Tag Archives: sweet shop

Jamai Sasthi 2024: গরমে কাহিল কারিগররা যেতে চাইছেন না ভিয়েনের সামনে, জামাইয়ের পাতের মিষ্টিতে টান

পশ্চিম বর্ধমান: উত্তরবঙ্গে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলেও দক্ষিণবঙ্গ এই মুহূর্তে তীব্র গরমে জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে। প্যাচপ্যাচে ঘাম নিয়েই এবার জামাইষষ্ঠী সারতে হচ্ছে জামাইদের। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে এবারের জামাইষষ্ঠীর রীতিতে। অনেকেই অনেক চেষ্টা করেও জামাইয়ের জন্য পছন্দসই মিষ্টি কিনতে পারেননি। কারণ এই গরমে মিষ্টি তৈরির কারিগররা ভালভাবে কাজ করতে পারছেন না।

মিষ্টি তৈরির ক্ষেত্রে কারিগরদের সারাক্ষণ প্রবল উত্তাপে জ্বলতে থাকা উনুন বা ভিয়েনের সামনে কাজ করতে হয়। দুধ জাল দেওয়া, সেটাকে ভালমত পাক দিয়ে নির্ধারিত মাত্রায় নিয়ে আসা এই সব কিছুই উনুনে হয়। কিন্তু এই তীব্র গরমে মিষ্টি তৈরির কারিগররা সহজে উনুনের সামনে যেতে চাইছেন না। আর তাতেই জামাইদের পাতে মিষ্টিতে টান পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেক জায়গাতেই চাহিদা অনুযায়ী মিষ্টি পাননি শ্বশুররা।

আর‌ও পড়ুন: বর্ষা আসতেই জল বেড়েছে তোর্ষায়, দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছে মধুপুর

যে কারণে প্রত্যেক বছর জামাইষষ্ঠীতে যে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি দোকানগুলিতে পাওয়া যায়, সেখানে এবারে মিষ্টির ভ্যারাইটি অনেক কম। শহরের বিভিন্ন নামিদামি দোকানগুলিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, যেখানে প্রত্যেক বছর জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন স্বাদের মিষ্টি বানানো হয়, সেখানে দু-এক রকমের সন্দেশ ছাড়া আর তেমন কিছু নেই। তাছাড়াও জামাইষষ্ঠীর আগে মিষ্টির দোকানগুলিতে যেভাবে লম্বা লাইন দেখা যায়, সেই ছবিটাও এবার যেন অনেকটাই ফিকে হয়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজার ভীষণভাবে খারাপ। প্রথমত কারিগররা মিষ্টি তৈরি করতে পারছেন না। তীব্র গরমের কারণে তাঁরা বেশিক্ষণ উনুনের সামনে থাকতেই পারছেন না। ফলে মিষ্টি তৈরিতে টান পড়েছে। আবার মানুষজনও সেইভাবে দোকানে আসছেন না। জামাইষষ্ঠীতে যে লাভের আশা মিষ্টি বিক্রেতাদের থাকে, এবারে সেই লাভে ভাটা পড়ছে। আবার গরমের ছোবলে জামাইদের পাতেও মিষ্টিতে টান পড়েছে।

ক্রেতারা বলছেন, জামাইষষ্ঠীতে বিভিন্ন রকম মিষ্টি সাজিয়ে জামাইয়ের পাতে তুলে দিতে হয়। এটাই রীতি। কিন্তু দোকানে এবছর সেইভাবে ভ্যারাইটি মিষ্টির দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। খালি জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বানানো কিছু সন্দেশ রয়েছে। আবার অনেক দোকানে তো সারা বছর যেরকম মিষ্টি পাওয়া যায়, তার থেকেও কম মিষ্টি রয়েছে এই সময়। আবার কেউ কেউ বলছেন, এই গরমের কারণে জামাইষষ্ঠীর অনুষ্ঠান তাঁরা বাতিল করেছেন। নমো নমো করে সেরে ফেলছেন নিয়ম রক্ষার কাজটুকু।

নয়ন ঘোষ

Bengali Sweets: কাঁচাগোল্লার হারিয়ে যাওয়া স্বাদ আবার ফিরবে? মিষ্টি দোকানের বিরাট কাণ্ড

উত্তর ২৪ পরগনা: সংযুক্তিকরণে মিলবেআসবে বাণিজ্যিক সাফল্য, আশায় কাঁচাগোল্লার শহর বসিরহাটের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। দুই সংগঠনের মেলবন্ধনেই আসবে কাঙ্খিত বাণিজ্যিক সাফল্য, এমই আশায় প্রহর গুনছেন বসিরহাটের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।

রাজ্যের প্রসিদ্ধ মিষ্টির তালিকা যখন তুলে ধরা হয় তখন প্রথম সারিতেই আসে বসিরহাটের কাঁচাগোল্লার নাম। অতীতের চাঁদ সওদাগরের আমল হোক বা বারো ভূঁইয়াদের বসিরহাট আক্রমণের সময়, সর্বক্ষেত্রেই এখানকার কাঁচাগোল্লা মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। স্বয়ং মহানায়ক উত্তম কুমার বসিরহাটে অমানুষ সহ একাধিক চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে এসে প্রেমে পড়েছিলেন এই কাঁচাগোল্লার। আর সেই কাঁচাগোল্লার শহর বসিরহাটের মিষ্টি ব্যবসায়ীরাই দীর্ঘদিন ধরে নানান সমস্যার সম্মুখীন। তাঁদের মূল অভিযোগ, বেশ কিছু বছর ধরে তাঁরা ভাল কাঁচাগোল্লা তৈরির মূল উপকরণ উৎকৃষ্ট মানের ছানা পাচ্ছেন না।

আরও পড়ুন: এই রাজপরিবারের সব সদস্য ডিঙি নৌকা চালাতে জানেন, বাড়ি থেকে বেরোলেই চাপতে হয় তাতে

বর্তমানে বসিরহাটের শহরতলি এলাকায় যে উৎকৃষ্ট মনের ছানা তৈরি হয় সেগুলি প্রায় সবটাই কলকাতার মিষ্টির দোকানগুলোর উদ্দেশে পাড়ি দেয়। তাই ভাল মিষ্টি তৈরি করতে একাধিক বাধার মুখোমুখি হচ্ছিলেন বসিরহাট, টাকি ও বাদুড়িয়া শহরের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে কখনও ফুড লাইসেন্সিংয়ের সমস্যা, আবার কখনও কর্মচারীদের দাবি দাওয়া মেটাতে গিয়েও তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল। মোটের উপরে প্রায় দুই দশক ধরে নানান সমস্যায় জেরবার ছিলেন এই মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারকরা। এবার সেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হল বসিরহাটের টাকি রোড চৌমাথা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।

মিষ্টি ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটি এবার পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধল। এদিন বসিরহাটের টাকি রোড পার্শ্বস্ত একটি কমিউনিটি হলে বসিরহাট টাকি রোড চৌমাথা মিষ্টান্ন ব্যবসা কল্যাণ সমিতি ও রাজ্য মিষ্টান্ন ব্যাবসায়ী সমিতির একটি সংযুক্তিকরণ সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভার মূল লক্ষ্যই ছিল মহকুমাজুড়ে বসিরহাটের যে সমস্ত মিষ্টি ব্যবসায়ীরা নানান সমস্যার মধ্যে পড়েন তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্যার সমাধান করা। টাকি, হাসনাবাদ, হাড়োয়া বসিরহাট ও বাদুড়িয়া সহ একাধিক এলাকার ঐতিহ্যশালী মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীরা এই সংযুক্তিকরণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

বসিরহাট টাকি রোড চৌমাথা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির তরফে প্রদীপ ঘোষ বলেন, মিষ্টি প্রস্তুত করতে গিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতাম। সেই সমস্যার সমাধান করতেই আমরা রাজ্য মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে সংযুক্ত হলাম। বসিরহাটের একাধিক মিষ্টি ব্যবসায়ী যেমন চন্দন ঘোষ, তাপস মণ্ডলরা এই সংযুক্তকরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি রাজ্য মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে সেখানকার সভাপতি সন্দীপ সেন ও সম্পাদক তাপস দাস সহ একাধিক পদাধিকারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

জুলফিকার মোল্যা

Bangla Video: এই গরমে জল চুরি করে চলছিল মিষ্টির দোকান! জানাজানি হতেই…

পুরুলিয়া: গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহে নাজেহাল দশা বঙ্গবাসীর। পুরুলিয়াতেও তাপপ্রবাহের জেরে জেরবার গোটা জেলার মানুষ। তার মধ্যে রয়েছে জলের সমস্যা। পুরুলিয়া জেলাতে সারা বছরই কমবেশি জলের সমস্যা থাকে। গ্রীষ্মের দিনে তা আরও অনেকখানি বেড়ে যায়। তাই গ্রীষ্মের আগে থেকেই পুরুলিয়া পুরসভা একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে থাকে মানুষকে জলের কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে। আর এরই মাঝে শহর পুরুলিয়ার একটি মিষ্টির দোকান জল চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল। এই খবর পুরসভার কাছে পৌঁছতেই তড়িঘড়ি ছুটে আসেন পুরপ্রধান নব্যেন্দু মাহালি। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় ওই দোকানে জলের সংযোগ।

আর‌ও পড়ুন: রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকে বাস, যানজটে হাঁটাচলাই দায়

প্রসঙ্গত, শহর পুরুলিয়ার সন্দেশ গলির একটি মিষ্টির দোকানে পাম্প চালিয়ে জল চুরি করা হচ্ছিল। সূত্র মারফত খবর পেয়ে ওই দোকানে হানা দেন পুরপ্রধান ও পুরসভার জল বিভাগের আধিকারিকেরা। আর সেখানে গিয়েই তাঁরা দেখতে পান জলের কানেকশন থেকে পাম্প বসিয়ে জল চুরি করা হচ্ছে। আর তা দেখেই ওই দোকানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এই বিষয়ে পুরপ্রধান নব্যেন্দু মাহালি বলেন , এই দোকানের বিরুদ্ধে যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেওয়া হবে। ইতিপূর্বেই পুরসভার পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যেখানে যেখানে পাম্প পাওয়া যাবে সেখানেই সিজ করে দেওয়া হবে। ওই দোকানের বিরুদ্ধে এফআইআর হবে বলেও জানান তিনি।

জলচুরির জন্য যে সমস্ত আইন পুরসভার পক্ষ থেকে লাগুরয়েছে সেগুলিও ধার্য থাকবে। এছাড়াও এই দোকানের ফুড লাইসেন্স , ট্রেড লাইসেন্স আছে কিনা সেগুলিও খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে ওই মিষ্টির দোকানের মালিক বলেন , তিনি জল পাচ্ছিলেন না বলেই বাধ্য হয়ে পাম্প চালিয়ে জলের ব্যবস্থা করছিলেন। পানীয় জলের যে কানেকশন রয়েছে সেখানে একদমই জল আসছে না।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Kalna Famous Sweet: এখানকার মাখা সন্দেশ খেলে সেই স্বাদ জীবনে ভুলবেন না!

পূর্ব বর্ধমান: বাঙালি মানেই খাদ্যরসিক। আর খাদ্যরসিক বাঙালির কাছে অন্যতম প্রিয় হল মিষ্টি। শেষ পাতে মিষ্টি না হলে চলে না। এই বাংলার বিভিন্ন স্থানের এক একরকম মিষ্টি রীতিমত জগত বিখ্যাত। জয়নগরের মোয়া, কৃষ্ণনগরের স্বরপুরিয়া যেমন তেমনই অতি বিখ্যাত কালনার মাখা সন্দেশ।

মিষ্টির ক্ষেত্রে পূর্ব বর্ধমানের কথা উঠলে সাধারণত সিতাভোগ, মিহিদানা ল্যাংচার কথা মনে পড়ে। কিন্তু এই জেলার কালনার মাখা সন্দেশ’ও কম বিখ্যাত নয়। এখানকার মাখা সন্দেশ ইতিমধ্যেই পাড়ি দিয়েছে ইংল্যান্ড।

আর‌ও পড়ুন: মিনিট টর্নেডোয় থমকে গেছে জীবন, দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে রোজগারের চাকা

কালনার অম্বিকা সুইটস এই মাখা সন্দেশের জন্য অতি বিখ্যাত। ওই দোকানের কর্মচারী অয়ন কুমার দে বলেন, মানুষ এখানকার মাখা সন্দেশ পছন্দ করে। এমনিতেই কালনার মাখা সন্দেশের সুনাম আছে। মাখা সন্দেশের প্রতি মানুষের একটা আলাদা টান রয়েছে। সারাদিন বিভিন্ন ক্রেতা আসেন, তাঁরা সন্দেশ কিনে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। এখনও কিছু সন্দেশ প্যাকিং করা আছে, যেগুলো মুম্বাই যাবে।

কালনা শহরের এই অম্বিকা সুইটস দোকান থেকে বহু মানুষ মাখা সন্দেশ কিনে নিয়ে যান। দোকানের অন্যান্য মিষ্টির পাশাপাশি সবথেকে বেশি চাহিদা থাকে এই মাখা সন্দেশের। কেজি হিসেবে এই সন্দেশ বিক্রি হয়। তবে দামের কোনও ঠিক থাকে না। ছানার দামের উপর নির্ভর করে ঠিক হয় মাখা সন্দেশের দাম। এই মাখা সন্দেশ কীভাবে তৈরি করা হয় জানেন?

মাখা সন্দেশ তৈরির প্রণালী বর্ণনা করতে গিয়ে দোকানের কর্মচারীরা জানান, প্রত্যেকদিন ৮০ থেকে ১ কুইন্টাল মাখা সন্দেশ তৈরি হয়। সন্ধেতে ছানা আসে। তারপর সেই ছানা জাঁক দিয়ে সন্দেশ তৈরি করা শুরু হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে সন্দেশ তৈরির কাজ। এই মাখা সন্দেশ তৈরি করতে উপকরণ লাগে ছানা আর চিনি। তবে শীতকালে গুড়ের ব্যবহার করা হয়। এতে আরও অনেক কিছু দেওয়া যায়। কিন্তু খাঁটি মাখা সন্দেশে বেশি অন্য জিনিস না মেশানোই উচিত।

আর‌ও পড়ুন: বিশেষ পদ্ধতিতে জৈব সার দিয়ে শসা চাষ করে অবিশ্বাস্য ফলন পান! এই গরমে হবে বিপুল আয়

মিষ্টি প্রেমী হলে আপনিও কিন্তু একদিন কালনায় এসে অম্বিকা সুইটসের মাখা সন্দেশ চেখে দেখতে পারেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী