পাঁচমিশালি GK: পৃথিবীর একমাত্র দেশ, যেখানে একটিও মশা নেই! বলুন তো কোন দেশ? নামটা শুনেই চমকে উঠবেনই আপনি Gallery October 17, 2024 Bangla Digital Desk তারা আপনার রক্ত চুষে নেয়, কানের পাশে বিরক্তিকর আওয়াজ করে। তাদের কামড় আপনার বারবিকিউ পার্টিকে করে তুলতে পারে দুর্বিষহ কিংবা জঙ্গলে হাঁটাচলায় ঘটাতে পারে বিঘ্ন। সবচেয়ে বড় কথা তাদের কামড়ে নানা রোগ ছড়ায়, এগুলোর কিছু প্রাণঘাতীও। যাদের কথা বলা হচ্ছে তাদের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী এই পতঙ্গের নাম মশা। বিশ্বের সব জায়গায় দাপিয়ে বেড়ায় এরা, কেবল একটি অঞ্চল ছাড়া। জানেন কি, কোন জায়গা বা দেশ সেটি? সেই জায়গাটি হল নর্ডিক অঞ্চলের দেশ আইসল্যান্ড। কিন্তু কেন এই অঞ্চলে মশার তাণ্ডব নেই। এর উত্তর, দেশটির আবহাওয়া। আইসল্যান্ডের আবহাওয়া এত বেশি প্রতিকূল যে মশার টিকে থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই সেখানে। সাধারণত ডিম ফুটে একটি পূর্ণাঙ্গ মশা হতে সময় লাগে ৪০ দিন। কিছু মশা অবশ্য ব্যতিক্রম আছে। পাঁচ দিনেই পূর্ণাঙ্গ মশায় পরিণত হয়। ব্যতিক্রম তো ব্যতিক্রমেই। ও কথা বলে লাভ নেই। যাহোক, মশার পূর্ণাঙ্গ হতে ৪০ দিন সময় লাগলেও আইসল্যান্ডের তাপমাত্রা পরিবর্তন হতে কিন্তু এত সময় লাগে না। মানে দেশটিতে একবার শীত শেষ হয়ে আবার শীত শুরু হয় ৪০ দিনের আগেই। ফলে কিছুটা বরফ গলে যা-ও একটু জলে পরিণত হয়, তা আবার বরফই হয়ে যায়। এতে মশা আর বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। তা ছাড়া তীব্র শীতে মশার বেঁচে থাকাও মুশকিল। আবার অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, আইসল্যান্ডের জলাশয়ে রাসায়নিক পদার্থের যে অনুপাত রয়েছে, তা মশার বংশবৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত নয়। ফলে সব মিলিয়ে জলাশয়ের অভাব, তীব্র শীত ও স্রোতহীন নদীর অভাবে আইসল্যান্ডে মশা জন্মাতে পারে না। এ ছাড়া মশার বংশবিস্তারের জন্য প্রয়োজন জলাশয়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, আইসল্যান্ডের জলাশয়ে রাসায়নিকের যে অনুপাত আছে, তা মশার বংশবৃদ্ধিকে দারুণ চ্যালেঞ্জে ফেলে। শীতের তীব্রতায় আইসল্যান্ডে মশার বংশবৃদ্ধি করতে না পারলেও, ইউরোপের অনেক শীতপ্রধান দেশে মশারা সাবলীল। আইসল্যান্ডের পাশের দেশ গ্রিনল্যান্ডে যখন শীত শুরু হয়, তখন শীতনিদ্রায় থাকে মশারা। শীত শেষে বরফ গলা শুরু হলে, তারা ডিম পাড়তে শুরু করে। আইসল্যান্ডের মতো এখানে শীত শেষ হওয়ার পর আবার হঠাৎ করে শীত চলে আসে না। তাই গ্রিনল্যান্ডে বাচ্চা ফোটানোর চক্র পূর্ণ করতে পারে মশা।