হুগলি: দুর্গাপুজোর মন্ডপ জুড়ে বাস্তব সমাজের চিত্র! সমাজের পুরুষতান্ত্রিকতাকে ছেঁটে ফেলে নারীভিত্তিক সমাজ গড়ার বার্তা নিয়ে মন্ডপ তৈরি করেছেন শ্রীরামপুর আপনজন ক্লাব। দশম বর্ষে তাদের নিবেদন গণদেবতা ! মন্ডপের বাইরে রয়েছে বাংলা ভাষা ধ্রুপদী ভাষার তকমা পাওয়ার সমস্ত খবরের কাগজের কাটিং। আর মন্ডপের ভেতরে প্রবেশ করলে বদলে যাবে পুরো দৃশ্য!
মন্ডপের মধ্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বর্তমান সমাজের কথা। মন্ডপের ভেতরে দশ হাতের নয় বরং দু’হাতের দেবী দুর্গা রয়েছেন। এখানে অসুর বলতে পুরুষতান্ত্রিকতার লোভ-লালসাকে বোঝানো হয়েছে। যেভাবে প্রতিদিন নারী নির্যাতন বেড়ে চলেছে তার প্রতিবাদ স্বরূপ এই মন্ডপ এমনটাই জানিয়েছেন মণ্ডপ নির্মাতা উত্তম রায়। মন্ডপের মধ্যে রয়েছে অনেক ছোট থেকে বড় মহিলাদের প্রতিকি মূর্তি। এবং গোটা মণ্ডপ জুড়ে নারীবাদী চেতনার উদ্ভাবনের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মণ্ডপের থিম নির্মাতা ও পূজা উদ্যোক্তা উত্তম রায় বলেন, প্রতি বছরই মা-কে নিয়ে মন্ডপের কাজ করেন তারা। এই বছরের ঘটেনি তার ব্যতিক্রম ! পুরুষতান্ত্রিকতার জাল ছেড়ে নারী তান্ত্রিক সমাজ গঠনের বার্তা নিয়ে তাদের এই মন্ডপ তৈরির কাজ। গোটা মন্ডপে পুরুষদের মূর্তি তাকে করে দেওয়া হয়েছে এক কোণে। এবং গোটা মন্ডপে মহিলাদের প্রতীকী মূর্তি রাখা রয়েছে।
ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি কাঁটা হাত যাকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে কিছু মহিলা। এর থেকে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন ধর্ষকদের হাত কেটে ফেলে দেওয়ার কথা। একই সঙ্গে মণ্ডপের মধ্যে লেখা রয়েছে আমি সেই মেয়ে। এই দিয়ে তিনি বার্তা দিয়েছেন সমাজের সকল স্তরের নারীদের সুরক্ষার কথা এবং যে পুরুষতান্ত্রিকতা তাকে ছেড়ে বেরিয়ে নারীতান্ত্রিক সমাজ গঠনের বার্তা।
রাহী হালদার