Tag Archives: gorumara national park

Ramsai Butterfly Conservatory: প্রজাপতি পার্কে দেখা নেই প্রজাপতির! বেহাল অবস্থা রামসাইয়ের

জলপাইগুড়ি: শুধু নামেই রয়েছে প্রজাপতি, কিন্তু বাস্তবে দেখা নেই একটার’ও! ভাবছেন কোথাকার কথা বলা হচ্ছে? ডুয়ার্সের মন মাতানো টুরিস্ট স্পট রামসাই প্রজাপতি পার্কের এমনই বেহাল অবস্থা। এক সময় এই পার্কে দেখা মিলত রঙবেরঙের হাজারও নানা প্রজাতির প্রজাপতির। কিন্তু এখন সব রং হারিয়ে ফিকে হতে বসেছে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় এই টুরিস্ট স্পট।

বর্তমানে ডুয়ার্সের জলপাইগুড়ি লাগোয়া রামসাই প্রজাপতি পার্ক তার জৌলুস হারিয়েছে। এক্কেবারে বেহাল দশা উদ্যানের। নেই কোনও রক্ষণাকেক্ষণ, নেই কোনও প্রজাপতির আনাগোনা। চারদিক জঙ্গলে ছেয়ে গিয়েছে। জায়গায় জায়গায় পড়ে রয়েছে স্তূপীকৃত আবর্জনা। এমনকি পার্কের পরিচর্যা করার দায়িত্বে থাকা কোনও লোকজনের দেখাও আর মেলে না। স্বাভাবিকভাবেই প্রজাপতি পার্কে প্রবেশ করতে না পেরে হতাশ পর্যটকরা। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের অন্তর্গত রামসাইকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বন দফতরের উদ্যোগে এই প্রজাপতি উদ্যানটি তৈরি করা হয়েছিল। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বন্ধ পার্কটির প্রবেশপথ।

আর‌ও পড়ুন: নিরাপত্তার দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি

জানা জানা গিয়েছে, প্রজাপতি পার্কটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। পর্যটকেরা ঘুরতে এলে তারাই পর্যটকদের বুঝিয়ে দিত প্রজাপতির জীবন চক্র। ডুয়ার্সে ঘুরতে আসা পর্যটকরা নানান প্রজাতির প্রজাপতি দেখে খুবই আনন্দ পেত। পাশাপাশি প্রজাপতির জীবন চক্র সম্বন্ধেও জানতে পারত। কিন্তু বর্তমানে সেসব কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ঘন জঙ্গলে ছেয়ে যাওয়ায় দেখা নেই প্রজাপতির।

এদিকে প্রজাপতি পার্ক বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা। কারণ এর আগে পর্যটকদের আনাগনায় স্থানীয়দের বিভিন্ন উপায়ে রোজগার হচ্ছিল। এখন সেই সবকিছু বন্ধ। রোজগার নেই টুরিস্ট গাইডদেরও। এই পরিস্থিতিতে সব পক্ষই প্রশাসনের কাছে দ্রুত প্রজাপতি পার্কটি নতুন করে চালু করার আবেদন জানিয়েছেন।

সুরজিৎ দে

French Ambassador: ডুয়ার্সের জঙ্গল দর্শনে ফরাসি রাষ্ট্রদূত, পরিদর্শন শেষে সন্তোষ না অসন্তোষ জানালেন?

জলপাইগুড়ি: এক সময় ভারত সেরার তালিকায় ছিল গরুমারা জাতীয় উদ্যান। এখন কেমন পরিস্থিতিতে রয়েছে সেই গরুমারা জঙ্গল, কেমনই বা রয়েছে এখানকার বন ও বুনোরা, বনদফতরের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্পর্কই বা কেমন? এই সমস্ত খতিয়ে দেখতেই ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত থিয়ারি ম্যাথিউ-এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি পরিদর্শন করলেন ছোট শহর জলপাইগুড়ি সংলগ্ন গরুমারা অভয়ারণ্য।

বিশেষ এই সফরে এসে সন্তোষ প্রকাশ করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত। আগামী দিনে তাঁদের দেশের তরফ থেকে গরুমারা বনাঞ্চলের উন্নয়নে কোনও সহযোগিতা করা যায় কিনা তা নিয়েও চিন্তা ভাবনা চলছে। এমনটাই খবর বন দফতরের সূত্রে। জানা গিয়েছে, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলটি প্রথমে গরুমারা জঙ্গলের মেদলা নজর মিনারে যান। গরুমারার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া মূর্তি ও জলঢাকা নদী দেখার পাশাপাশি সেখানে থাকা কুনকি হাতিদের পর্যবেক্ষণ ও তাদের সারাদিনের বিভিন্ন কাজকর্ম সম্পর্কে বন দফতরের আধিকারিক ও মাহুতদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। এরপর গরুমারার ধুপঝোড়া এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে এসে বন দফতরের আধিকারিকরা এই প্রতিনিধি দলটিকে কুনকি হাতির পিঠে চাপিয়ে জঙ্গলের আনাচে কানাচে ঘোরান।

আর‌ও পড়ুন: মে দিবসের দিন‌ই কর্মহীন ৮০০ শ্রমিক! বন্ধ হল চা বাগান

এখান থেকে ফিরে তাঁরা স্থানীয় আদিবাসীদের নৃত্য উপভোগ করেন। কথা বলেন জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের সঙ্গেও। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত থিয়ারি ম্যাথিউ জানান, গরুমারা জঙ্গল ও এখানকার বন্যপ্রাণ দেখে তাঁরা যথেষ্ট আনন্দিত। উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণী বিভাগের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি জানান, গরুমারা জঙ্গল ও বন্যপ্রাণ দেখে এই প্রতিনিধি দলটি সন্তুষ্ট হয়েছে। আগামী দিনে গরুমারা উন্নয়নে সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বাস মিলেছে। ফ্রান্সের এই দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণী বিভাগের বনপাল ভাস্কর জেভি, গরুমারা ও জলপাইগুড়ি বনবিভাগের দুই ডিএফও দ্বিজপ্রতীম সেন, বিকাশ ভি, গরুমারা সাউথ রেঞ্জের রেঞ্জার সুদীপ দে সহ বনদফতরের অন্যান্য আধিকারিকরা।

সুরজিৎ দে

Dooars Travel: মেঘের নীচে জলঢাকা নদীর পাশে চড়ে বেড়ায় একশৃঙ্গ গন্ডার! মনোরম এই জায়গা মিস করবেন না ডুয়ার্সে গেলে

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি : জমিয়ে শীত উপভোগ করার জন্য পর্যটকদের প্রথম পছন্দ ডুয়ার্স। এবার ভ্রমণবিলাসীদের জন্য রইল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এক নতুন ঠিকানা। যদিও এক্কেবারে নতুন কিছু নয়, তবে নতুন ও বটে! সম্প্রতি পর্যটকদের জন্য গরুমারা জাতীয় উদ্যানে প্রস্তুত আস্ত নতুন এক ক্যাম্প আর একটি ওয়াচ টাওয়ার। তৈরি হয়েছে রামশাই রাইনো ক্যাম্প ও মেদলা ওয়াচ টাওয়ার।

শুধু তাই নয়। পর্যটকদের জন্য আরও একটি চমক রয়েছে এখানে। এসবের সঙ্গে অতিরিক্ত পাওনা হিসেবে থাকবে জঙ্গলের ভিতরে আদিবাসী নৃত্যের স্বাদগ্রহণের সুযোগ। জলঢাকা‌ নদী‌-সংলগ্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই‌ জঙ্গল এলাকায় দিনভর বিচরণ করতে দেখা‌ যায়‌ একশৃঙ্গ‌ গন্ডার‌-সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীকে। এজন্য পর্যটকদের কাছে বরাবরই আকর্ষণীয় এই পর্যটন‌কেন্দ্রটি। চেনা জায়গাই নতুন রূপে সেজে উঠেছে পর্যটকদের জন্য। এখানে এলেই মিলবে বিভিন্ন রকমের হস্তশিল্প সামগ্রী। এগুলি তৈরি করেন এই এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। গত‌ দেড় দশক‌ সময় ধরে রামশাইয়ে আসা পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে মোষের গাড়িতে চড়ে জঙ্গলের পার্শ্ববর্তী মেদলা ওয়াচ টাওয়ার দর্শনে‌ যাওয়া।‌

আরও পড়ুন : স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া বন্ধ থেকে শত্রুর বিনাশ করবে লাল জবা, জানুন ঘরোয়া টোটকা

এরপর সেখান থেকে রয়েছে কালীপুর‌ ক্যাম্প। এই পর্যটন‌ কেন্দ্রের‌ সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত রয়েছেন রামশাই এলাকার স্থানীয় বনবস্তিবাসী ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। এখানে এলে মন ভাল হবেই হবে। ভাবছেন কীভাবে পৌঁছবেন এখানে? জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের শেষ প্রান্তে গরুমারা জঙ্গল এলাকায় অবস্থিত রামশাই অঞ্চল। স্থানীয় বাজার পেরিয়ে রয়েছে গরুমারা ন্যাশনাল পার্কের অধীনে থাকা মেদলা ওয়াচ টাওয়ার ও রাইনো ক্যাম্প। সবমিলিয়ে পর্যটকদের জন্য বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এই জায়গা। রাইনো ক্যাম্পে রয়েছে রাত্রিবাসের সুবিধেও। এই পর্যটন‌ কেন্দ্র নিয়ে বেশ উৎসাহী ওয়েস্ট বেঙ্গল ইকো ট্যুরিজম বিভাগের চেয়ারম্যান রাজ বসু। তা হলে এই শীতে একটি অ্যাডভেঞ্চারাস ট্যুর দিতে চলে আসতেই পারেন এই পর্যটন কেন্দ্রে।