কলকাতা Cyclone Dana Effect in West Bengal: ‘দানা’-র ঘূর্ণি সবচেয়ে বেশি ঝড় তুলল বাংলার কোন জেলায়? কোথায় ক্ষয়ক্ষতি কত? রিপোর্ট এল নবান্নে Gallery October 25, 2024 Bangla Digital Desk আশঙ্কা করা হয়েছিল আগেই। সেই মতো জোর প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। দানার জেরে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই বেশি হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এখনও পর্যন্ত ৭১টি বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ২৫০-এর ও বেশি গাছ পড়ে গিয়েছে। প্রায় ৪০০ মাটির বাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দিঘায় খুব একটা খয়ক্ষতি না হলেও এগরা, কাঁথিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার সকালে রিপোর্ট এল নবান্নে। দানার প্রভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের ১১টি রাস্তা এখনও পর্যন্ত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। গাছ পড়ে যাওয়ার কারণে বন্ধ রাস্তাগুলি। প্রাথমিক পর্যায়ে দশটি ইলেকট্রিক পোল পড়ে গিয়েছে। একাধিক মাটির বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে দাঁতন ও মোহনপুর এলাকায়। এখনও পর্যন্ত ৩৯টি জায়গা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। একাধিক জায়গায় গাছ পড়ে যাওয়ার কারণেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর কাজ শুরু করছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে রিপোর্ট এসেছে নবান্নে। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, বসিরহাট এই এলাকাগুলো থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট নেই নবান্নে। বারাসাত, ব্যারাকপুর, বিধাননগরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে, সেই কারণে একাধিক জায়গায় জলমগ্নের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলেই রিপোর্ট নবান্নে। বাঁকুড়া জেলায় খাতরা সাব-ডিভিশনে কোনও ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট এখনও নেই। তবে খাতরা সাব-ডিভিশনে বৃষ্টি হচ্ছে জোর, তাই কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন হচ্ছে। এমনটাই রিপোর্ট বাঁকুড়া জেলা থেকে নবান্নে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ৫০টিরও বেশি পোল পড়েছে। সুন্দরবন এলাকায় দুটি বাঁধের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেচ দফতরের আধিকারিকরা তা মেরামতির কাজ করছেন। ৩০০টিরও বেশি কাঁচা বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হচ্ছে বলে এলাকা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে রিপোর্ট নবান্নে। ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও খয়ক্ষতির রিপোর্ট নেই নবান্নে। ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সেই কারণে কিছু কিছু এলাকায় জলমগ্ন হচ্ছে। (রিপোর্টার– সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়)