতম হল দই। গরমে দই শরীর ঠান্ডা করে। এই খাবার খেতে সবাই পছন্দও করেন। কেউ চিনি মেশান দই খাওয়ার সময়, আবার কেউ লবণ দিয়ে খান। অনেকেই দই দিয়ে লস্যি বানিয়ে গরম থেকে মুক্তির চেষ্টা করেন। গরমকাল মানেই দই। শরীরের উপকারের জন্য দইয়ের মতো পথ্য আর কী বা আছে! আপনিও নিশ্চয়ই নানা ভাবে দই খেয়ে থাকেন। কখনও দই-চিঁড়ে, কখনও হয়তো লস্যি। কিন্তু জানেন কী দইয়ে লবণ মেশালে শরীরে বেশি উপকার? নাকি গুড় ও চিনি মিশিয়ে খাওয়া বেশি কার্যকরী? কী বলছেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা? আসল সত্যিটা জানলে কিন্তু আকাশ থেকে পড়বেন। উত্তর প্রদেশের আলিগড় আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর সরোজ গৌতম বলেন, গরম থেকে আরাম পেতে দই খাওয়া হলেও দইয়ের প্রভাব গরম। এর প্রকৃতি অম্লীয় এবং এটি কোনও কিছু না মিশিয়ে খাওয়া উচিত নয়। সাধারণ দই কিন্তু আমাদের রক্তকে দূষিত করতে পারে এবং এর ফলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আয়ুর্বেদে পরিষ্কার বলা আছে যে রাতে দই এড়িয়ে চলা উচিত এবং প্রতিদিন খাওয়া উচিত নয়। দইয়ে মুগ ডাল, মধু, ঘি, চিনি ও আমলা মিশিয়ে খেলে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার পাওয়া যায় বলেও মনে করেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা। লবণ বা চিনি দই যোগ করা উচিত? ডক্টর সরোজ গৌতমের মতে, আপনি মাঝে মাঝে লবণ মিশ্রিত দই খেতে পারেন, তবে তা সবসময় খাওয়া উচিত নয়। দইয়ের প্রভাব গরম এবং এতে বেশি লবণ যোগ করলে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। এই ভাবে দই খেলে চুল পড়া, চুল অকালে পেকে যাওয়া এবং ত্বকে ব্রণ হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই দইয়ে লবণ দেওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। অন্যদিকে, দইয়ের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খাওয়া খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। দইয়ে চিনি মেশানো হলে এর প্রভাব ঠাণ্ডা হয় এবং এটি খেলে কোনও ক্ষতি হয় না। দইয়ে গুড় মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। এক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের মতে, দই লস্যি বানিয়ে তা পান করা গরমে খুবই উপকারী। দইয়ে চিনি মেশানো হলে এর প্রভাব ঠাণ্ডা হয় এবং তা খেলে তাপ থেকে আরাম পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে শরীরে এনার্জি আসে এবং সতেজ ভাব আসে। তবে গরমকালে দই দিয়ে লস্যি বানিয়ে পান করলে শরীরও হাইড্রেটেড থাকে এবং জলের কোনও অভাব হয় না। তবে অতিরিক্ত সেবন পরিহার করতে হবে যাতে স্বাস্থ্যের উপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।