Tag Archives: Illegal Construction

Filled Wetland Reclamation: দখল করা জলাভূমিও উদ্ধার করবে জেলা প্রশাসন! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই শুরু অভিযান

আলিপুরদুয়ার: শহরে জল জমার সমস্যার জন্য দায়ী অবৈধ পথে জলাভূমি ভরাট করে ফেলা। ফলে আলিপুরদুয়ার শহরের জল নিকাশি ব্যবস্থা পুরো ভেঙে পড়েছে। এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশের পর এবার নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আলিপুরদুয়ার শহরে শুরু হয়েছে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ। এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি অবৈধ উপায়ে ভরাট করা জলাভূমিও উদ্ধার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে জেলাশাসক আর বিমলা জানিয়েছেন, মুখমন্ত্রীর নির্দেশে অবৈধ উপায়ে যারা জলাজমি ভরাট করছে তাদেরকে খুঁজে বের করা হবে। কিন্তু তার আগে জমিগুলি উদ্ধারের কাজ শুরু করা হবে। আলিপুরদুয়ার শহরে সাতটি ঝিল রয়েছে।এই ঝিলের আশেপাশের এলাকার সৌন্দর্যায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে আলিপুরদুয়ার পুরসভা।

আর‌ও পড়ুন: সোনার দোকানে ডাকাতি থেকে শিক্ষা, শিল্পাঞ্চল জুড়ে বিশেষ বাইক বাহিনীর টহলদারি

এই বিষয়ে উল্লেখ্য বিভিন্ন সময় অভিযোগ আসে আলিপুরদুয়ার পুরসভার জলাশয়গুলো দখল করে অবৈধ নির্মাণ করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর এবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোমড় বেঁধে ময়দানে নেমেছে পুর কর্তৃপক্ষ। তারা ভরাট হয়ে যাওয়া জলাভূমি ফেরত নেওয়ার পাশাপাশি সরকারি জমি জবরদখল মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে আগামী দিনে শহরের নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা অনেকটাই মিটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

অনন্যা দে

Illegal Construction Eviction: বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একাধিক বেআইনি নির্মাণ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই নড়েচড়ে বসল জেলা প্রশাসন!

কোচবিহার: নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক, আর বৈঠকের পরেই সমস্ত জেলার বিভিন্ন আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ মমতার। আর মমতার নির্দেশ পেয়েই নড়েচড়ে বসলো জেলা প্রশাসন। আচমকাই কোচবিহারের রাস্তায় দেখতে পাওয়া গেল বিশাল পুলিশ বাহিনীকে। এছাড়া বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একাধিক বেআইনি নির্মাণ। সরকারি জমির অধিগ্রহণ করে বেআইনি নির্মাণ করলেই তা ভেঙে দেওয়া হবে। এছাড়া ট্রাফিকের সমস্যা করলে তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হল কোচবিহারের বিভিন্ন ফুটপাথ ব্যবসায়ীকে। এদিনের এই কর্মকাণ্ডে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা।

গোটা এই বিষয় নিয়ে কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার কৃষ্ণ গোপাল মীনা জানান, “একাধিক জায়গায় বেআইনি নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে জেলায়। আর এই নির্মাণ গুলি সাধারণ মানুষের পক্ষে কিংবা ট্রাফিকের পক্ষে একেবারেই সুবিধের নয়। ফলে এই বেআইনি নির্মাণ গুলিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন ভেঙে দেওয়া হয়। এছাড়াও বেশ কিছু ফুটপাথ ব্যবসায়ীকে রাস্তা দখল না করার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনেও জেলা পুলিশ এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে। শুধুমাত্র কোচবিহার সদর শহর নয়। সদর শহরের পাশাপাশি অন্যান্য মহকুমা! শহরগুলিতেও এই একই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”

আরও পড়ুনKheer Patal Easy Recipe: আলু-পটলের তরকারি খেয়ে বিরক্ত? বাড়িতেই তৈরি করুন দোকানের মত পটলের মিষ্টি “ক্ষীর পটল”

তবে আচমকাই এভাবে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়া। এবং ফুটপাথ দখল মুক্ত করার কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন একাধিক ফুটপাথ ব্যবসায়ী। কোচবিহারের এক ফুটপাত ব্যবসায়ী সঞ্জীব মালাকার জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এই ব্যবসা করেই সংসার চলে তাঁদের। একটা সময় তিনি একাই করতেন। বর্তমানে তাঁর ভাই তাঁর সঙ্গেই দোকান করেন। যদি এভাবে তাঁদের দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। কিংবা তাঁদের ব্যবসা করতে না দেওয়া হয়। তবে চরম বিপাকে পড়তে হবে তাঁদেরকে।” অন্যদিকে কোচবিহারের এক ফুটপাথের ফাস্টফুড বিক্রেতা সায়ক সেন জানান, “ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হলে রীতিমতো বিপাকে পড়বেন তিনি। চাকরি না পেয়ে বাধ্য হয়েই এই ফাস্টফুডের দোকান খুলেছিলেন তিনি।”

বর্তমান সময়ে একাধিক এলাকায় ইতিমধ্যেই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অবৈধ নির্মাণ। বেশকিছু ফুটপাতের দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু দোকানকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য দোকানের মালিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত এই কারণেই বর্তমান সময়ে জেলার বহু ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।

Sarthak Pandit

West Bengal news: জমি জবরদখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ! বাড়ি ভেঙে দিলেন ‘জমির মালিক’

মুর্শিদাবাদ: অবৈধভাবে জমি জবরদখল করে বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগে সেই বাড়ি ভেঙে দিল জমির মালিক। মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানার হরিভক্তপুর এলাকায়।

জানা গিয়েছে, রবি দাসের নামে এই জমির পাট্টা রয়েছে। সেই রবি দাস মৃত হলেও তাঁর স্ত্রী এবং পরিবার রয়েছে। অভিযোগ রবি দাসের জমি জবরদখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছে মুক্তার শেখের পরিবার। এই নিয়ে একাধিক বার দুই পক্ষের মধ্যে বচসাও বাঁধে, কিন্তু সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। সেই, কারণে এ দিন মুক্তার শেখের বাড়ি ভেঙে দেয় রবি দাসের পরিবার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জলঙ্গি থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

আরও পড়ুন: বাগুইআটি থেকে গ্রেফতার ভুয়ো আইসিডিএস আধিকারিক, রয়েছে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ

রবি দাসের স্ত্রী ভারতী দাস বলেন, “এই জায়গা আমার স্বামীর নামে পাট্টা আছে। স্বামীর অবর্তমানে এই জমি আমার এবং আমার পরিবারের মালিকানাধীন। কিন্তু মুক্তার সেখ ও তার পরিবার আমাদের জমি জবরদখল করে অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণ করেছে। সেই কারনে আমরা এই অবৈধনির্মাণ ভেঙে দিয়েছি”।

মুক্তার সেখের পুত্রবধূ রানুয়ারা বিবি বলেন, “আমরা আমাদের নিজের জায়গার উপর বাড়ি নির্মাণ করেছি। কিন্তু রবি দাসের পরিবার এই জমি দখল করার জন্য আমাদের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানাব। সাদিখানদেয়ার গ্রাম পঞ্চায়েত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহাবুল ইসলাম বলেন, “রবি দাসের নামে এই জমির পাট্টা আছে। আমি সমস্ত বৈধ কাগজপত্র খতিয়ে দেখেছি। বৈধ নথিপত্র যাচাই করে যার জমি তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে”।

Hooghly News: গার্ডেনরিচকেও হারিয়ে দেবে উত্তরপাড়া? পথে নামলেন মহিলারা! যে কোনওদিন ঘটতে পারে ভয়ঙ্কর ঘটনা

হুগলি: গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর উত্তরপাড়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে আতঙ্কে বি কে স্ট্রিটের সাধারণ মানুষ। দুই তলা বাড়ি এক বছরের মধ্যে হয়ে গেছে ৭ তলা! তার পরই বাড়িতে ধরেছে ফটল। জনবহুল এলাকায় বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় আতঙ্কে স্থানীয় মানুষরা। সেই বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে পৌরসভা। গার্ডেনরিচ কাণ্ডে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে একাধিক মানুষের মৃত্যুর পর রাস্তায় নেমে উত্তরপাড়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বি কে স্ট্রিটের বাড়ির মহিলারা প্রতিবাদ জানালেন।

স্থানীয় মানুষের অভিযোগ এক বছর আগে একতলা বাড়ি থেকে বর্তমানে সাত তলা নির্মাণ করেছে,পুরসভার বৈধ অনুমতি ছাড়া, ইতিমধ্যেই স্থানীয় মানুষ পুরসভা ,চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট সহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনে ‘বড় ঘটনা’, দাদাকে হারাবে কে! কাঁপিয়ে দিল দাদাগিরি! মিলল বিরাট সম্মান

সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, কীভাবে পুরসভার অনুমতি ছাড়া এই বেআইনি নির্মাণ এতদিন ধরে করল, এলাকার মহিলাদের পাশাপাশি এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলর সুস্মিতা সরকার ঘটনাস্থলে যান এবং এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান। যদিও এই ঘটনায় পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি নেতৃত্ব, তাদের অভিযোগ বাড়ি বাড়ি থেকে ট্যাক্স আদায়ের দিকে পুরসভার লক্ষ্য থাকলেও এইভাবে বেআইনি নির্মাণ এর বিষয় উদাসীন পুর প্রশাসন। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন পুরসভা কি শুধু মাত্র বেআইনি অংশ ভাঙার নির্দেশ দিয়েই দায় সারতে পারে?

আরও পড়ুন: পুজো দিয়ে প্রচারে, তৃণমূল প্রার্থীকে দেখে অবাক সকলে! কী এমন করলেন তিনি?

যদিও এই বিষয় উত্তরপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব জানান, তারা ইতিমধ্যেই ওই বাড়িটির বেআইনি নির্মাণ এর অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশ জারি করেছেন এবং পুরসভায় একটি হিয়ারিংও ডাকা হয়।এখন মানুষের প্রশ্ন গার্ডেনরিচ ঘটনার পর কি আদৌঘুম ভাঙবে প্রশাসনের? নাকি কয়েকটা প্রাণ চলে যাবার পর তৎপর হবে প্রশাসন তা শুধুই সময়ের অপেক্ষা!

রাহী হালদার

Garden Reach illegal construction: গার্ডেনরিচের বেআইনি নির্মাণের আড়ালে কী ঘটত? তাজ্জব পুলিশও! ‘সেন্টার’ ঘিরে যা চলত…

কলকাতা: বেআইনি নির্মাণে এবার কল সেন্টার যোগ। গার্ডেনরিচ এলাকায় গজিয়ে ওঠা একাধিক কল সেন্টারের লাভের টাকা বেআইনি নির্মাণে লগ্নি করা হয় বলে অভিযোগ। ধৃত প্রমোটার মহম্মদ ওয়াসিমের সঙ্গে একাধিক কল সেন্টারের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। কল সেন্টারের হয়ে মানি রিসিভিং-এর কাজ করতেন ওয়াসিম। স্থানীয় কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয়ের কল সেন্টারের মানি রিসিভিংয়ের কাজ করতেন ওয়াসিম, অভিযোগ এমনই।

বিনিময়ে পেতেন মোটা অঙ্কের কমিশন। সেই টাকা লগ্নি হত বেআইনি নির্মাণে। এছাড়া বিভিন্ন কল সেন্টারের মালিক কালো টাকা সাদা করতে এই সমস্ত বেআইনি নির্মাণে লগ্নি করেছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন ওয়ালেটের মাধ্যমে বিদেশী মুদ্রা এসেছে কল সেন্টারে। রিসিভিং পয়েন্টে ওয়াসিমের মাধ্যমে লেনদেন হত সেই টাকা।

আরও পড়ুন: জানেন, ভারতে প্রথম কত টাকার নোট ছাপা হয়? ৫০০, হাজার কিন্তু নয়, তাহলে? চমকে যাবেন

প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচে বেআইনিভাবে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মৃত্যুও ঘটেছে অনেক। ফতেপুর ব্যানার্জি বাগান লেনের ওই বহুতল যে নিয়ম মেনে তৈরি হচ্ছিল না, তা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: বলুন তো, আরপিএফ ও জিআরপি-র তফাৎ কী? না জানলে কিন্তু অসুবিধায় পড়তে পারেন

শহরের আনাচেকানাচে এমন বেআইনি নির্মাণের বিপদ চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে গার্ডেনরিচের এই দুর্ঘটনা। আর এর পরইক কলকাতার থানাগুলিকে সতর্ক করেছে লালবাজার। সূত্রের খবর, শহরের প্রত্যেকটিল নির্মীয়মাণ বাড়ি, বহুতলে গিয়ে খোঁজ নিতে হবে যে সেগুলি আইন মেনে তৈরি হচ্ছে কি না। প্রয়োজনে প্রোমোটার বা নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা।