আজও চালু হলো না ঢাকির ব্রিজ 

South 24 Parganas News: বাম আমলে শুরু হয়েছিল কাজ, নানা জটিলতায় আজও শেষ হল না ঢাকি ব্রিজ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে বাম আমলে নির্মিত ঢাকি ব্রিজ এখনও মানুষের চলাচলের যোগ্য হয়ে ওঠেনি। সমস্যায় বেশ কয়েকটি বিধানসভার বাসিন্দারা। ৮ই মার্চ ২০০৮সালে তখন ছিল বামফ্রন্টের শাসনকাল ,সেই সময়ে ঢাকি ব্রিজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়। সেই সময়ের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ও ভূমি দফতরের মন্ত্রী আব্দুল রেজ্জাক মোল্লা এই ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায় বিধানসভা নির্বাচনের কারণে। আর এই নির্বাচনে তিনিও পরাজিত হন দেবশ্রী রায়ের কাছে। বেশ কয়েক বছর ব্রিজের কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে। সুন্দরবন দফতরের সহায়তায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দেবশ্রী রায়ের তত্ত্বাবধানে কাজ শুরু হলেও আবার আসে বিধানসভা নির্বাচন। আর তাতেই রায়দিঘি বিধানসভা থেকে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস দেবশ্রী রায়কে প্রার্থী না করে রায়দিঘির ভূমিপুত্র ডক্টর অলক জলদাতাকে প্রার্থী করে। তিনি জয়লাভ করায় দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষজন একাধিক দফতরে ব্রিজের কাজ শুরু হওয়ার কথা জানানোর পর অবশেষে ফের কাজ শুরু হয়।

সেই সময় দুই পাড়ের জমি-জটের সমস্যায ব্যাপক আকার ধারণ করে। কুলতলী বিধানসভার অধীনে জয়নগর ২ ব্লকের চুপড়িঝাড়া ঢাকি ব্রিজটি কাজও বন্ধ হয়েও যায়। কুলতলিতে তৃণমূল কংগ্রেস গণেশচন্দ্র মন্ডলের উপর ভরসা করায় তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হন। আর এরপরে দুই বিধানসভার সংযোগকারী ঢাকি ব্রিজ এপ্রোচ রোডের জমি জট কাটিয়ে অ্যাপ্রস রোডের মাটির কাজ শুরু হলেও বর্ষা নামতে আর কয়েকটা দিন মাত্র বাকি । এই ব্রিজের বরাতকারী ঠিকাদার সংস্থা ঠিক মতো কাজ না করায় চরম দুর্দশায় ও দুরবস্থার মধ্যে দুইটি বিধানসভার মানুষজন।

আরও পড়ুনঃ Unlimited Biryani: মাত্র ৯০ টাকায় আনলিমিটেড চিকেন বিরিয়ানি! কোথায় পাবেন? জেনে নিন

বিশেষ করে কুলতলী থেকে যারা রায়দিঘি কলেজ কিংবা হাসপাতালে যেতে হয় তাদের খুবই সমস্যা পড়তে হয় তাদের। একমাত্র ভরসা খেয়া পারাপার। যাত্রী ঠিকমতো না হলে পারা পার সম্ভব হয়ে ওঠে না। তার উপরে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে আর কথাই নেই। চরম দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা। কবে এই নরক যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবে সেদিকে তাকিয়ে।

সুমন সাহা