ন্যানো ইউরিয়া স্প্রে

Purulia News: ড্রোনের মাধ্যমে চাষ জমিতে উন্নত কৃষিকাজ, নতুন দিশা দেখাচ্ছে পুরুলিয়ার কৃষি দফতর

পুরুলিয়া: রুক্ষ লালমাটি জেলা পুরুলিয়া এক ফসলি জমিতে পরিপূর্ণ। বিকল্প চাষ এই জেলায় খুব কমই হয়। তাই কৃষি দফতর সদা সর্বদাই কৃষকদের পাশে থাকার চেষ্টা করে। উন্নত মানের কৃষি পদ্ধতিতে চাষ শুরু হতে চলেছে জেলা পুরুলিয়ায়। ‌ চলছে তারই পরীক্ষামূলক প্রস্তুতি। ড্রোনের মাধ্যমে উন্নত পদ্ধতিতে ন্যানো ইউরিয়া স্প্রে করা হচ্ছে চাষ জমিতে। ‌সরকারের আতমা প্রকল্পের আওতাধীন প্রযুক্তিগত চাষ শুরু হতে চলেছে জেলায়। পুরুলিয়া এক নম্বর ব্লকের নদীয়ারা গ্রামে চার একর জমিতে ইতিমধ্যেই ডেমোস্ট্রশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ড্রোনের মাধ্যমে।

এই পদ্ধতিতে চাষের ফলে কৃষকেরা অনেকখানি উপকৃত হবে এমনটাই মনে করছে কৃষি দফতর। এ বিষয়ে পুরুলিয়া এক নম্বর ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা তন্ময় সাহা বলেন, ”বর্তমানে কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি চলে এসেছে। এগ্রিকালচার ড্রোনের মাধ্যমে ন্যানো ইউরিয়ার প্রয়োগের উপরে আমরা এর আগে নানা সচেতনতা শিবির করেছি, প্রচার করেছি। ‌এগ্রিকালচার ড্রোন দিয়ে হাতেনাতে চাষিদেরকে ডেমোনস্ট্রেশন করে দেখানো হল। এই পদ্ধতিতে ব্যবহার করলে চাষিরা আগামী দিনে অনেকখানি উপকৃত হবেন।

আরও পড়ুন: বিসর্জনের আগে ভগবান গণেশের বিগ্রহের গা থেকে সোনার গয়না খুলতে ভুলে গিয়েছিলেন দম্পতি; তারপর যা হল…

এ বিষয়ে পুরুলিয়া এক নম্বর ব্লকের অ্যাসিস্ট্যান্ট টেকনোলজি ম্যানেজার অমিতাভ দে বলেন, ”আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে তারা উন্নত প্রযুক্তিতে ধান জমি চাষ করেছে। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে কৃষকেরা গতানুগতিক পদ্ধতির থেকে অনেক বেশি লাভবান হতে পারবে। আতমা প্রকল্পের মধ্য থেকে টেকনিক্যাল পদ্ধতিতে চাষিরা যাতে কম খরচে বেশি লাভ করতে পারে সে বিষয়ে দিশা দেখাচ্ছি।”

এ বিষয়ে এক চাষী বলেন, ”বাজারে যে ইউরিয়া পাওয়া যায় সেটা দানাদারী ইউরিয়া। আর কৃষি দফতর থেকে যে ন্যানো ইউরিয়া দেওয়া হচ্ছে, তা অনেক মসৃণ। ইউরিয়া প্রয়োগ করতে আগে আমাদের অনেক টাকা খরচ হত। কিন্তু কৃষি দফতর যে পদ্ধতিতে ইউরিয়া দিচ্ছে, এই পদ্ধতিতে যদি আমরা চাষ করতে পারি, তাতে আমাদের সুবিধাই হবে।”

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যখন সব কিছুরই পরিবর্তন হচ্ছে. তখন বাদ পড়ছে না কৃষিকাজেরও আধুনিকীকরণ জেলা কৃষি দফতর সদা সর্বদাই কৃষকদের পাশে থাকার চেষ্টা করে থাকে। উন্নত পদ্ধতিতে কৃষকেরা যাতে লাভবান হতে পারে এবার সেই দিশা দেখাচ্ছে কৃষি দফতর।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি