পূর্ব বর্ধমান: সামনে বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। কারণ মাঝে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই শারদ উৎসবে মাতবে বঙ্গবাসী। দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলে চোখে পড়ে থিমের জাঁকজমক। নতুন বিষয় ভাবনা নিয়ে হাজির হন পুজো উদ্যোক্তারা। তেমনইকলকাতার একটি মণ্ডপ এবার সেজে উঠতে চলেছে পূর্ব বর্ধমানের এক শিল্পীর শিল্প কর্মে। শিল্পীর ছোঁয়ায় নতুন করে সেজে উঠছে প্রাণহীন গাছ। পাড়ি দেবে কলকাতার পুজো প্যান্ডেলে। এখন জোর কদমে চলছে তারই প্রস্তুতি।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া -২ ব্লকের অন্তর্গত অগ্রদ্বীপের বাসিন্দা অক্ষয় ভাস্কর। পেশায় তিনি একজন শিল্পী। আসন্ন দুর্গা পুজোয় কলকাতার বেহালার একটি পুজো উদ্যোক্তাদের থেকে বরাত পেয়েছেন তিনি। সেই মত একটি বিশালাকার গাছের গুড়ির ওপর তিনি ফুটিয়ে তুলছেন তাঁর শিল্পকর্ম। যেন শিল্পীর ছোঁয়ায় নতুন করে প্রাণ সঞ্চার হচ্ছে প্রাণহীন এই গাছে। এই প্রসঙ্গে শিল্পী অক্ষয় ভাস্কর জানিয়েছেন,”একটা প্রাণহীন গাছে এই শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। এই গাছের মধ্যেই থাকবে দেবী দুর্গার মুখ এবং লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গনেশ। বাহনরা থাকবে গাছের নিচের দিকে। প্রাণহীন গাছ নতুন রূপে ফিরে আসছে সেটাই দেখানো হবে।”
লম্বায় প্রায় বারো ফুট দীর্ঘ এই গাছের গুড়ির ওপর শিল্পী ফুটিয়ে তুলছেন দেবী দুর্গার মুখ। পাশাপাশি দেবী দুর্গার সন্তান এবং পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান। শিল্পী অক্ষয় ভাস্কর জানিয়েছেন, প্রায় এক লক্ষ টাকা বরাতের এই কাজটি সম্পূর্ণ করতে সবমিলিয়ে প্রায় একমাসের কাছাকাছি সময় লাগবে। প্রসঙ্গত, এর আগে পূর্ব বর্ধমানের এই শিল্পীর কাজ পাড়ি দিয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এমনকী তাঁর হাতের কাজ পৌঁছে গিয়েছে কানাডা, আমেরিকার প্রভৃতি দেশেও। এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন,”১৭/১৮ বছর ধরে পুজোর কাজ করে আসছি। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও আমার কাজ গিয়েছে। এখন পুজোর কাজ করা আমাদের নেশা হয়ে গিয়েছে। পয়সা সেরকম না থাকলেও কাজ করতে ভালো লাগে।”
বনোয়ারীলাল চৌধুরী