দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অবশেষে এল সে। সব আশঙ্কা সত্যি করে উপকূলে আছড়ে পড়ল তীব্র ঘূর্ণিঝড় রিমল। ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙেছে একাধিক গাছ। ঝড় মোকাবিলায় রাতেও দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলাশাসক ঘুরে দেখেছেন উপদ্রুত এলাকা।
সাগরের কচুবেড়িয়ার পুরষোত্তমপুরে ঝড়ের দাপটে গঙ্গাসাগর কচুবেড়িয়া রোডের উপর ভেঙে পড়েছে একের পর এক বড় বড় গাছ। ব্লক প্রশাসনের নেতৃত্বে কুইক রেসপন্স টিম গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চালাচ্ছে।
রাত যত বাড়ছে ঝড়ের গতিবেগ বাড়ছে। ঝড়ের দাপটে নামখানা এলাকাতেও ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ভেঙে পড়েছে একের পর এক গাছ। ইলেকট্রিক পোস্টও ক্ষতিগ্রস্ত।
তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের তড়িঘড়ি সরিয়ে আনায় সুবিধা হয়েছে অনেকটাই। সূত্রের খবর সেই সংখ্যাটা প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার।
তাদেরকে ত্রাণ শিবিরে রেখে খেতে দেওয়া হচ্ছে। তবে তারা আশঙ্কায় আছেন তাদের বাড়ি-ঘর কেমন আছে সেটা নিয়ে। সকাল না হওয়া পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ হিসাব পাওয়া যাবে না।
তবে পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রেখেছে প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা নিজে রাতে বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখছেন। সব মিলিয়ে ঝড় নিয়ে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন।
নবাব মল্লিক