Fibroadenoma: স্তনের রোগ ফাইব্রোঅ্যাডেনোমা কী? এর থেকে মুক্তির উপায় কী? জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

কোচবিহার: স্তনের ফাইব্রোডেনোমা মহিলাদের স্তনের ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া যায়। এটি একধরনের টিউমার সংক্রান্ত সমস্যা মহিলাদের স্তনের। এই সমস্যা বেশি দেখতে পাওয়া যায় যুবতীদের মধ্যে এবং বেশি বয়সের মহিলাদের ক্ষেত্রে। দৈনন্দিন জীবন যাপন এবং অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাসের ক্ষেত্রে এই সমস্যা তৈরি হতে পারে। মূলত এই সমস্যা পিসিওডি সমস্যার তৈরি করতে পারে মহিলাদের শরীরে। এছাড়াও চুল পড়ার সমস্যা, অনিয়ন্ত্রিত ঋতু স্রাব হওয়া, জ্বর হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে বুকে ব্যথাও দেখা যায়। তবে এই সমস্যা কোন কোন ক্ষেত্রে নিজে থেকেই কমে যায়। কিন্তু, কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়ায়। নাহলে এই সমস্যা শরীরের ক্ষেত্রে অন্য কোন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

কোচবিহারের এক অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ সরকার জানান, “স্তনের ফাইব্রোডেনোমা হল একটি ক্ষতিহীন লাম্প বা টিউমার। মূলত এটি অল্পবয়সী মহিলাদের মধ্যে এবং বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই ধরনের টিউমার গ্রন্থি এবং তন্তু উভয় রকমের টিস্যুদ্বারা গঠিত। সাধারণত একটি রুটিন ম্যামোগ্রাম বা স্তন পরীক্ষার সময় ফাইব্রোডেনোমা ধরা পড়তে পারে। যদিও সাধারণত এই লাম্পগুলি ক্ষতিহীন হয়ে থাকে। তবুও কখনও কখনও এগুলি যথেষ্ট বড় হয়ে ব্যথা বা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। বেশ কিছু ক্ষেত্র ফাইব্রোডেনোমা ব্রেস্ট ক্যান্সারে রূপান্তর হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এই কারণে, কোনও সন্দেহজনক লাম্প বা টিউমার একজন ডাক্তারের দ্বারা পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। কিছুক্ষেত্রে, টিউমারটি অপারেশন করার জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনও দরকার পড়ে।”

আরও পড়ুন:  যখন তখন জোয়ান খান? শরীরে এই সব রোগ থাকলে ভুলেও খাবেন না! চিকিৎসকের মত জানুন

তিনি আরও জানান, “বেশ কয়েকটি আলাদা আলাদা ধরনের স্তন ফাইব্রোডেনোমা রয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের ফাইব্রোডেনোমা উপসর্গ দেখা যায়। স্তনের ফাইব্রোডেনোমার সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গটি হল স্তনে টিউমার তৈরি হওয়া। এই টিউমার কিছু ক্ষেত্রে ব্যথাহীন, আবার কিছু ক্ষেত্রে ব্যথা যুক্ত হতে পারে। এগুলি ত্বকের মধ্যে দিয়েই অনুভব করা যায়। সাধারণভাবে, ফাইব্রোডেনোমা খুব ধীর গতিতে বৃদ্ধি পায়। তাই কেউ তাৎক্ষণিকভাবে এটিকে অনভবু করতে পারেন না। তবে সঠিক ভাবে জীবন যাপন, দৈনন্দিন শরীর চর্চার মাধ্যমে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব অনেকটাই।” তবে মহিলাদের নিজেদের স্তন নিয়ে আরও সচেতন হতে হবে। যদি বিশেষ কোন সমস্যা চোখে পড়ে তবে দ্রুত কোন অভিঞ্জ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Sarthak Pandit