কর্মীদের সঙ্গে দিলীপ 

East Bardhaman News: ভোটের দিনেও কি লাঠি লাগবে দিলীপের! দেখুন কী বললেন দিলীপ ঘোষ 

পূর্ব বর্ধমান: “কোনও চিন্তা করবে না , সব হয়ে যাবে” ভোট প্রচারে বেরিয়ে কর্মীদের মনোবল বাড়ালেন দিলীপ ঘোষ। ভোটের আগে এখন কর্মীদের কী করতে হবে , সেই নির্দেশ দিতেও দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে। এছাড়াও রবিবার হাতে লাঠি নেওয়া প্রসঙ্গে “শুধু লাঠি কেন আমাকে গদা দিচ্ছে কখনও আবার ত্রিশুল দিচ্ছে ,আমার হাতে বোধহয় এইগুলো শোভা পায়” এহেন উত্তর দিলেন দিলীপ ঘোষ।

প্রসঙ্গত মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর এখন রোড শো করছেন দিলীপ ঘোষ। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তিনি। সেই মতো তিনি নিজের লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় প্রচার চালাচ্ছেন। প্রচার চলাকালীন প্রায় প্রত্যেকদিনই তিনি বেরোচ্ছেন প্রাতঃভ্রমণেও। এ দিন সোমবার দিলীপ ঘোষ সর্বপ্রথম প্রাতঃভ্রমণে যান বর্ধমান শহরের কালিবাজার আমতলা এলাকায়। পরবর্তীতে তিনি প্রাতঃভ্রমণ শেষ করে কালিবাজার দূর্গা মন্দির সংলগ্ন এলাকায় চায়ে পে চর্চায় অংশগ্রহণ করেন। তার পর তিনি বর্ধমান উত্তর বিধানসভার রায়ান দুই অঞ্চলে খড়িদ্যা রক্ষাকালী মন্দির দর্শন করে, পুজো দিয়ে রায়পুর মোড় থেকে ভিটা দাসপাড়ায় রোড শো করেন। এ দিন আবারও এক নতুন মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত রবিবার বর্ধমান শহরে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন তিনি।

আর সেখানেই দলীয় কর্মীরা তাঁর হাতে লাঠি তুলে দেন। এ দিন সোমবার এই প্রসঙ্গে দিলীপ বাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন , প্রশ্ন করা হয় ভোটের দিনেও কি আপনাকে লাঠি হাতে দেখা যাবে ? তিনি বলেন , “এত চোর, ডাকাত, গুন্ডা , বদমাশ তাকে তাড়াবার দায়িত্ব কাউকে নিতে হবে। আমি নিয়েছি তাই লোক ভরসা করে কখনও লাঠি দিচ্ছে , কখনও গদা দিচ্ছে ত্রিশূল দিচ্ছে আমার হাতে বোধ হয় ওটা ভাল শোভা পায়। সেইজন্য আমাকে দেন মাঝেমধ্যে।”

পরবর্তী প্রশ্ন করা হয় কী মনে হচ্ছে , ভোটের দিন কি লাঠির প্রয়োজন হবে ? তিনি বলেন , “প্রয়োজন হবে কিনা দেখা যাক, আমার তো মনে হয় দরকার হবে না। এখানকার মানুষ যথেষ্ট জাগ্রত, তারাই সব ঠিকঠাক করবেন।”

জোর কদমে প্রচার শুরু করেছেন দিলীপ ঘোষ। প্রচারে বেরিয়ে তিনি চমকও দিচ্ছেন। সেরকমই এ দিন কর্মীদের উৎসাহ দিতে দেখা গেল দিলীপ ঘোষকে। তীব্র গরমেও তিনি থেমে নেই। প্রখর রোদেও হুড খোলা জিপে চড়ে জোর কদমে চালাচ্ছেন প্রচার।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী