লাইফস্টাইল Fuchka: পুদিনা ফুচকা দেখেই জিভে জল আসে? স্বাস্থ্যের কত বড় ক্ষতি হচ্ছে জানেন? জানলে শিউরে উঠবেন Gallery April 18, 2024 Bangla Digital Desk আপনারা পুদিনা ফুচকা নিঃসন্দেহে রাস্তাঘাটে দেখেছেন। বেশ গাঢ় সবুজ রংয়ের পুদিনা ফুচকা। এছাড়াও যে তেঁতুলের জল দেওয়া হয়, তাতেও নাকি পুদিনা থাকে। সেটার রঙও গাঢ় সবুজ রংয়ের। ফুচকা দেখতে বেশ দর্শনধারী। তবে গুণ কেমন? সেটা নিয়ে অবশ্য নানা সন্দেহ প্রকাশ করছে গবেষকরা। যারা ফুচকা বিক্রি করছেন, তাদের দাবি, ফুচকা তৈরির সময় আটার সঙ্গে পুদিনা দেওয়া হয়। যার ফলে, ফুচকা গুলো সবুজ রঙের হয়। আবার তেঁতুলের জলের সঙ্গে পুদিনা দেওয়া হয়। যার জন্য জলটাও সবুজ হয়। এই ভাবেই বাজারে ‘পুদিনা ফুচকা’ বিক্রি হচ্ছে। ফুচকা প্রেমীরা বেশ ভরসার সঙ্গে ‘পুদিনা ফুচকা’ খাচ্ছেন। তবে ‘পুদিনা ফুচকা’ নেই যে, এমনটা কিন্তু বলা যাবে না। তবে সেটা বেশ নিয়ম মেনেই তৈরি হয়। রাস্তার ধারের পুদিনা ফুচকা কিংবা পুদিনার টকজল দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠছে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের বক্তব্য,পুদিনা একটি কাঁচা সবজি। সেটা যখন আটার সঙ্গে মিশিয়ে তেলে ভাজা হয়, তখন পুদিনার অতটা সবুজ রং থাকা উচিত নয়। এক্ষেত্রে যতটা সবুজ রঙয়ের হয়, তা দেখে মনে হয় সবুজ রং মেশানো হয়েছে। এছাড়াও তেঁতুলের টক জলের সঙ্গে যদি পুদিনা মেশানো হয়, তাহলেও অতটা সবুজ রং হওয়া সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ফুচকা এবং ফুচকার জলে পুদিনার সবুজ রং মেশানো হচ্ছে। আর এই পুদিনা flavour colour বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, ‘এই ফুচকা দেখে মনে হচ্ছে পুদিনার সঙ্গে রং মেশানো থাকতে পারে। যে খাদ্য যে রঙের হয়, সেরকম করেই খাওয়ানো ভাল। যদি ফুচকায় অনুমোদিত রং ব্যবহার করে, তাহলে কত PPM ব্যবহার করা হয়েছে? সেটা জানা দরকার।” তিনি আরও বলেন, ”যদি কৃত্রিম কোন রং ব্যবহার করে থাকে। তাহলে সেটা শরীরের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর।এছাড়াও ফুচকা যেভাবে ভাজা হয়,তাতে এক্রিলিমাইড তৈরি হয়।যা ক্যান্সারের কারণ।তাহলে এই রং এবং এক্রিলিমাইড দুটো মিলে ভয়ঙ্কর ক্ষতি করবে অবশ্যই,যারা এই ফুচকা খাবে।”