বন্য হরিণ

Birbhum News: গরমে হরিণের সুস্থ রাখতে বীরভূমের ডিয়ার পার্কের হরিণদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষ খাবার!

বীরভূম: তীব্র গরমে কার্যত নাজেহাল অবস্থা সবার।বীরভূম জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।সঙ্গে রয়েছে প্রবল তাপপ্রবাহ।হরিণদের রক্ষা করতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে বনদফতর।কার্যত বৈশাখ মাস থেকে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তাপপ্রবাহ।ইতিমধ্যেই আবহাওয়াবিদদের পক্ষ থেকে লু-এর সতর্কতা জারি করা হয়েছে।চিকিৎসদের পক্ষ থেকে চরম সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।তীব্র দাবদাহে স্বাভাবিকভাবেই মানুষজনের পাশাপাশি নাজেহাল শান্তিনিকেতনের বল্লভপুর অভয়ারণ্য হরিণ।

তাদের সুস্থ রাখতেই বিশেষ পরিচর্যা গ্রহণ করেছেন বনবিভাগের কর্মীরা।পর্যটকদের শান্তিনিকেতন ঘুরতে আসার সঙ্গে সঙ্গে এক টুকরো বন্যপ্রাণের চারণভূমির খোঁজ মেলে বল্লভপুর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে।এখানে সবুজে ঘেরা অরণ্যে বন্যপ্রাণের অবাধ বিচরণ দেখার আনন্দই আলাদা।বোলপুর-শান্তিনিকেতন বাসিন্দাদের কাছে এই অভয়ারণ্য ‘ডিয়ার পার্ক’ নামেই পরিচিত। অভয়ারণ্যটি পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম হরিণ সংরক্ষণ স্থল।এটি ১৯৭৭ সালে তৈরি করা হয়।এই অভয়ারণ্যটি ২০০ হেক্টর জমির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই অভয়ারণ্যে একসময় ২৫০টির বেশি হরিণ ছিল।

আরও পড়ুন : বোলপুরের কঙ্কালীতলা মন্দির আসছেন! আপনার জন্য থাকছে নতুন চমক

বনদফতরের কর্মীরা বলেন, “নিয়মিত চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ নিয়ে চলছে ওআরএস, ইলেকট্রল, ভিটামিন- সহ নানা বিধ ওষুধ। সব সময় দাওয়া হচ্ছে ঠান্ডা জল।ডিহাইড্রেশন থেকে হরিণদের বাঁচাতে হরিণদের জলের ঘাটতি না ঘটে নজর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও হরিণদের কৃমি, গায়ে পোকা, ক্যালসিয়াম ও মিউটেশনের জন্য নিয়মিত ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।”বোলপুরের বনবিভাগেরএর আধিকারিক জ্যোতিষ বর্মণ জানান, “তীব্র গরমে হরিণদের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত খাবার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ঠান্ডা জল বার বার পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে।”

আরও পড়ুন : গোটা গ্রামটাই যেন আস্ত এক ছবি! একবার ঘুরে আসুন

উল্লেখ্য, এখান থেকে বক্সার অভয়ারণ্যে ২০০টির বেশি হরিণ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বল্লভপুর হরিণ উদ্যানে রয়েছে ৪৫টি হরিণ।তাপপ্রবাহ থেকে হরিণদের রক্ষা করতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে বনদফতর। হরিণদের সুস্থ রাখতে দেওয়া হচ্ছে গ্লুকোজের জল ও ওআরএস।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এছাড়াও দেওয়া হচ্ছে সবুজ ঘাস-পাতা, ভুট্টা পাতা ও ছোলা।

সৌভিক রায়