কদম ফুল তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পী

Durga Puja 2024: বয়সের ভারে ক্লান্ত! তবুও বাঁচিয়ে রেখেছেন প্রাচীন প্রথা, পুজো এলেই তৈরি করেন শোলার কদম ফুল

কোচবিহার: বাঙালির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই চলতি বছরের দুর্গাপুজো উপলক্ষে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জেলা জুড়ে। তবে দুর্গাপুজোর মধ্যে বেশ কিছু পুরনো রীতি ও প্রথা জড়িয়ে রয়েছে। প্রতিবছর দুর্গাপূজার আসলেই এই বিষয়গুলি মনে পড়ে সকলের।

এমনই একটি রীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শোলার কদম ফুল। এই কদম ফুল শোলা দিয়েই তৈরি করা হয়। দুর্গা পুজোর বিজয়া দশমীর দিন দেবীর পায়ে অর্পণ করা হয় এই কদম ফুল। তারপর বাড়িতে রাখা হয় এই দেবীর পায়ের অর্পণ করা কদম ফুল।

আরও পড়ুন: বাড়বে ত্বকের জেল্লা, কমবে স্ট্রেস, একাধিক গুণের ভাণ্ডার অ‍্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা আমন্ড! কিন্তু কীভাবে খাচ্ছেন? একই ভুল আপনিও করছেন না তো?

কোচবিহারে এক প্রবীণ শোলা শিল্পী রাধাকান্ত বর্মন জানান, “দীর্ঘ প্রায় ৭০ থেকে ৭২ বছর যাবত এই কাজ করছেন তিনি। দীর্ঘ সময় আগে তাঁর এলাকার এক মালাকারের কাছ থেকে এই কাজ শিখেছিলেন তিনি। বর্তমান সময়ে এই কাজের সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে তাঁর। একটা সময় অনেক বেশিক্ষণ সময় ধরে এই কাজ করতে পারতেন। বর্তমান সময়ে খুব একটা বেশি সময় ধরে কাজ করতে পারেন না। তবুও দুর্গা পুজোর আসার আগে থেকেই এই কাজ করে থাকেন বাড়িতে বসে বসে। প্রতিবছর প্রায় হাজারটির মতন কদম ফুল তৈরি করেন তিনি।”

তিনি আরও জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর তৈরি এই কদম ফুল মানুষ দুর্গা পুজোর সময় কিনে নিয়ে যান এবং পুজোর পর বাড়িতে রাখেন। তাই অনেকটাই ভাল লাগে তাঁর। মূলত এই আবেগের কারণেই দীর্ঘ সময় ধরে এই কাজ করতে খুব ভালবাসেন তিনি। তাই বয়স বাধা হয়ে দাঁড়ালেও এই কাজ থামাননি তিনি। আগামী দিনেও এই কাজ করবেন যদি সুস্থ থাকেন তিনি। বর্তমানে এই এক একটি কদম ফুল বিক্রি হয় ১০ টাকায়। তাই মুনাফা হয় সামান্য কিছুটা।”

আরও পড়ুন: বাড়িতে টিকটিকির ডিম দেখা কীসের সঙ্কেত? ফেলে দেওয়া উচিত শুভ নাকি অশুভ? জানালেন জ‍্যোতিষী

দীর্ঘ সময় পরেও বাঙালির মধ্যে এই কদম ফুল কেনার আগ্রহ কমেনি বিন্দুমাত্র। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রকমারি রঙের কদম ফুল বাজার দখল করেছে। আগামী দিনেও এই কদম ফুলের চাহিদা অক্ষুন্ন থাকবে এইটুকু প্রত্যাশা এই প্রবীণ শিল্পীদের।

Sarthak Pandit