নদিয়া জেলার পুরসভার কাজ নিয়ে যা বললেন মুখ্যমন্ত্রী

Nadia News: জেলার দুই পুরসভার কাজে রুষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী! দিলেন ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি

নদিয়া: মিউনিসিপ্যালিটি, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং উন্নয়ন বিভাগের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে রীতিমতো রণংদেহি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কাজের নিরিখে বেস্ট পারফরমেন্সের খতিয়ানে এবং খারাপ পারফরমেন্সের খতিয়ান তুলে ধরে বিভিন্ন পৌরসভার নাম তুলে ধরেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে নদিয়ার বেশ কিছু পৌরসভা কথা উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে৷ এ দিন ভাল কাজের নিরিখে কৃষ্ণনগর পৌরসভা, নবদ্বীপ পৌরসভার নাম করলেও খারাপ কাজের জন্য শান্তিপুর এবং কুপার্স ক্যাম্প এই পৌরসভা গুলির নাম উঠে আসে৷

তারপরেই তিনি জানান এইভাবে চলতে থাকলে পৌরসভা তিনি ভেঙে দেবেন৷ যদিও তিনি বেশ কিছুদিন হাতে সময় দিয়েছেন৷ তারপরও যদি পৌরসভাগুলি তাদের কাজের নিরিখে মানুষের কাছে পৌঁছতে না পারে, তারপরে তিনি পৌরসভাগুলি ভেঙে দিতে বাধ্য হবেন, তখন যেন কেউ কিছু মনে না করেন৷ তার কারণ এতদিন অনেক তিনি বুঝিয়েছেন, আর নয়৷

নতুনভাবে মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর পৌরসভাগুলি আর সেখানেই ঘুরছে বিপত্তি জমি বিক্রি এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে তোলা আদায় সমস্ত বিষয়েই এদিন উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে৷ তবে রাজ্যের দু’টি পৌরসভা ঝালদা এবং তাহেরপুর পৌরসভাকে না ডাকার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান তৃণমূল কংগ্রেসের পৌরসভাগুলি নিজেদের পৌরসভা সেখানে নিজেদের মানুষকে বকাবকি করা যায়, কিন্তু অন্য দলের মানুষকে বকাবকি তিনি করতে পারেন না৷ সেই পৌরসভাগুলি রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও রকম কোনও সম্পর্ক রাখে না। তারা তাদের মতো কাজ করুক এই আশায় তিনি রাখেন।

এদিন জেলাশাসক, মহকুমা শাসক থেকে বিভিন্ন থানার ওসি, আইসি অনেকের বিরুদ্ধেই তোপ দাগতে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন বিভিন্ন পৌরসভা মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে , যা কখনওই মেনে নেব না আমি, মানুষের প্রয়োজনে না লাগলে রেখে লাভ কী পুরসভা, পঞ্চায়েত? সরকারি জমি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এর কাজ একেবারেই হচ্ছে না। হাউসিং কিংবা পানীয় জল নিয়ে মানুষের অভিযোগের শেষ নেই, প্রত্যেক পুরসভা সম্পর্কে আমার কাছে রিপোর্ট আছে।

আর এই নিয়েই শান্তিপুর পৌরসভার অন্তর্গত সিপিআইএম এবং বিজেপি সুর চড়িয়েছেন শান্তিপুর পৌরসভার বিরুদ্ধে। নানাভাবে কটাক্ষ করেছেন তারা।বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দেরি তো হলেও বোধদয় হয়েছে। আমরা যেটা সারা বছর বলে থাকি উনি এখন সেটা বলছেন। সিপিআইএম এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগেও দুর্নীতি হয়েছে বর্তমানেও হচ্ছে এ আর নতুন কিছু নয়।

তবে এ প্রসঙ্গে শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ আমাদের জানান তিনি আমাদের সর্বময় প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কাজে ভুল ত্রুটি থাকলে ধরিয়ে দেবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে এক্ষেত্রে ভিডিও ফুটেজটি ভাল করে দেখলে বোঝা যাবে জল পরিষেবা নিয়ে শান্তিপুর পৌরসভা ঘাটতি তিনি উল্লেখ করেছেন বটে তবে পুরসভা ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে হাউসিং সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি পুরসভার নাম করেই তিনি বলেছেন। এক্ষেত্রে বিরোধীরা রাজনীতি করতে পারেন তবে ভাল কাজে তাদের পাশে পাওয়া যায় না। সামগ্রিকভাবে শান্তিপুর পৌরসভার কাজ কর্মে খুশি মুখ্যমন্ত্রী, যে বিষয়ে ভুল আছে শুধুমাত্র সেটাই উল্লেখ করেছেন।

Mainak Debnath