রুদ্রনারায়ণ রায়, উত্তর ২৪ পরগনা: দেবীপক্ষের সূচনায় মহালয়ার সকাল থেকেই অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের এই জনপ্রতিনিধিকে সামলাতে হয় এক বিশেষ আবদার। ভোরের মহালয়া এলাকার যারা মিস করেন, তারাই এই বিশেষ দিনে হাজির হন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রীকান্ত চৌধুরীর বাড়িতে। কারণ তাঁর গলায় মহালয়ার চণ্ডীপাঠ যেন মুগ্ধ করে সকলকে। চোখ বন্ধ করে শুনলে যেন মনে হয় চলছে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের সেই কালজয়ী মহালয়া পাঠ।
দীর্ঘ বছর ধরে এভাবেই এলাকার বহু মানুষের আবদার মেটান তিনি। শুধু এলাকাবাসীদেরই নয়, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অনুরোধেও মহালয়া পাঠ করতে হয় এই জনপ্রতিনিধিকে। সারাবছরই মানুষের সেবায় ব্যস্ত থাকতে হয় তাঁকে। পুরসভা হোক বা মিটিং মিছিল-সবখানেই স্বমহিমায় দেখা যায় এই জনপ্রতিনিধিকে। তবে মহালয়ার সকালে নিজের সমস্ত ব্যস্ততা সরিয়ে রেখেই ফাঁকা রাখেন মানুষকে মহালয়ার আনন্দ দিতে। সকাল থেকেই বিভিন্ন সময়ে মানুষজন এসে আবদার করেন মহালয়া শোনার।
আরও পড়ুন : বৃহস্পতিবার রাজ্যের কোথায় কোথায় বৃষ্টি? আগামিকালও ভিজবে কলকাতা? জানুন ওয়েদার আপডেট
তাই হারমোনিয়াম নিয়ে যেন সদা প্রস্তুত থাকেন শ্রীকান্ত। কারওর আবদারই ফেরার না তিনি, হন না বিরক্ত। জনপ্রতিনিধি শ্রীকান্ত চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোনও ফিল্মস্টার বা সঙ্গীত শিল্পীদের যেমন গুণমুগ্ধ ভক্ত থাকেন, তেমন তিনিও ছোটবেলা থেকে ভক্ত বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের। বাবার কাছ থেকেই শেখা এই চণ্ডীপাঠ। তবে তাঁর মুখের চণ্ডীপাঠ শুনতে এখন ভালবাসেন সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে নানা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও। এক সময় রঞ্জিত মল্লিকের বাড়িতে গিয়েও চণ্ডীপাঠ করতে হয়েছিল তাঁকে। সকলেই তাঁর এই চন্ডীপাঠে হন মুগ্ধ। তাই জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব সামলে মহালয়ার সকালে তার এই চণ্ডীপাঠ যেন এলাকার মানুষদের দেয় এক অনন্য অনুভূতি।
দুর্গা পুজো ২০২৪, ফিচার , পুজো 360, পুজো ইন্টিরিয়র, পুজোর রেসিপি, দুর্গা পুজোর ভ্রমণ, বনেদি বাড়ির পুজো, জেলার পুজো, অন্য পুজো