উত্তর দিনাজপুর: বাঙালি মানেই মিষ্টির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক। দুর্গাপূজা থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত চলে এই মিষ্টির পর্ব। উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে থাকলেও মিষ্টি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয় এটা এখন কম বেশি সকলেই বুঝে গিয়েছেন। তাই বছরের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো থেকেই মিষ্টি খাওয়া কিছুটা বিরত রাখছেন বাঙালি।
পুজো মানেই যদিও বাড়িতে মিষ্টিমুখ। পুজোর এই কয়েকটা দিন বাড়িতে বন্ধু আত্মীয়দের আগমন লেগেই থাকে। সারা বছর যে যেখানে কাজের সূত্রের বাইরে থাকুক না কেন পুজোর দিন গুলিতে সকলেই নিজের বাড়িতেই ফিরে আসে। তাই তখন মিষ্টিমুখ না হলে ঠিক জমে না। এছাড়াও আত্মীয় স্বজনের আনাগোনা প্রায় দিন লেগেই থাকে।
আরও পড়ুন: বলুন তো কোন প্রাণীর দুধ থেকে ‘দই’তৈরি করা যায় না? খুব চেনা সকলের, তাও ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন
তবে সারা বছর অনেকেই ডায়েট করে নিজেকে স্লিম এবং ফিট রাখেন। আবার অনেকে ডায়াবেটিসের ভয়ে মিষ্টি খান না। তাদের ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের রশিদপুরের বিশিষ্ট মিষ্টির প্রতিষ্ঠান এবার নিয়ে এসেছে হরেক স্বাদের সুগার-ফ্রি মিষ্টি।
জানা যায় এবারে পুজোর আগেই বেড়ে গিয়েছে সুগার-ফ্রি মিষ্টির চাহিদা । মাত্র ১০ টাকা দামের এই সুগার ফ্রি মিষ্টি কিনতে ভিড় ক্রেতাদের। এক বিশিষ্ট মিষ্টির প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার রাজিব ঘোষ, জানান বর্তমানে প্রতিটা মানুষই সুগার প্রেসারে এবং নানা রোগে জর্জরিত তাই পুজোর মরশুমেও চিনি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে সুগার-ফ্রি সন্দেশ ও সুগার-ফ্রি মিষ্টি খুঁজছেন ক্রেতারা।
আরও পড়ুন: আদৌ চা পাতা তো? সকাল সকাল পেটে যাচ্ছে ভেজাল! ঝাঁঝরা করছে শরীর, ‘আসল চা’ চেনার উপায় জানুন
এতে কোনও রকমের চিনির ব্যবহার করা হয় না। ছানা ছাড়াও এই মিষ্টি বানাতে দেশী ঘি, এলাচ গুঁড়ো ও বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুট ব্যবহার করা হয়। তাই পুজোর মধ্যে বাজারে বেশ চাহিদা সুগার-ফ্রি মিষ্টির।
পিয়া গুপ্তা