কী চলত গার্ডেনরিচে?

Garden Reach illegal construction: গার্ডেনরিচের বেআইনি নির্মাণের আড়ালে কী ঘটত? তাজ্জব পুলিশও! ‘সেন্টার’ ঘিরে যা চলত…

কলকাতা: বেআইনি নির্মাণে এবার কল সেন্টার যোগ। গার্ডেনরিচ এলাকায় গজিয়ে ওঠা একাধিক কল সেন্টারের লাভের টাকা বেআইনি নির্মাণে লগ্নি করা হয় বলে অভিযোগ। ধৃত প্রমোটার মহম্মদ ওয়াসিমের সঙ্গে একাধিক কল সেন্টারের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। কল সেন্টারের হয়ে মানি রিসিভিং-এর কাজ করতেন ওয়াসিম। স্থানীয় কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয়ের কল সেন্টারের মানি রিসিভিংয়ের কাজ করতেন ওয়াসিম, অভিযোগ এমনই।

বিনিময়ে পেতেন মোটা অঙ্কের কমিশন। সেই টাকা লগ্নি হত বেআইনি নির্মাণে। এছাড়া বিভিন্ন কল সেন্টারের মালিক কালো টাকা সাদা করতে এই সমস্ত বেআইনি নির্মাণে লগ্নি করেছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন ওয়ালেটের মাধ্যমে বিদেশী মুদ্রা এসেছে কল সেন্টারে। রিসিভিং পয়েন্টে ওয়াসিমের মাধ্যমে লেনদেন হত সেই টাকা।

আরও পড়ুন: জানেন, ভারতে প্রথম কত টাকার নোট ছাপা হয়? ৫০০, হাজার কিন্তু নয়, তাহলে? চমকে যাবেন

প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচে বেআইনিভাবে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মৃত্যুও ঘটেছে অনেক। ফতেপুর ব্যানার্জি বাগান লেনের ওই বহুতল যে নিয়ম মেনে তৈরি হচ্ছিল না, তা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: বলুন তো, আরপিএফ ও জিআরপি-র তফাৎ কী? না জানলে কিন্তু অসুবিধায় পড়তে পারেন

শহরের আনাচেকানাচে এমন বেআইনি নির্মাণের বিপদ চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে গার্ডেনরিচের এই দুর্ঘটনা। আর এর পরইক কলকাতার থানাগুলিকে সতর্ক করেছে লালবাজার। সূত্রের খবর, শহরের প্রত্যেকটিল নির্মীয়মাণ বাড়ি, বহুতলে গিয়ে খোঁজ নিতে হবে যে সেগুলি আইন মেনে তৈরি হচ্ছে কি না। প্রয়োজনে প্রোমোটার বা নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা।