আলিপুরদুয়ার: হাতির উপদ্রব অব্যাহত জলদাপাড়া জঙ্গল সংলগ্ন বন বস্তিতে। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে গ্রামে হামলা করে ক্ষেতের ফসল লন্ডভন্ড করে দেওয়ায় চাষ করতে পারছেন না বাসিন্দারা। এদিকে বেপরোয়া বুনো হাতির হানা ঠেকাতে গিয়ে মহাচিন্তিত বন দফতরের আধিকারিকরাও।
হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ট জলদাপাড়া জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলির সাধারণ মানুষ। জলদাপাড়া ন্যাশনাল পার্ক থেকে বেড়িয়ে লোকালয়ে চলে হামেশাই চলে আসছে হাতির দল। কখনও দিনে কখনও রাতে এসে তাণ্ডব চালচ্ছে তারা। আলিপুরদুয়ার জেলার জলদাপাড়া, শালকুমার ব্যাঙ্ডাকি, চিলাপাতা সহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে বুনো হাতির উপদ্রব। জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে হাতি কোনও সময় বাড়িঘর ভাঙচুর করছে, আবার কোনও সময় সুপরি, কলাবাগান সহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট করছে। লাগাতার চাষের জমিতে হামলা করায় গ্রামের সাধারণ মানুষ খেটেখুটে চাষ করেও ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: কেরি সাহেবের নীলকুঠি পর্যটনকেন্দ্র হবে? ভোটের আগে জোরালো দাবি
এখানকার গ্রামবাসীদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে হাতি। জঙ্গলের পাশে হাতি, বাইসন সহ পশুপাখিদের জন্য সিপ্টিং তার লাগানো থাকে। এই তার জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের কোনও জায়গায় রয়েছে আবার কোথাও নেই। এর ফলেই হাতি সহজে লোকালয়ে চলে আসছে গ্রামে গ্রামবাসীদের ধারণা। এদিকে অনেকের অভিযোগ, হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নিয়মমাফিক ক্ষতিপূরণের আবেদন করলেও তা অনেকেই পাননি। এই বিষয়ে জলদাপাড়া বন বিভাগের এডিএফও নবজ্যোতি দে বলেন, ফেন্সিং তার দিয়ে হাতিকে আটকানো সম্ভব নয়। অনেক সময় হাতেই গাছ ফেলে তার ছিঁড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের কর্মীরা দেখাশোনা করছেন। এদিকে বন বিভাগের তরফে বলা হয়েছে, যাদের ক্ষতি হয়েছে তাঁরা সঠিক নিয়মে আবেদন করলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
অনন্যা দে