দক্ষিণবঙ্গ Cyclone Dana Effect in West Bengal: ভেঙে পড়ল মাটির বাড়ি থেকে বিদ্যুতের খুঁটি, শহরে দাপট কমলেও জেলায় জেলায় ‘দানা’র হানা, মাথায় হাত চাষিদের Gallery October 25, 2024 Bangla Digital Desk আগে থেকেই বাংলায় সরকারী সতর্কতা ছিল তুঙ্গে৷ আশঙ্কাও ছিল৷ সকাল হতেই দেখা গেল সেই আশঙ্কা পুরোটাই অমূলক নয়৷ ঝড়ের দাপট সরাসরি শহর কলকাতায় না লাগলেও রাজ্যের বেশ কিছু অঞ্চল থেকে ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ রিপোর্ট বলছে, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র ল্যান্ডফল শুরু হয়েছিল বৃহস্পতিবার রাত ১১:৩০টা নাগাদ। হাভালিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে হয়েছে ল্যাণ্ডফল। আজ, শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ সম্পন্ন হয় এই প্রক্রিয়া। তার পর থেকেই রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এর প্রভাবে সকাল থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে ঝড়ো হাওয়া বইছে৷ দানার তাণ্ডবে এই জেলায় ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ যার জেরে মাথায় হাত চাষীদের৷ ঝড়ো হাওয়ার দাপটে প্রায় ৩০টি ইলেকট্রিক খুঁটি ভেঙে গিয়েছে৷ উপড়ে গেছে গাছ৷ বৃষ্টি ও ঝড়ের দাপট সহ্য না করতে পেরে একাধিক মাটির বাড়িও ভেঙে গিয়েছে৷ আশঙ্কা করা হয়েছিল আগেই। সেই মতো জোর প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। দানার জেরে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই বেশি হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এখনও পর্যন্ত ৭১টি বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ২৫০-এর ও বেশি গাছ পড়ে গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদেরী জানান মুখ্যমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সার্বিক রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে৷ যাঁদের চাষের ক্ষতি হয়েছে তাঁদের শষ্য বিমার মধ্য দিয়ে ক্ষতি পূরন দেওয়া হবে। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে৷ দেগঙ্গার হরেকৃষ্ণ কলোনির প্রায় ৬০ টি পরিবার জলমগ্ন। জীবন বাঁচাতে তাঁদের স্থানীয় একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে আশ্রয় নিযতে হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল থাকায় কারণেই প্রতিবছর এই দূর্ভোগ পোহাতে হয়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভোররাত থেকে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে ডায়মন্ড হারবারে, সঙ্গে চলছে ঝড়ো হাওয়া৷ আগাম সতর্কতার জন্য অনেককেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ সকাল থেকেই শুনশান এলাকার রাস্তাঘাট৷ ফলে ধান, কপি, সিম, পটল, বেগুন-সহ শীতকালীন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা৷ সব মিলিয়ে মাথায় হাত চাষীদের৷ তাঁদের দাবী এই বিপুল ক্ষতি সামাল দিতে সরকার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুক । কলকাতাতেও টানা বৃষ্টি হচ্ছে৷ কিন্তু আগাম সতর্কতার কারণে চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে জমা জল দ্রুত বের করে দেওয়া যায়৷ ‘দানা’র প্রভাবে ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস ছিল কলকাতায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল কলকাতা পুরসভাও। সারা রাত পুরসভার কন্ট্রোল রুমে বসে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ভোর থেকে শহরে বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া শুরু হলেও, খুব বেশি প্রভাবশালী হতে পারেনি ‘দানা’। যদিও সকাল থেকেই শহর জুড়ে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হচ্ছে৷