জিরাট সার্বজনীনার ৭৫ বছরের নিবন্ধন অযোধ্যা রাম মন্দির

Durga Puja 2024: দুর্গাপুজোয় বিশাল চমক, অযোধ্যার রামমন্দির এবার হুগলিতে

হুগলি: মা আসছেন। দুর্গাপুজোর আর এক মাসও বাকি নেই। চারিদিকে চলছে জোর প্রস্তুতি, সাজো সাজো রব। জোরকদমে চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ, দেবীকে বরণ করে নিতে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই।

কলকাতার পাশাপাশি পিছিয়ে নেই জেলা-ও। হুগলির বলাগড়ে এবার নজর রয়েছে সকলের। দুর্গাপুজোয় বিরাট-বিরাট মণ্ডপ তৈরি করছে পুজো কমিটিগুলি। নজর কড়েছে জিরাট সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। প্রতিবছরই মণ্ডপসজ্জায় থাকে তাদের বিশেষ চমক। এ’বছরও তার ব্যাতিক্রম ঘটছে না। এ’বছর তাদের প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী বর্ষ। থিম অযোধ্যার রামমন্দির।

ইতিমধ্যেই মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।  পরিবেশ বান্ধব মণ্ডপ তৈরি করতে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ, ফোম, ভেষজ রং, পাট। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আলোকসজ্জাতেও থাকছে বিশেষ চমক। শব্দের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমুহূর্তে রং পরিবর্তন হবে মণ্ডপের।  চারপাশ জুড়ে থাকবে নারায়ণ, রাম, সীতা ও হনুমানের মূর্তি। প্রায় এক মাস ধরে চলছে এই মণ্ডপ তৈরির কাজ। তৃতীয়ার মধ্যে মণ্ডপের কাজ সমাপ্ত করতে হবে, তাই এখন নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজে ব্যস্ত শিল্পীরা।

শিল্পী তপন কুমার পাত্র বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির যতটা জমি জুড়ে, এখানে ততটা জায়গা পাওয়া যায়নি। কিছুটা কাটছাঁট করেই এই মণ্ডপ নির্মাণ করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ মণ্ডপে ফাইবারের কাজ করা হবে । মণ্ডপের  চারপাশ জুড়ে থাকবে রামের মূর্তি এবং মণ্ডপের ভিতরে ২৫ ফুট বাই ২৫ ফুট-এর একটি ঝাড় তৈরি করা হবে।

পুজো কমিটির সেক্রেটারি নীলাদ্রি মণ্ডল বলেন, ভারতবর্ষে সবথেকে চর্চিত মন্দির হল রামমন্দির। গ্রামের বহু মানুষ আছেন, যাঁরা রামমন্দির দেখার স্বপ্ন দেখলেও, সেখানে পৌঁছতে পারবেন না। তাই আমরা রামমন্দিরের অনুকরণে পূজা মন্ডপ তৈরি করছি। পুজোর বাজেট প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। প্রতিমাতেও কোন বদল ঘটবে না। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সনাতনী মাত্রিমূর্তি পূজিত হবে মণ্ডপে।

রাহী হালদার