জলপাইগুড়ি: একই পাড়ায় দুই দুর্গা! এদের গল্পও ভিন্ন! অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন এ আবার কোন দুর্গার বিষয়ে বলা হচ্ছে..! এ হল জলপাইগুড়ি শহরের একটি পাড়ার দুটি ভিন্ন গল্প। এক পাড়ায় দুই দুর্গার আরাধনার প্রস্তুতি শুরু ইতিমধ্যেই।
আরও পড়ুন: ১০০০ টাকা নিয়ে এই দেশে গেলেই হবে ৩ লাখ, সস্তায় ছবির মতো সুন্দর বিদেশ ঘুরতে যাবেন নাকি?
যতই বাইরে গিয়ে ঠাকুর দেখার পরিকল্পনা থাকুক না কেন পাড়ার পুজোর মেজাজই আলাদা। তবে জলপাইগুড়ি পাতকাটা কলোনী এলাকা খাতায় কলমে একটি পাড়া হলেও দুটি দুর্গার আরাধনা করা হয় মহাধুমধাম করে। আসলে এই পাড়ায় রয়েছে দু’টি ক্লাব আর দুই ক্লাবের পক্ষ থেকেই পুজো হয় বড় বাজেটের। শহরের অন্যান্য বড় পুজোগুলোর মধ্যে জলপাইগুড়ির পাতকাটা কলোনির অগ্রণী সংঘ ক্লাব এবং পাতকাটা কালচারাল ক্লাবের পুজো শহরবাসীর নজর কাড়ে। দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীদের সমাগম হয় চোখে পড়ার মতো। কখনও কখনও ভিড় সামাল দেওয়াও মুশকিল হয়ে পড়ে পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের।
আরও পড়ুন: কে চালাবেন বন্দে ভারত! দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে হাতাহাতি ট্রেনের চালকদের, ভাইরাল ভিডিও
প্রত্যেক বছর নতুন থিম জলপাইগুড়িবাসীদের উপহার দেয় এই দুই ক্লাব। এবছরের থিমও শহরবাসীর নজর কাড়বে বলেই আশাবাদী ক্লাব কর্তৃপক্ষ। অগ্রণী সংঘ ও পাঠাগারের পুজোর থিম মন্দির হলেও তৈরি হবে একেবারে দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের অনুকরণে। পাতকাটা কালচারাল ক্লাবের পুজোর থিম হল তামিলনাড়ুর অন্যতম জনপ্রিয় আদিযোগী পার্বত্য ধাম৷ এই মন্দির দর্শন করতে সমতল থেকে প্রায় ৪০ ফিট উপরে উঠে দেবী দুর্গাকে দর্শন করতে হবে। মাটির প্রতিমা হলেও জ্যান্ত মা’-এর স্পর্শ থাকবে মূর্তিতে। এক পলকে দেখলে জীবিত দুর্গা বলেই মনে হবে। পুজোর চারদিন মন্ডপ চত্বর জুড়ে বসে মেলা। খাবারদাবারের দোকান থেকে শুরু করে সাজগোজ কিংবা ঘর সাজানোর বহু সামগ্রী নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। দুটো ক্লাবের পুজোর মধ্যে সেরা পুজো হবার লড়াই চলে প্রতি বছর। সব মিলে জলপাইগুড়ির ‘এক পাড়ার দুই পুজো’-কে ঘিরে জলপাইগুড়িবাসীর উন্মাদনা এখন থেকেই তুঙ্গে।