বহরমপুরে প্রদর্শনীতে শাড়ির সম্ভার

Pujo Shopping: দুর্গাপুজোর আগেই ‘গৌরী এল’! পুজোর কেনাকাটার মরশুমে শাড়ির সেরা সম্ভার, কোথায় চলছে? জেনে নিন

মুর্শিদাবাদ:  দুর্গাপুজো আর বেশিদিন বাকি নেই। ইতিমধ্যেই রথের দিনে কাঠামো পুজোর মধ্যে দিয়েই শুরু হয়েছে পুজোর কাউন্টাউন। দুর্গাপুজোর আগে বহরমপুর শহরে ‘গৌরী এল’। পুজোর আগেই তিন দিনব্যাপী শাড়ি, হস্তশিল্প ও খাবারের প্রদর্শনী নিয়ে ‘গৌরী এল’ বহরমপুর শহরে পৌর আর্ট গ্যালারিতে। পুজোর আগে নিজের পরিবারের ও প্রিয় মানুষদের জন্য পছন্দ মতো কাপড় থেকে রকমারি জিনিস কিনছেন ক্রেতারা।

অক্টোবর মাসে পুজো হলেও জুলাই মাস থেকেই পুজোর শাড়ির সম্ভার নিয়ে বিক্রি শুরু হচ্ছে ইতি মধ্যেই। পুজো দেরি হলেও কেনাকাটায় কোনও আপস করতে রাজি নন কেউই। অনলাইনে টুকিটাকি কেনাকাটা সারলেও বাজারে গিয়ে দশটা দোকান ঘুরে পোশাক বাছাই করতে না পারলে পুজোর কেনাকাটা যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

আরও পড়ুন: চুলের স্বাস্থ‍্য থেকে হার্ট, ফুসফুস, হাজারো রোগ দূরে রাখে! রান্নাঘরে অবহেলায় পড়ে এই ‘সুপারফুড’, গরমে সুস্থ থাকতে এখনই খান

তিনদিন ধরে বহরমপুর শহরে চলছে হস্তশিল্প ও পেট পুরে খাবারের প্রদর্শনী। যা ‘গৌরী এল’ নামেই বিখ্যাত। প্রত্যেক বছর পুজোর আগে চারিদিকে এগ্জিবিশনের ছড়াছড়ি হয়। বছরের এই একটা সময়ের জন্য সকলেই মনে-মনে কাউন্টডাউন করে চলেন। পুজোকে ঘিরে কত মানুষের কত স্বপ্ন থাকে।

কাছের মানুষদের সঙ্গে দেখা, বন্ধুদের সঙ্গে পেন্ডিং আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া সব কিছু তুলে রাখা থাকে পুজোর এই কয়েকটা দিনের জন্য। চারিদিকে আলোর রোশনাই, ঢাকের বাদ্যি, কাশের মেলা, ভোরের শিউলি। পুজোবার্ষিকী এক লহমায় আমাদের মন ভাল করে দেয়। এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁদের পুজোর এই বিক্রিবাট্টাকে কেন্দ্র করেই সারাবছর সংসার চলে।

আরও পড়ুন: প্লেনের টায়ারেও কি হাওয়া ভরা থাকে? রবার দিয়েই তৈরি…নাকি অন্যকিছু, জানেন না ৯৯% শতাংশ মানুষ

উদ্যোক্তা অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বহরমপুরে তিনদিনের এই হস্তশিল্পের সম্ভারে আছে মাটির হাতের কাজ, ঠিক তেমনই আছে বিভিন্ন শাড়ি ও মেয়েদের পোষাক। এমনকি আছে খাদ্যের সম্ভার। মহিলারা নিজের পায়ে স্বর্নিভর হয়ে এই জিনিস তৈরি করে বিক্রি করছেন।
তবে ক্রেতাদের কথায়, দুর্গাপুজোর দেরি হলেও গৌরী ইতি মধ্যেই বহরমপুরে এসে উপস্থিত হয়ে পুজোর বাজার দুই মাস আগে থেকেই জমিয়ে দিতে শুরু করেছে।

কৌশিক অধিকারী