সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি : জমিয়ে শীত উপভোগ করার জন্য পর্যটকদের প্রথম পছন্দ ডুয়ার্স। এবার ভ্রমণবিলাসীদের জন্য রইল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এক নতুন ঠিকানা। যদিও এক্কেবারে নতুন কিছু নয়, তবে নতুন ও বটে! সম্প্রতি পর্যটকদের জন্য গরুমারা জাতীয় উদ্যানে প্রস্তুত আস্ত নতুন এক ক্যাম্প আর একটি ওয়াচ টাওয়ার। তৈরি হয়েছে রামশাই রাইনো ক্যাম্প ও মেদলা ওয়াচ টাওয়ার।
শুধু তাই নয়। পর্যটকদের জন্য আরও একটি চমক রয়েছে এখানে। এসবের সঙ্গে অতিরিক্ত পাওনা হিসেবে থাকবে জঙ্গলের ভিতরে আদিবাসী নৃত্যের স্বাদগ্রহণের সুযোগ। জলঢাকা নদী-সংলগ্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই জঙ্গল এলাকায় দিনভর বিচরণ করতে দেখা যায় একশৃঙ্গ গন্ডার-সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীকে। এজন্য পর্যটকদের কাছে বরাবরই আকর্ষণীয় এই পর্যটনকেন্দ্রটি। চেনা জায়গাই নতুন রূপে সেজে উঠেছে পর্যটকদের জন্য। এখানে এলেই মিলবে বিভিন্ন রকমের হস্তশিল্প সামগ্রী। এগুলি তৈরি করেন এই এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। গত দেড় দশক সময় ধরে রামশাইয়ে আসা পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে মোষের গাড়িতে চড়ে জঙ্গলের পার্শ্ববর্তী মেদলা ওয়াচ টাওয়ার দর্শনে যাওয়া।
আরও পড়ুন : স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া বন্ধ থেকে শত্রুর বিনাশ করবে লাল জবা, জানুন ঘরোয়া টোটকা
এরপর সেখান থেকে রয়েছে কালীপুর ক্যাম্প। এই পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত রয়েছেন রামশাই এলাকার স্থানীয় বনবস্তিবাসী ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। এখানে এলে মন ভাল হবেই হবে। ভাবছেন কীভাবে পৌঁছবেন এখানে? জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের শেষ প্রান্তে গরুমারা জঙ্গল এলাকায় অবস্থিত রামশাই অঞ্চল। স্থানীয় বাজার পেরিয়ে রয়েছে গরুমারা ন্যাশনাল পার্কের অধীনে থাকা মেদলা ওয়াচ টাওয়ার ও রাইনো ক্যাম্প। সবমিলিয়ে পর্যটকদের জন্য বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এই জায়গা। রাইনো ক্যাম্পে রয়েছে রাত্রিবাসের সুবিধেও। এই পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে বেশ উৎসাহী ওয়েস্ট বেঙ্গল ইকো ট্যুরিজম বিভাগের চেয়ারম্যান রাজ বসু। তা হলে এই শীতে একটি অ্যাডভেঞ্চারাস ট্যুর দিতে চলে আসতেই পারেন এই পর্যটন কেন্দ্রে।