শিলিগুড়ি: দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। দীপাবলি মানেই ‘কুছ মিঠা হো জায়ে।’ দীপাবলিতে বাড়িতে আলো যেমন জ্বলবে তেমন বাড়িতে মিষ্টিও খাবেন সকলে। আর মিষ্টি মানেই রসমালাই, মিষ্টি, ইমারতি, রাবড়ি, গুজিয়া। এগুলি তো আপনারা খেয়েই থাকেন। তবে এবার এই খাবার জিনিসে জ্বলবে আলো।
অবাক লাগছে তো? খাবার জিনিস আবার আলো কী করে জ্বলবে সেটাই ভাবছেন নিশ্চয়ই। আসলে শিলিগুড়ির এক শিল্পী তৈরি করেছে রসমালাই মোমবাতি, গজার মোমবাতি, ল্যাংচা মোমবাতি-সহ বিভিন্ন মিষ্টি খাবারের মোমবাতি।
আরও পড়ুন: শক্তি বাড়িয়েছে ‘দানা’-র ঘূর্ণি! ঝড়ে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বাংলার কোন জেলায়? সতর্ক করল আবহাওয়া দফতর
না, এই সমস্ত জিনিস কোনওটাই খাওয়া যায় না। তবে দেখতে হুবহু রসমালাইয়ের মতো। দেখেই লোভ লেগে যাবে। এই মোমবাতিগুলি আসলে সুগন্ধি মোমবাতি। মিষ্টি খাবারের মতো দেখতে এই সুন্দর মোমবাতিগুলি এবার কালীপুজোয় দারুন ট্রেন্ডিং। বাড়িতে এমন লোভনীয় খাবারের মতো দেখতে মোমবাতিগুলি তাই আপনিও একবার নিয়ে যেতে পারেন ঘর যেমন সুগন্ধময় হয়ে উঠবে তেমনি পুজোর ঘরটা দেখতেও ভাল লাগবে।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে দানা, তার আগেই ভয়ঙ্কর ঘটনা গঙ্গায়! নিখোঁজ ৩, মুর্শিদাবাদে হাড়হিম ঘটনা
আসলে এই সুগন্ধি মোমবাতি ট্রেন্ড কিছুদিন হল শুরু হয়েছে। শিলিগুড়ির শিল্পী তিতলি এই সুগন্ধি মোমবাতির কাজ করছেন বেশ কিছুদিন ধরে। এবছর দীপাবলির কথা ভেবেই তিনি এমন নতুন মিষ্টি খাবারের মোমবাতি তৈরি করেছেন। তিতলির কথায়, বাজারে যে মোমবাতিগুলি পাওয়া যায় সেগুলিতে প্যারাফিন জাতীয় কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, যেটা শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে এই হাতে তৈরি মোমবাতিগুলি ইকো ফ্রেন্ডলি সোব্যক্স দিয়েই তৈরি।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমি হাতেই মোমবাতিগুলি তৈরি করি, তাই যে কোনও ভাবেই কাস্টোমাইজ করে আপনারা মোমবাতি তৈরি করতে পারবেন।’ এবার বাজারে এই ফুড থিমের মোমবাতি বেশি চাহিদা রয়েছে। শিলিগুড়ির বাজারে তো বটেই বাইরের রাজ্যে ও তার তৈরি এই মোমবাতি পাড়ি দিয়েছে। তাই চিন্তা না করে ‘সেলেস্টিয়াল ক্যান্ডেল এসেন্স’ আপনিও হ্যান্ডমেড ক্যান্ডেল অর্ডার দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসতে পারেন।
অনির্বাণ রায়