বর্গীদের তৈরি বাংলার প্রথম রাজবাড়ী

Durga Puja Trip: রাজা-রানির মতো পুজো কাটাতে চান? ঘুরে আসুন ‘লুটেরা’র সেই রাজবাড়িতে, খরচও মধ্যবিত্তের নাগালে

*সোনাক্ষী সিনহা এবং রণবীর সিং অভিনীত
*সোনাক্ষী সিনহা এবং রণবীর সিং অভিনীত “লুটেরা” সিনেমার কথা মনে আছে? যেখানে সোনাক্ষি সিনহা বাঙালি এক জমিদার বাড়ির মেয়ে হিসেবে দেখানো হয়েছিল। কেন এই কথা? কারণ যে প্রসাদটি দেখানো হয়েছিল সিনেমায়, সেই প্রাসাদটি ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে বাংলার অনেক ইতিহাস।
*বাংলার বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে,
*বাংলার বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে, “খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়াল, বর্গী এল দেশে”। সেই বর্গীদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই প্রাসাদের ইতিহাস। কলকাতা থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এমন প্রাসাদ। পুজোর ছুটিতে কিংবা একদিন রাজকীয়ভাবে কাটাতে যে কেউ ঘুরে আসতে পারেন এই রাজবাড়ী থেকে।
*ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, বাংলায় বারংবার লুটপাট চালানোর জন্য বর্গিরা আক্রমণ চালিয়েছিল। বাংলার নবাব আলিবর্দি খাঁ আর বর্গিদের মধ্যে শান্তিস্থাপিত হলে রাধামাধব কুন্দ্রা বাংলাতেই থেকে যান। তিনি সীমান্ত পেরিয়ে চলে যাননি অন‍্য মারাঠাদের মতো। তিনি বাংলা লুঠের ধনসম্পত্তি এবং চাষবাস থেকে উপার্জিত থেকে অর্থ দিয়ে গড়ে তোলেন ইটাচুনা গ্রাম। আর সেখানেই তিনি গড়ে তোলেন এক স্থায়ী জমিদারি।
*ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, বাংলায় বারংবার লুটপাট চালানোর জন্য বর্গিরা আক্রমণ চালিয়েছিল। বাংলার নবাব আলিবর্দি খাঁ আর বর্গিদের মধ্যে শান্তিস্থাপিত হলে রাধামাধব কুন্দ্রা বাংলাতেই থেকে যান। তিনি সীমান্ত পেরিয়ে চলে যাননি অন‍্য মারাঠাদের মতো। তিনি বাংলা লুঠের ধনসম্পত্তি এবং চাষবাস থেকে উপার্জিত থেকে অর্থ দিয়ে গড়ে তোলেন ইটাচুনা গ্রাম। আর সেখানেই তিনি গড়ে তোলেন এক স্থায়ী জমিদারি।
বাংলায় থাকতে থাকতে মারাঠি কুন্দ্রা পরিবার হয়ে ওঠে সম্পূর্ণভাবে বাঙালি পরিবার। এমনকি মারাঠি ‘কুন্দ্রা’ পদবি বদলে হয়ে যায় ‘কুণ্ডু’ তে। এই পরিবারের জমিদার সাফল্যরাম কুণ্ডু প্রায় ২০ বিঘা জমির উপর ১৭৬৬ সালে তৈরি করেছিলেন এই বিশাল রাজবাড়ি। ইটাচুনার এই রাজপ্রাসাদকে এখনও আঞ্চলিক মানুষ ‘বর্গিডাঙা’ বলে ডাকে। কারণ শেষমেশ এই বাড়ি বর্গিদের তৈরি করা রাজবাড়ি বলে কথা!
বাংলায় থাকতে থাকতে মারাঠি কুন্দ্রা পরিবার হয়ে ওঠে সম্পূর্ণভাবে বাঙালি পরিবার। এমনকি মারাঠি ‘কুন্দ্রা’ পদবি বদলে হয়ে যায় ‘কুণ্ডু’ তে। এই পরিবারের জমিদার সাফল্যরাম কুণ্ডু প্রায় ২০ বিঘা জমির উপর ১৭৬৬ সালে তৈরি করেছিলেন এই বিশাল রাজবাড়ি। ইটাচুনার এই রাজপ্রাসাদকে এখনও আঞ্চলিক মানুষ ‘বর্গিডাঙা’ বলে ডাকে। কারণ শেষমেশ এই বাড়ি বর্গিদের তৈরি করা রাজবাড়ি বলে কথা!
*এই প্রাসাদ ভ্রমণপিপাসুদের কাছে ভীষণ‌ই জনপ্রিয়। বর্তমানে ব্যক্তি মালিকানাতেই রয়েছে এই প্রাসাদ। রাজপরিবারের বর্তমান সদস্যরাই এখন এই বাড়িটির তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এখন এখানে পর্যটকদের জন্য রয়েছে হোম স্টে’র দারুণ বন্দোবস্ত। এক‌ইসঙ্গে এখানে রয়েছে রাজকীয় খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। পর্যটনকেন্দ্র তো বটেই শুটিং স্পট হিসেবেও এই রাজবাড়ির বেশ নাম আছে। হিন্দি থেকে বাংলা বহু সিনেমার‌ই শুটিং হয়েছে এখানে। আর তাই ইতিহাস আর আভিজাত্যের চাদরে মোড়া এই রাজবাড়ি অমোঘ আকর্ষণ ইতিহাস প্রেমীদের জন্য।
*এই প্রাসাদ ভ্রমণপিপাসুদের কাছে ভীষণ‌ই জনপ্রিয়। বর্তমানে ব্যক্তি মালিকানাতেই রয়েছে এই প্রাসাদ। রাজপরিবারের বর্তমান সদস্যরাই এখন এই বাড়িটির তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এখন এখানে পর্যটকদের জন্য রয়েছে হোম স্টে’র দারুণ বন্দোবস্ত। এক‌ইসঙ্গে এখানে রয়েছে রাজকীয় খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। পর্যটনকেন্দ্র তো বটেই শুটিং স্পট হিসেবেও এই রাজবাড়ির বেশ নাম আছে। হিন্দি থেকে বাংলা বহু সিনেমার‌ই শুটিং হয়েছে এখানে। আর তাই ইতিহাস আর আভিজাত্যের চাদরে মোড়া এই রাজবাড়ি অমোঘ আকর্ষণ ইতিহাস প্রেমীদের জন্য।