দুয়ারসিনির প্রকৃতি ভ্রমণ কেন্দ্র

Monsoon Offbeat Destination Duarsini: বর্ষার পাহাড় জঙ্গলের মাঝে মনের মানুষের সঙ্গে নিভৃতে হারিয়ে যেতে চান? চলে আসুন ঘরের কাছেই দুয়ারসিনিতে

শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া : পর্যটন মানচিত্রে জেলা পুরুলিয়া অন্যতম। রুক্ষ এই জেলায় রয়েছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। ‌ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই জেলার রূপ পরিবর্তন হয়। ‌তাই কমবেশি সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে এই জেলায়। পর্যটনের মানচিত্রে এই জেলা অনেকখানি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পুরুলিয়ার অফবিট ডেস্টিনেশন গুলির মধ্যে অন্যতম দুয়াসিনি প্রকৃতি ভ্রমণ কেন্দ্র। বাংলা-ঝাড়খণ্ডের ট্যুরিজম সার্কিটকে যুক্ত করেছে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের এই দুয়ারসিনি প্রকৃতি ভ্রমণ কেন্দ্র। দুয়ারসিনি থেকে মাত্র কুড়ি কিমির মধ্যেই ঝাড়খন্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার গালুডি ও ঘাটশিলা। বান্দোয়ান থেকে প্রায় ১৭ কিমি দূরে কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের বান্দোয়ান দুই বনাঞ্চলের কুঁচিয়া বিটের অন্তর্গত এই দুয়ারসিনি।

এখানকার মনোরম পরিবেশে মন মুগ্ধ হয়ে যাবে আপনার। শান্ত নিরিবিলি সবুজে ঘেরা মন মাতানো দৃশ্য রয়েছে সর্বত্র। তাই পর্যটকেরা এই জায়গাকে বেছে নেয় নিরিবিলিতে সময় কাটাতে। অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের জন্য বিখ্যাত এই জায়গা। এবার এই দুয়ারসিনিকে নিয়ে আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা নিচ্ছে বনদফতর।‌ এ বিষয়ে কংসাবতী দক্ষিণ বন বিভাগের বিদায়ী ডিএফও অসিতাভ চ্যাটার্জী বলেন ,  ‘‘তিনটে আর্থিক বর্ষে দুয়ারসিনিতে যথেষ্টই মুনাফা লাভ হয়েছে। আগামী দিনে আমরা এখানে বেশ কিছু কটেজ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিচ্ছি। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দুয়ারসিনিকে আরও সুন্দরভাবে সাজানোর পরিকল্পনা চলছে।’’

আরও পড়ুন : উজ্জ্বল রঙের পাড় ও আঁচলজুড়ে জরির সূক্ষ্ণ কাজ, অন্ধ্রপ্রদেশের এই বিশেষ হ্যান্ডলুম শাড়ি পরেই বাজেট পেশ করলেন নির্মলা সীতারমণ

২০০১ সালের বাম আমলে ফেব্রুয়ারিতে বনদফতরের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী বিলাসীবালা সহিস এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। তার পর বছর পাঁচেক বনমহলের এই দুয়ারসিনিতে পর্যটন ব্যবসা জমে উঠলেও বাদ সাধে মাওবাদী কার্যকলাপ। এই ভ্রমণ কেন্দ্রের পাশেই বান্দোয়ান পঞ্চায়েত সমিতির নির্মীয়মাণ অতিথি নিবাসে মাওবাদীরা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণকরে। প্রকৃতি কেন্দ্রের কর্মীদের হুমকি দেওয়ায় ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায় এই পর্যটন কেন্দ্রের।রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১৬ সালে এই কেন্দ্রকে সাজিয়ে গুছিয়ে তোলার কাজ শুরু করা হয়।

কিন্তু পরবর্তীকালে টাকার অভাবে সীমানা প্রাচীরের কাজই করা যায়নি। ফলে কাজ শুরুর পরেও থমকে যায় এই পর্যটন প্রকল্প। পরে বনদফতর আরও ১১ লক্ষ টাকা ব্যয় করে এই কেন্দ্রকে ফের পূর্ণাঙ্গ পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলে। আর তার পর থেকেই এই ভ্রমণকেন্দ্র পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।