রাজনীতিকে ‘আলবিদা’ জানাতে পারেন দিলীপ ঘোষ! তুমুল শোরগোল

Dilip Ghosh: ‘আর কদিন দেখব…’ অভিমানী দিলীপ! রাজনীতিকে ‘আলবিদা’ জানাতে পারেন দিলীপ ঘোষ! তুমুল শোরগোল

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ‘‘দল ছাড়লে তো রাজনীতিই ছাড়ব। দেখেনি ক’টা দিন পার্টির যদি আমাকে প্রয়োজন থাকে, না হলে সময় নষ্ট করে কি লাভ আছে। দলে কোনও কাজ না থাকলে দলে থেকে লাভ কি?’’ বক্তা দিলীপ ঘোষ।

তাহলে কি ফের RSS এই ফিরে যাবেন? ‘‘সমাজে অনেক ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকেছি। রাজনীতি আমার পেশা নয়, আমি এসেছিলাম একটা মিশন নিয়ে। দলের যদি আমাকে প্রয়োজন থাকে আমি কাজ করব কিন্তু প্রয়োজন না থাকলে আর ফালতু ঝগড়াঝাঁটির মধ্যে থেকে কি লাভ!’’

আরও পড়ুন– উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে? জেনে নিন

সংবাদমাধ্যমে দিলীপের এই বক্তব্যে চূড়ান্ত হতাশার সুর নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কেন আপনার মনে হচ্ছে রাজনীতি থেকে আপনি অবসর নেবেন? নিউজ এইট্টিন বাংলার তরফে ফোনে এই প্রশ্নের উত্তরে কিছুটা হতাশ, দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিলীপ ঘোষ শুধু বললেন, ‘‘ঠিক সময়ে বলব। হয়ে যাক সব। এখন নয়, সময় হলে সবই বলব।‌’’ আপনি কি অভিমানী? এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘‘অভিমানী হলে তো আমি বাড়িতে বসে থাকতাম। আমি তো সব থেকে বেশি একটিভ আছি। প্রতিদিনই কর্মীদের সাথে দেখা করছি।’’

আরও পড়ুন- সবকিছুই ছবির মতো সাজানো, নিখুঁত ঝকঝকে; বিশ্বের সেরা ১০ পরিচ্ছন্ন দেশের তালিকা রইল এখানে

দিলীপ এও বলেন, ‘‘পার্টির মধ্যে পরিবর্তন হচ্ছে। পরিবর্তন পুরো হয়ে যাক তখন চিন্তা ভাবনা করব কী করব আর কী না। পার্টি আমায় বড় বড় দায়িত্ব দিয়েছিল, সেই দায়িত্ব আমি পালন করেছি। আমি সাংসদ ছিলাম। এখন আমার ওপর কোনও দায়িত্ব নেই। পার্টি আমায় কিভাবে কাজে লাগাবে বা লাগাবে কিনা সেটা উপর নেতৃত্ব ঠিক করবে।’’

এক সময় বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ।‌ তাঁর পরিবর্তে সেই জায়গায় আসেন সুকান্ত মজুমদার। বেশ কয়েক মাস আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ থেকেও দিলীপ ঘোষকে ছেঁটে ফেলা হয়। ছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ।‌ আর রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির সদস্য। ‌কিন্তু ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে সরিয়ে তাঁকে প্রার্থী করা হয় বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে। সেখানে পরাজিত হন দিলীপ ঘোষ।‌ এরপর দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে লাগাতার চক্রান্ত এবং ‘কাঠিবাজি’-র বিস্ফোরক অভিযোগে‌ প্রকাশ্যে সরব হন দিলীপ। যাতে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গেরুয়া শিবির।‌ এরপর থেকে আচমকা টানা বেশ কিছুদিন ধরে দিলীপ ঘোষ ‘চুপ’।‌ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেড়ালেও সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করছেন না দিলীপ ঘোষ।‌

এরই মাঝে হঠাৎ করে সংবাদমাধ্যমের একাংশের সঙ্গে কথোপকথনে উঠে আসে দিলীপ ঘোষের রাজনীতি ছাড়ার প্রসঙ্গও। লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর বিজেপির অন্দরেই কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, রাজ্য বিজেপিতে বেশ কিছু সাংগঠনিক স্তরে শীঘ্রই রদবদল হতে পারে।‌ কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে যে, দিলীপ ঘোষকে কি ফের সাংগঠনিক কোনও পদে ফিরিয়ে আনা হতে পারে? তারই কি অপেক্ষা করছেন খোদ দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্য বিজেপিতে সাংগঠনিক রদবদলের পরও যদি দেখা যায় দিলীপ ঘোষ ‘ব্রাত্য’ তারপরেই কি রাজনীতি‌ থেকে ‘আলবিদা ‘ নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দিলীপ ঘোষ? এই নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে।