কলকাতা Green Peas: বাসে ট্রেনে সবুজ মটর কিনে খান? মটরশুঁটি নয় কিন্তু, আসলে কী জানলে শিউরে উঠবেন Gallery November 1, 2024 Bangla Digital Desk কলকাতা: বাসে অথবা ট্রেনে যাতায়াতের সময় হকারদের থেকে সবুজ মটর কিনে খান অনেকেই৷ খাওয়ার সময় অনেকেই হয়তো ভাবেন, মটরশুঁটি ভাজাই খাচ্ছেন তাঁরা৷ কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন আসলে কী খাচ্ছেন? একটু খোঁজ খবর করতেই যা জানা গেল, সেই তথ্য রীতিমতো শিউড়ে ওঠার মতোই৷ শিয়ালদহ বৈঠকখানা মার্কেটের এক দোকানদার রাখঢাক না করেই বললেন, ‘এত সবুজ মটর পাওয়া যাবে কোথায়? এসব কারিগররা মটরের সঙ্গে রং দিয়ে সবুজ মটর বানিয়ে আমাদেরকে দিয়ে যায়।আমরা বিক্রি করি।’ তবে কোথায় সবুজ মটর ভাজা তৈরি হয় তা তিনি জানেন না বলেই দাবি ওই ব্যবসায়ীর। সবুজ মটর সারাদিনে কত বিক্রি হয়? শিয়ালদহ শাখার ট্রেনের এক হকারের বক্তব্য , -সারাদিনে তিনি ফেরি করে চার থেকে পাঁচ কেজি সবুজ মটর বিক্রি করেন। ৫ টাকা এবং ১০ টাকার প্যাকেটে করেই সাধারণত এই ধরনের সবুজ মটর বিক্রি হয়। তার সঙ্গে বাদাম,ডালমুট ভাজা এসব তো রয়েছে। ওই হকারের বক্তব্য, প্রকৃত সবুজ মটরের রং এতটা গাঢ় হয় না। দামটা বরং একটু বেশি হয়।কারণ ওটা কাঁচা মটর শুঁটিকে শুকনো করে তৈরি করা হয়।আর এই মটরে রং করে পদ্ধতি অনুযায়ী সবুজ মটর তৈরি করে। যার ফলে হলুদ ভাজা মটরের থেকে এই সবুজ মটর দাঁতে দিলে সহজেই ভেঙে যায়। ধরা যাক, একজন হকার সারাদিনে যদি দু -কেজি পরিমাণে সবুজ মটর বিক্রি করেন, তাহলে ১০০ জন হকার ২০০ কেজি পরিমাণে সবুজ মটর বিক্রি করছেন। এর থেকেই আন্দাজ করা সম্ভব, কলকাতা এবং জেলাগুলিতে রং করা এমন সবুজ মটর প্রতিদিন কয়েকশোকেজি বিক্রি হচ্ছে! আর সেই মটর গুলিতে যে সবুজ রং মেশানো হয়, সেগুলি আসলে ফুড কালার নয়, বরং শিল্পে ব্যবহৃত রং বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কালার।আর সেই মটর বেশির ভাগ শিশুরাই খাচ্ছে। এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আসল সবুজ মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন,ফসফরাস,ফোলেট এবং ভিটামিন এ ,কে এবং সি রয়েছে। এর প্রোটিন মানুষের দেহের ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে। তার সঙ্গে পেশী শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।রং করা মটর খেলে মানুষের পরিপাকে সমস্যা তৈরি হয়।পেট খারাপ হতে পারে।এই কৃত্রিম রং থেকে ক্যানসারের মতো মারণ রোগ হতে পারে।’