দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে গতকাল থেকে গাঙ্গেয় সুন্দরবন এলাকায় চলছে বৃষ্টি সঙ্গে রয়েছে দমকা হাওয়া। আর যার জেরে বিপর্যস্ত গাঙ্গেয় সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা।
গতকাল রাত থেকেই ঝড় বৃষ্টির দাপট বাড়তে থাকে জেলাজুড়ে। রাত ১২টার পর থেকে ঝড়ের দাপট বাড়ে। তবে সবচেয়ে বেশি ঝড়ের দাপট ছিল সুন্দরবন এলাকায়। সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমায় বেশকিছু গাছের ডাল ভেঙেছে। রাতেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই গাছ কেটে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।এখনো পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হচ্ছে সঙ্গে রয়েছে দমকা হাওয়া। শুক্রবার দিনভর ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা আছে। জেলা জুড়ে জারি রয়েছে লাল সর্তকতা।
আরও পড়ুন: পায়ে ব্যথায় জীবন ওষ্ঠাগত? চোখে জল আসে? বাঁচতে হলে জানুন, রইল ডাক্তারের পরামর্শ
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার বেলায় গঙ্গাসাগরে আসার সম্ভবনা রয়েছে। ঝড় চলে যাওয়ায় কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন গাঙ্গেয় সুন্দরবনের বাসিন্দারা। কিন্তু বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাস চিন্তায় রেখেছে তাঁদের। জেলার সব ফেরি পরিষেবা বন্ধ থাকবে আজও। বেলা বাড়লে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র পরিষ্কার হবে।
দুর্যোগের জেরে নদী ও সমুদ্রের জলস্তর বেড়েছে। ফলে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে বকখালি ও মৌসুনি দ্বীপে। বৃষ্টির জেরে এমনিতেই বেহাল বাঁধের মাটি নরম হয়ে রয়েছে আর এই উত্তাল নদী এবং সমুদ্রের ঢেউয়ে নতুন করে বাঁধ ভেঙে প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সমস্ত পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে জেলা প্রশাসন।
নবাব মল্লিক