বউকে বিকিনিতে দেখতে চান, বিশেষ 'তোফা' স্বামীর৷

Dubai News: বউকে বিকিনিতে দেখতে চান, বিশেষ ‘তোফা’ স্বামীর, দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

দুবাই : বউ আবদার করেছিল৷ ফেলতে পারেননি স্বামী৷ পকেট থেকে মুহূর্তে খসালেন কোটি কোটি টাকা৷ কী কিনলেন? একটা আস্ত দ্বীপ৷ এর পিছনে কোন কারণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন৷

আরও পড়ুন : পৃথিবীর ভয়ঙ্কর কবরস্থানগুলি কোথায় আছে জানেন? দেখলেই ভয় কাঁপবে শরীর

সম্প্রতি এক দুবাইয়ের এক মহিলা একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন৷ সেখানে তিনি বলেছেন, তাঁর স্বামী কী ভাবে তাঁকে খুশি রাখতে কোটি কোটি টাকা খরচ করেন৷ সৌদি আল নাদাক নামের মেয়েটি আসলে ব্রিটিশ৷ কিন্তু বিয়ের পর তিনি দুবাই চলে এসেছেন৷ তিনি ও তাঁর স্বামী যেভাবে জলের মতো টাকা খরচ করেন, জানলে কপালে চোখ উঠবে আপনাদের৷

আরও পড়ুন : গাড়িতে কর্পোরেট অফিসের চেয়ার! বেঙ্গালুরু অটো চালকের কান্ড নেটদুনিয়ায় ভাইরাল

নাদাক জানিয়েছেন, তাঁকে একবার বিকিনিতে দেখতে চেয়েছিলেন তাঁর স্বামী৷ তবে দুবাই-এর বিচে নিরাপত্তার অভাবের কথা ভেবে বিচিত্র এক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি৷ নাদাক জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী প্রায় ৪১৮ কোটি টাকা খরচ করে একটা আস্ত দ্বীপ কিনে ফেলেছেন৷ উদ্দেশ্য একটাই, স্ত্রী যেন বিকিনি পরে গোটা দ্বীপে চূড়ান্ত মজা করতে পারেন৷ এবং তিনি যেন এক মুহূর্তের জন্যেও নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগেন৷

দুবাইয়ে পড়াশোনার জন্য এসেছিলেন নাদাক৷ সেখানে এসেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল জামাল আল আদাকের৷ যিনি দুবাইয়ের খুব বড় ব্যবসায়ী৷ বউয়ের জন্য তিনি এশিয়ায় দ্বীপ কিনেছেন৷ তবে বউ-এর পিছনে এত টাকা খরচের ব্যাপারটা এই প্রথম নয়৷ সৌদি নাদাক জানিয়েছেন, প্রতিদিন, প্রতি সপ্তাহ এবং প্রতিটি ছুটির সময় জামাল জলের মতো টাকা খরচ করে তাঁর জন্য৷ এর আগে বউকে খুশি করতে জামাল ইটালি চলে গিয়েছিল৷ এরপর ডায়মন্ডের আংটিও উপহার দিয়েছে বউকে৷ জানা গিয়েছে, এসবের জন্য সাড়ে আট কোটিরও বেশি টাকা খরচ করে ফেলেছেন জামাল৷

তবে বউ-এর বিকিনির জন্য গোটা দ্বীপ কিনে ফেলার ব্যাপারটা যে আসলে সত্যি নয়, সেটা খোলসা করেছেন সৌদি আল নাদাক৷ জানিয়েছেন, তাঁরা দুজনেই অনেকদিন ধরে কোনও কিছুতে বিনিয়োগের কথা ভাবছিলেন৷ তার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রাইভেট দ্বীপ কিনেছিলেন৷

ব্যাপারটা নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হতেই হাজারো কমেন্টের বন্যা৷ একজন লিখেছেন, শুধু দ্বীপ কিনলে চলবে না৷ খাবারও চাই৷ ওখানে কিন্তু উবের ইটস খাবার দেয় না৷ আর একজন লিখেছেন, জামাল যেন তাঁর স্ত্রীকে এভাবেই আগলে রাখেন, ভালোবেসে যান৷