অভিযুক্ত এক যুবককে পাকড়াও করেছে এলাকাবাসীরা

Fake Food Inspector: রাত ১০ টায় মিষ্টির দোকানে ফুড ইন্সপেক্টরের হানা! পর্দা ফাঁস হতেই যা হল…

নদিয়া: মিষ্টির দোকানে হঠাৎ এসে হাজির দুই ফুড ইন্সপেক্টর। অন্তত তেমনটাই পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁরা। সন্দেহ হতেই খবর দেওয়া হয় থানায়, এরপরই ধরা পড়ে তাঁদের আসল চেহারা। শেষে পরিষ্কার হয় ভুয়ো পরিচয় দিয়ে টাকা হাতাতে এসেছিল ওই দু’জন।

নদিয়ার শান্তিপুরের হরিপুর পঞ্চায়েতের বাগ দেবীপুর গ্রামে রয়েছে একটি মিষ্টির দোকান। ওই মিষ্টির দোকানের মালিক দুলাল সরকারের অভিযোগ, রাত দশটা নাগাদ কল্লোল সরকার এবং গোবিন্দ বিশ্বাস নামে দুই ব্যক্তি নিজেদের ফুড সেফটি ডিপার্টমেন্টের অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে হঠাৎই হাজির হন। অত রাতে ফুড সেফটি বিভাগ থেকে আসার কথা বলায় সন্দেহ হয় দোকান মালিকের।

আর‌ও পড়ুন: হাওড়ার এই আশ্রম অনাথ মেয়েদের জীবন গড়ার ঠিকানা হয়ে উঠেছে

মিষ্টির দোকানের মালিকের অভিযোগ, অতর্কিতে দোকানে প্রবেশ করেই ওই দুই যুবক অল ইন্ডিয়া হিউম্যান রাইটসের কার্ড দেখিয়ে দোকানের সমস্ত খাদ্য সামগ্রীর গুণমান পরীক্ষা করার জন্য দেখতে চায়। এরপরই দোকানে থাকা খাদ্যদ্রব্য খারাপ দাবি করে তছনছ করে। এরপরই ওই দু’জন দোকানের শাটার নামিয়ে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। যদিও দরদাম করে সেই টাকা পাঁচ হাজারে নেমে আসে।

দোকান মালিক দুলালবাবু টাকা আনতে বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা হলে বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করতে এগিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের ওই দুই যুবকের উপর সন্দেহ হয়। ওই দু’জনের মধ্যে একজন চূড়ান্ত মদ্যপান করে ছিল বলে অভিযোগ। এরপরই প্রতিবেশীরাই খবর দেন শান্তিপুর থানায়।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কল্লোল সরকার নামে যুবক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ফেলে রেখে যায় হিউম্যান রাইটসের স্টিকার লাগানো একটি বাইক। তবে গোবিন্দ বিশ্বাস নামে অপুর যুবক পালাতে পারেনি। শান্তিপুর থানার পুলিশ এসে ওই যুবককে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মানবাধিকার সংস্থার কার্ড দেখিয়ে এইভাবে তারা জালিয়াতি করে বেড়াচ্ছিল। দু’দিন আগে ওই সংস্থার কার্ড দেখিয়ে একটি বাড়িতে মদ বিক্রি বন্ধ করতে গিয়ে শান্তিপুর থানার এক পুলিশ আধিকারিকের নাম নিয়েছিল। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন এই চক্রে যুক্ত আছে বলে জানিয়েছে। বাকিদের সন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মৈনাক দেবনাথ