সয়েল হেলথ কার্ড 

আপনার কাছে আছে এই কার্ড? সরকার কী কী সুবিধা দেবে জানুন

উত্তর দিনাজপুর: আপনি কি একজন কৃষক? আপনার কাছে আছে তো এই কার্ড? নইলে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবেন আপনি।

দেশের অর্থনীতির একটা বড় অংশ কৃষি ক্ষেত্রের অবদান রয়েছে। কৃষির আধুনিকরণ এবং উন্নয়নের জন্য ২০১৫ সালে রাজস্থানের সুরাটে সয়েল হেলথ কার্ড চালু করেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। এই সয়েল হেল্থ কার্ডের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি রাজ্যের কৃষকরা মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন।

এই রিপোর্টে মাটির নাইট্রোজেন ,ফসফরাস, পটাশিয়াম ,আয়রন-সহ বিভিন্ন রাসায়নিক ও ক্ষণিজ পদার্থের সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। শুধু তাই নয়, এই কার্ডের মাধ্যমে একজন কৃষক তাঁর জমির মাটিতে পুষ্টিগত অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় রাসায়নিক প্রদান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হবেন।

আরও পড়ুন: এই গাছ থেকে সহজেই লাখপতি হওয়া যাবে ! আপনার বাড়িতে আছে ?

দেশের সমস্ত কৃষককে ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের আওতাধীন করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রতিটি কৃষি খামার প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর একটি করে সয়েল হেলথ কার্ড পাবে। মাটির প্রকৃতি পরিবর্তন হলেও কৃষকদের আর উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই কারণ তারা প্রতিমুহূর্তে মাটির আপডেট পেতেই থাকবেন।

সয়েল হেলথ কার্ড এর মাধ্যমে মাটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন কৃষকরা। শুধু তাই নয় কোন মরশুমে কোন ফসলের চাষ করতে হবে তা নিয়ে তারা সচেতন হবেন। সেই অনুযায়ী সারাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও বিভিন্ন ব্লকে দেখা যাচ্ছে মাটি পরীক্ষা করার মাধ্যমে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল এখন আগের চেয়ে দ্বিগুণভাবে পাচ্ছে তাদের জমি থেকে।

আরও পড়ুন: ICICI Bank-এ ২৭০ দিনের জন্য ২,৭০,০০০ টাকার FD করতে পারেন, ম্যাচিউরিটির সময়ে পাবেন বিপুল টাকা, বুঝে নিন হিসেব

কৃষকরা জানান আগে তারা মাটি পরীক্ষা না করে চাষ করার ফলে তাদের ফসলের গুণগত মান যেমন খারাপ হত তেমনি ফসলও তেমন ভাবে উৎপন্ন হতো না। আর এখন তারা সরকারিভাবে মাটি পরীক্ষা করার পর তারা তাদের জমিতে কোন রাসায়নিক সার কতটা পরিমাণে দেবেন তা সেই সয়েল হেলথ কার্ড এর মাধ্যমে জানতে পারছেন। ফলে এখন তাদের দ্বিগুণ লাভ হচ্ছে ।

ইটাহার ব্লক কৃষি আধিকারিক গৌরব সাহা জানান এখন চাষের পদ্ধতি এবং প্রকৃতি আগের থেকে অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। আগে কৃষকরা তারা না জেনেই চাষাবাদ করতো তাদের জমিতে। এখন সরকারি পর্যায়ে সয়েল হেলথ কার্ডের মাধ্যমে তাদের মাটি পরীক্ষা করার পর তারা চাষাবাদ শুরু করেছে। এই মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড প্রকল্পের জন্য একজন কৃষককে আধার কার্ড, ঠিকানা প্রমাণ, পাসবুকের কপি এবং ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা ফর্মটির প্রয়োজন পড়বে।

তারপর এই সমস্ত নথি আপনি আপনার পার্শ্ববর্তী বিডিও অফিস কিংবা কিষাণ মান্ডিতে জমা দিতে পারবেন। আপনার জমা করা নথির ভিত্তিতে আপনার জমির মাটি পরীক্ষা করে আপনাকে সয়েল হেলথ কার্ড প্রদান করা হবে।

পিয়া গুপ্তা