ডাল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এর মধ্যে উচ্চ প্রোটিন পাওয়া যায়। নিরামিষাশীদের জন্য, ডাল প্রোটিনের জন্য সেরা হিসাবে বিবেচিত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন অনুসারে, ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়, যা দ্রুত ওজন কমাতে পারে (ডাল ফর ওয়েট লস)।
১. অড়হর ডাল
কম বেশি সব বাঙালি বাড়িতেই অড়হরের ডাল রান্না করা হয়। এতে প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রোটিন ছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। ওজন কমানোর পাশাপাশি অড়হ ডালে পাওয়া পটাশিয়াম এবং ফাইবার হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
উচ্চ প্রোটিনের জন্য ছোলার ডালও খেতে পারেন। এতে শুধু প্রোটিনই নয়, প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, আয়রন এবং ফাইবারও রয়েছে। এতে জিঙ্ক এবং ফোলেটও পাওয়া যায়, যা শরীরকে পুরোপুরি ফিট রাখতে প্রয়োজনীয়। ছোলার ডাল ওজন কমাতে সহায়ক। এগুলোতে কম চর্বি এবং বেশি প্রোটিন থাকে।
ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন মসুর ডাল খেতে পারেন। এর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। এতে কম চর্বি এবং উচ্চ ফাইবার পাওয়া যায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি হজমশক্তিও ভলো হয়। মসুর ডাল খেলে গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে শুধু প্রোটিনই নয় ফাইবার, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।
সবুজ মুগ ডাল খেলে খুব দ্রুত ওজন কমানো যায়। মাত্র এক বাটি মুগ ডাল অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে। প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ছাড়াও ভিটামিন-বি২, বি৩, বি৫, বি৬, ফাইবার, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন-বি১, ফসফরাস, আয়রন, পটাসিয়াম, সেলেনিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান এই ডালে পাওয়া যায়।
দোসা, ইডলির মতো দক্ষিণ ভারতীয় খাবারে বিউলি ডাল ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই ডালের খিচুড়ি বানিয়ে খাওয়া খুবই উপকারী। এটি দ্রুত ওজন কমাতে পারে। বিউলি ডাল শুধু প্রোটিনই নয় কার্বোহাইড্রেট, ডায়েটারি ফাইবার, অনেক ধরনের ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)